কীভাবে উদ্ভাবন হলো রান্নার পাত্র
পাত্র উদ্ভাবন হচ্ছে আদিম ও বর্বর মানুষের মধ্যকার সীমান্তরেখা। মানে, মৃৎপাত্র উদ্ভাবনের মধ্যে দিয়ে মানুষ আদিমতা থেকে বের হয়ে আসে। প্রবেশ করে বর্বর সমাজে। পূর্বগোলার্ধের যাযাবর–পশুপালক গোষ্ঠীই বর্বর যুগের উদাহরণ। পশ্চিম গোলার্ধে তখনো পশুপালন শুরু হয়নি। এই যুগের আগ পর্যন্ত মানুষের নির্দিষ্ট পাত্রের প্রয়োজন থাকলেও নিজ হাতে তৈরি করার বুদ্ধি ছিল না। পরবর্তীতে মানুষ গাছের ছাল দিয়ে কিংবা শেকড় ও লতা বুনে ঝাঁপির মতো পাত্র তৈরি করে। কিন্তু তা রান্নার কাজে ব্যবহার উপযোগী ছিল না। তাই পাত্রগুলোকে আগুনসহনীয় করতে সেগুলোর তলায় কাদামাটির পুরু প্রলেপ দিতে শুরু করে মানুষ। কিন্তু কিছুকালের মধ্যেই বুঝে ফেলে যে কাদামাটির ঐ পুরু প্রলেপটি নিজেই একটি পাত্র হয়ে উঠতে পারে; সেটির জন্য গাছের শেকড় বা লতা দিয়ে বোনা কাঠামোর প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ তা–ই করল। তৈরি হলো মৃৎপাত্রের।
বাংলাদেশে খনন করে এসব প্রাচীন মৃৎপাত্রের বেশ কিছু নমুনা মিলেছে। দেশের মহাস্থানগড়, গোবিন্দ ভিটা, ভাসুবিহার, উয়ারী–বটেশ্বর, রাজা হরিষচন্দ্রের বাড়ি, ময়নামতী ও পাহাড়পুর মৃৎপাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।