টেকট্রেন্ড I পোশাকের সুরক্ষায় এয়ারড্রেসার
সযত্নে কাপড় ধোয়ার নতুন প্রযুক্তি। করোনাকালীন বাস্তবতায় জুতসই
নিয়মিত পোশাকের যত্ন না নিলে কিছুদিন বাদেই তা নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় কাপড়ের জৌলুস ধরে রাখতে চাইলে এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। নানা ব্যস্ততার কারণে পরিধেয়র যত্নে আলাদা সময় বের করা কঠিন। ফলে সময় সাশ্রয়ী ও সহজে কাচা, ধোয়া এবং শুকানো যায় এমন কিছুর সন্ধান করেন অনেকেই।
করোনাজনিত বাস্তবতায় সবাই কমবেশি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিশেষজ্ঞরা ভালোভাবে কাপড় ধোয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন। বাসায় ফেরার পরপরই পোশাক ধুয়ে ফেলা দরকার। দৈনন্দিন পরিধেয় কাপড়ের যত্নে এবং এখনকার পরিস্থিতিতে এর সুরক্ষায় স্যামসাং বাংলাদেশ ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে এয়ারড্রেসার; যা ব্যবহার্য বস্ত্রের যত্নে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
কাপড়ের সর্বোচ্চ সুরক্ষা মাথায় রেখে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত সুবিধার সমন্বয় ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে এয়ারড্রেসার। এর জেট এয়ার সিস্টেম এবং এয়ার হ্যাঙ্গার কাপড়ের গভীর থেকে জমাট বাঁধা ধুলো-ময়লা নরম ও পরিষ্কার করে। আরও রয়েছে জেট স্ট্রিম, যার কাজ হলো পোশাককে সাবধানতার সঙ্গে জীবাণুমুক্ত করা। এটি ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জিক উপাদান ধ্বংস করতে পারে। এর হিটপাম্প ড্রাইং সুবিধার সাহায্যে নিম্ন তাপমাত্রায় কাপড় শুকিয়ে ফেলা সম্ভব, যা কুঁচকে যাওয়া বা অন্য যেকোনো তাপজনিত সমস্যা থেকে পোশাক নিরাপদ রাখে। এটি ধোয়া কাপড়ের কুঁচকানো অংশকে স্বাভাবিক করে। স্যামসাং এয়ারড্রেসারে রয়েছে একটি ওয়েট কিট, যা প্যান্টের অবাঞ্ছিত ভাঁজগুলো সরিয়ে গঠনকে সঠিক করে। ডিওডোরাইজিং ফিল্টারের মাধ্যমে এটি কাপড় থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ দূর করতে পারে, ফলে কেবিনেট ও পোশাক সব সময় থাকে সতেজ।
এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘আমাদের নতুন এ পণ্য ব্যবহারকারীর কাপড়ের যত্নে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই ড্রাই ক্লিনার্সের ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, তাই এ সময় পোশাকের সঠিক যত্নে স্যামসাং এয়ারড্রেসার অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সমাধান। পাশাপাশি এটি সময়ও বাঁচাবে। বেশির ভাগ সচেতন মানুষের মাঝে এখন টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাক পরিধানের প্রবণতা লক্ষণীয়। এই এয়ারড্রেসার এমন হাই কোয়ালিটি গার্মেন্টসের সঠিক যত্ন নিশ্চিতে সক্ষম।’
এয়ারড্রেসারের ব্যবহারে কাপড় ধোয়ার গতানুগতিক প্রক্রিয়ার সাহায্য ছাড়াই পোশাক থাকবে সতেজ ও পরিপাটি। এটি কাপড় ধোয়ার প্রয়োজনীয়তাকে সীমিত করে আনবে, ফলে কাপড়ের ফ্যাব্রিক, বিশেষত এর সংবেদনশীল উপাদানগুলোর ওপর চাপ পড়বে অনেক কম। ওয়াই-ফাই সংযোগ সুবিধাসম্পন্ন এয়ারড্রেসার মোবাইলে স্মার্টথিংস অ্যাপের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কাপড় ধোয়া ও পরিষ্কার-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যও ব্যবহারকারীদের মোবাইলে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক