রূপরসদ I টুলস ফর ব্রাইড
সীমিত আয়োজনের মধ্যেও কনে হয়ে ওঠার জন্য সেজে নেওয়া চাই। নিজের। দরকার প্রস্তুতি। সংগ্রহে থাকতে হবে আবশ্যকীয় কিছু সরঞ্জাম
নিউ নরমালে ব্যয়বহুল পার্লার কিংবা বিউটিশিয়ানের কাছে না গিয়েও ঘরেই সেরে নেওয়া যায় নিজের ব্রাইডাল মেকওভার। তবে এ জন্য শুধু চিরাচরিত মেকআপ প্রডাক্ট থাকাই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কিছু বাড়তি উপকরণ! তাই কয়েকটি সরঞ্জাম আগে থেকেই নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে।
ত্বকের যত্নে
মেকওভারের আগে অন্তত এক মাস ধরে সযত্ন প্রস্তুতি দরকার। পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ডায়েট মেনে চলা ইত্যাদির পাশাপাশি বিয়ের দিন ত্বকের যত্নে কাছে রাখা যেতে পারে কিছু সরঞ্জাম।
ফেস ক্লিনজিং ব্রাশ : একধরনের সিলিকন ফেস ব্রাশ, যা ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। স্বাভাবিক থেকে সংবেদনশীল- সব ধরনের ত্বকেই বেশ কার্যকর। এতে ত্বকের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে একটা উজ্জ্বলতাও এনে দেবে।
ফেসিয়াল রোলার: ক্লান্ত ত্বকের যত্নে ফেস রোলার বেশ সহায়ক। বিশেষত ডিটক্সিফায়িংয়ের জন্য। ডার্ক সার্কেল দূর করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি মাথা ধরার সমস্যায় উপশম দেয়। এটা চোখের ফোলাভাবও দূর করে।
ফেসিয়াল স্টিমার : ত্বকে স্টিম করে নিলে পোর খুলে যায়। ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা সহজ হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার এর ব্যবহার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। একটা পারফেক্ট গ্লাস স্কিন ফেসও পাওয়া যায়।
মেকআপের জন্য
নিজে কিংবা মেকআপে পটু বোন বা বন্ধুর সাহায্যে বাসাতেই ব্রাইডাল মেকওভার সেরে ফেলতে চাইলে কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখা চাই।
আইল্যাশ কার্লার : সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মেকআপ টুল। এর সহজ ব্যবহার আই মেকআপে একটা বড় প্রভাব ফেলবে। তাই ভালো মানের একটা আইল্যাশ কার্লার রাখা যায় নিজের কালেকশনে।
ব্লেন্ডার অ্যান্ড স্পঞ্জ : এই উপকরণ ফেসে ফাউন্ডেশন সহজে বসতে সাহায্য করে। ব্লেন্ডার ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এটা পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিতে হবে। প্রায় সব মেকআপ ব্র্যান্ডেরই এখন নিজস্ব মেকআপ ব্লেন্ডার আছে, তবে এ ক্ষেত্রে বিউটি ব্লেন্ডার সবচেয়ে ভালো। ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখা জরুরি।
টুইজার : ঘরে বসে ফেসিয়াল হেয়ারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায়। এতে আইব্রাও প্লাক করা যায়।
মেকআপ ব্রাশ সেট : ব্রাইডাল মেকওভারের পুরো প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হলে ভালো মানের মেকআপ ব্রাশ সেট থাকা জরুরি, যেখানে আই মেকআপ থেকে বেস মেকআপ- সবকিছুরই ব্রাশ থাকবে। দু-একটা ব্রাশ দিয়েই পুরো লুকটা মনমতো করা সম্ভব নয়। সঠিক ব্রাশ ছাড়া কোনো কিছুরই ফিনিশিং সুন্দর হবে না। হোক সেটা আই মেকআপ কিংবা হাইলাইটার।
হেয়ারস্টাইলের জন্য
বিয়েতে কনের হেয়ারস্টাইলের সঙ্গে ওড়না সেট করা কিংবা ফুল লাগানোর বিষয়টি সম্পর্কিত। সবই হওয়া চাই পারফেক্ট! তাই কিছু সরঞ্জামাদি আগে থেকেই কিনে রাখা যেতে পারে।
স্ট্রেইটনার : শুধু বিয়ের সাজের জন্য নয়, সব মেয়ের কাছেই একটা স্ট্রেইটনার থাকা জরুরি। বিয়ের মেকওভারে তো বটেই, আগের বা পরের ছোটখাটো অনুষ্ঠান যেমন হলুদ, মেহেদি কিংবা বিয়ে-পরবর্তী দাওয়াত, শুধু চুলটা স্ট্রেইট করে নিলেই যে কেউ হয়ে উঠতে পারে ‘সিম্পলের মধ্যে গর্জাস’।
কার্লিং আয়রন : ব্রাইডাল লুক নিয়ে কিঞ্চিৎ এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলে একটা কার্লিং আয়রন সংগ্রহে রাখতে হবে। এর ব্যবহার এতই সহজ যে এ ধরনের হেয়ারস্টাইল করতে খুব বেশি দক্ষ না হলেও চলবে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটা ট্রেন্ডি আর ক্লাসি হেয়ারস্টাইল করে নেওয়া যায়।
হেয়ারড্রায়ার : জলদি চুল শুকাতেই সাহায্য করে না, চুলে একটা সুন্দর ভলিউম আনতেও সহায়ক। তবে এর ব্যবহার হওয়া চাই পরিমিত। কেননা বেশি তাপ চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
হেয়ার রোলার : চুলকে অতিরিক্ত ভলিউম দিতে সাহায্য করবে, যা ব্রাইডাল লুকে সবার চাই। তবে চুল একটু ভঙ্গুর হলে এই সরঞ্জাম বাদ দেওয়াই শ্রেয়। কারণ, অনেক সময় ধরে চুলে রোলার পেঁচিয়ে রাখলে তা ক্ষতির কারণও হতে পারে।
কম্ব সেট : বিভিন্ন ধরনের চিরুনির একটা সেট রাখা যেতে পারে সংগ্রহে। দক্ষ হেয়ারস্টাইলারদের মতো চুল ট্রিম করা, আঁচড়ানো, স্টাইলিং কিংবা পাফিংয়ের পাশাপাশি অনুষ্ঠান শেষে জট ছাড়াতেও একেক ধরনের চিরুনি প্রয়োজন।
শিরীন অন্যা
মডেল: মানশী
জুয়েলারি: আনজুম’স
ওয়্যারড্রোব: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ফারাবী তমাল