ব্লগার’স ডায়েরি I কাস্টমাইজড স্টাইলিং
নিজেদের পোশাকের নকশা নিজেরাই করেন, এমন দৃষ্টান্ত আমাদের আশপাশেই আছে। যেকোনো উৎসবের আগে দর্জিঘরে লম্বা লাইন দেখলেই সেটা বোঝা যায়। অনেকেই রেডিমেড কাপড়ে স্বস্তি খুঁজে পান না। দেখা যায় ডিজাইন পছন্দ হয়েছে কিন্তু মাপমতো মিলছে না। আবার মাপে একদম ঠিক হলেও পোশাকের নকশাটা বেমানান, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে সেরা সমাধান কাস্টমাইজেশন। এতে ফ্যাব্রিক, প্রিন্ট, প্যাটার্ন থেকে এমবেলিশমেন্ট- সবেতেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে তা আরও সহজ। গুগল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং পিনটারেস্টের মতো সাইটগুলোর সুবাদে পোশাকের ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হাতের মুঠোয়। তার সঙ্গে নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্টের টুইস্ট এই কাস্টমাইজেশনকে করবে আরও আকর্ষণীয়।
কুর্তা বা কামিজের ক্ষেত্রে কাস্টমাইজেশনটা বেশ জনপ্রিয় আমাদের মধ্যে। কিন্তু টেইলরমেইড ওয়েস্টার্ন ড্রেস যেমন: শার্ট স্টাইল, গাউন, ককটেল ড্রেস তৈরিতে এখনো অভ্যস্ত নই আমরা। এর প্রধান কারণ, দর্জির ওপর আস্থার অভাব। অনেকেই এই ঝুঁকি নিতে চান না বলে অপশন খুঁজে বেড়ান অনলাইনে। মনমতো না পেলেও বিকল্পের অভাবে সেটাই কিনে ফেলেন, দাম যেমনই হোক না কেন। তারপরই বাধে বিপত্তি। প্রত্যাশা ও বাস্তবতার ফাঁদে পড়ে মনমতো পোশাক আর হয়তো পরাই হয় না।
টেইলরমেইড ওয়েস্টার্ন আউটফিট বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই খুঁজে নিতে হবে দক্ষ দর্জি। পোশাক তৈরির আগে তাকে ড্রেসের স্যাম্পল দেওয়া গেলে খুবই ভালো, নইলে পোশাকের ছবিই ভরসা। আরও ভালো হয় যদি পোশাকের নকশা স্কেচ করে বুঝিয়ে দেওয়া যায় দর্জিকে। সঙ্গে তার পরামর্শ নিতে পারলেও মন্দ হয় না। তারপর কিনতে হবে নকশার সঙ্গে মানানসই ফ্যাব্রিক ও অন্যান্য অনুষঙ্গ।
সবকিছু হয়ে গেলে বানাতে দিয়ে দিন। ভরসা করতে হবে দর্জিকেও। প্রথম দিকে ঝুঁকি নিয়েই না হয় তৈরি করলেন টেইলরমেইড ওয়েস্টার্ন আউটফিট। মেলা টাকা খরচ করে অল্প পছন্দ হওয়া ড্রেস কেনার চেয়ে এই এক্সপেরিমেন্টটা আরও আনন্দের হবে।
শার্লি রহমান
ফেসবুক: iamthedemigod
ইনস্টাগ্রাম: iamthedemigod
ইউটিউব: Sharly Rahman