ফিচার I বৃক্ষের নৈবেদ্য
প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষরাজির ভূমিকাই প্রধান। কিন্তু যেকোনো গাছ সব অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব হয় না
বৃক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয় একটি উপাদান। কেননা এটি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এবং পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ ও প্রাণীর খাদ্যের প্রধান উৎস। তা ছাড়া ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা, বায়ুমন্ডলের বিশুদ্ধতা রক্ষা, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল, মাটির ক্ষয় রোধ, ঝড়ের সময় ধ্বংসাত্মক বাতাসের গতিকে প্রশমিত করা- এসব সহায়তা আমরা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি। প্রয়োজনের তুলনায় গাছ যত কমবে, এসব সুবিধাও তত হ্রাস পাবে। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকবে। মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজার বার প্রশ্বাস নেয় এবং ১৬ কিলোগ্রাম অক্সিজেন গ্রহণ করে। সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের সংস্পর্শে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে মানুষের বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে যেকোনো বাগান তৈরি বা বনাঞ্চল সৃষ্টির জন্য বৃক্ষ নির্বাচন জরুরি।
একটি দেশ, এমনকি কোনো অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, মাটি ও জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ রেখে বৃক্ষ নির্বাচন করতে হয়। এ বিষয়ে উদারতার চেয়ে রক্ষণশীল মনোভাবই শ্রেয়। অর্থাৎ বিদেশি নয়, স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করা উচিত। বিদেশি গাছ বলতে রাজনৈতিক মানচিত্র অনুযায়ী অন্য রাষ্ট্রের উদ্ভিদ নয়। বোঝায় ভিন্ন বাস্তুসংস্থানের বৃক্ষ। এমনকি এটা একই রাষ্ট্রের অন্য প্রান্তের বৃক্ষও হতে পারে। যেমন চা-বাগান কেবল পাহাড়ি অঞ্চলের বা ঢালু ভূমির উদ্ভিদ। অথবা হাওর বা সমুদ্র অঞ্চলের বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য সমতল ভূমির থেকে আলাদা। কাজেই একই রাষ্ট্রে একাধিক বাস্তুসংস্থান গড়ে উঠতে পারে। আবার একই বাস্তুসংস্থান কয়েকটি রাষ্ট্রের ব্যাপক অঞ্চল মিলেও সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। এটাকে বলা হয় বায়োম। পৃথিবীর স্থলভাগ সাত থেকে আটটি প্রধান বায়োমে বিভক্ত।
বাগান তৈরিতে বাস্তুসংস্থান বা বায়োমের বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে বৃক্ষ নির্বাচন করা প্রয়োজন। কেননা বহিরাগত বৃক্ষ স্থানীয় বা আঞ্চলিক পরিবেশে এসে আক্রমণাত্মক ও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এসব গাছ স্থানীয় বাস্তুসংস্থানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে অন্যান্য বৃক্ষকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
দুই
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে ন্যাচারাল ব্যালান্স বলে একটা টার্ম আছে। এর অর্থ, একটা গাছ কেটে ১০টা লাগানো হলেও ন্যাচারাল ব্যালান্স রক্ষা হয় না। কারণ, একটা গাছ মানে একটা ইকোসিস্টেমের অংশ। এটি গড়ে ওঠে লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ফলে। একটা বড় গাছের নিচে গজায় ছোট গাছ, বড় গাছের গা জড়িয়ে বেড়ে ওঠে পরগাছা, সেগুলোর নিচে গজায় আরও ছোট ছোট লতাগুল্ম। এগুলোর ওপর খাদ্যের জন্য নির্ভর করে ছোট পোকামাকড়। আর পতঙ্গের ওপর নির্ভরশীল হলো পাখি। এদের সবার ওপর আশ্রয় করে বেঁচে থাকে ছোটখাটো পশু। তাদের ওপর নির্ভর করে বাঁচে বড় জন্তু-জানোয়ার। অর্থাৎ একটা প্রাচীন গাছ নিজেই ছোট ইকোসিস্টেম। এ ধরনের গাছগুলোও একটা এলাকার পরিবেশ-জলবায়ু অনুসারে হাজার হাজার বছরে বেড়ে ওঠে টিকে থাকার এবং টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত হয়ে। আর এই ইকোসিস্টেম বাঁচিয়ে রাখে এলাকার মানুষকেও।
অনেক সময় কয়েকটা বড় গাছ কেটে সেখানে লাগানো হয় দেশের বাইরে থেকে আনা, অথবা ওই ধরনেরই গাছের চারা। যেগুলো ওই জায়গার উপযুক্ত নয়। তারপরেও কিছু গাছ টিকে থাকে। কিন্তু তার ওপর নির্ভরশীল ছোট গাছ, লতাগুল্ম টিকবে না। টিকবে না ছোট পোকামাকড়, পাখি, ছোট জন্তু। শেষমেশ উধাও হবে বড় প্রাণী। আবার এসবের ওপর নির্ভর করে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর, বৃষ্টিপাত, ফসল, পরাগায়ন, এমনকি স্থানীয় নদী বা জলাশয়ের অস্তিত্বও।
প্রকৃতি মানেই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও ভারসাম্য। প্রাকৃতিকভাবে একটি স্থানে বেড়ে ওঠা উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব যখন অন্য কোনো স্থানে প্রবেশ করে, তখন তা ওই পরিবেশের বাস্তুসংস্থানে বহিরাগত। যা ওই অঞ্চলের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়, আর্থসামাজিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। তবে সব প্রজাতিই যে ক্ষতিকর অথবা আক্রমণাত্মক তা নয়। কিছু প্রজাতি ভিন্ন পরিবেশে গিয়ে খাদ্য, আবাসসংকট এবং বিরূপ জলবায়ুর কারণে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। আবার কতগুলো অন্য বাস্তুসংস্থানে গিয়ে পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর না-ও হতে পারে। কোনোটি ভিন্ন পরিবেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। এর প্রধান কারণ হলো নতুন পারিপার্শ্বিকে তার খাদ্য, প্রতিদ্বন্দ্বী এবং রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন জীবাণু না থাকা। কেননা খাদক এবং খাদ্যের যে সম্পর্ক, তা গড়ে ওঠে হাজার হাজার বছরের বিবর্তনিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। এ ধরনের প্রজাতি কেবল ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভই করে না, সেগুলো সেখানকার জলবায়ুকে নিজের সুবিধামতো পরিবর্তনও করে নেয়; যা স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
ইউক্যালিপটাসের কথা ধরা যাক। এর আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়া। সেটিই তার আঞ্চলিক পরিবেশ। সেখানে এটি উপযুক্ত একটি বৃক্ষ-প্রজাতি। তাকে ঘিরে সেখানকার তৃণভোজী প্রাণী, পাখি, পরাগায়ন ঘটানো বিভিন্ন মৌমাছি, কীটপতঙ্গ, তার ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন মথের চমৎকার পারস্পরিক নির্ভরশীলতার এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ইউক্যালিপটাসের পাতা থেকে নির্গত এসেনশিয়াল অয়েলে যে যৌগ থাকে, তা একধরনের শক্তিশালী প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। বিষাক্তও বটে। কিন্তু কিছু তৃণভোজী এই পাতা বেশ পছন্দ করে। যেমন কোয়ালা, পোসামসহ আরও কিছু প্রাণী। ওখানকার মৌমাছিরা এর ফুল থেকে চমৎকার মধু তৈরি করে। অনেক ধরনের মথ এই বৃক্ষ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে, বেড়ে ওঠে এবং বংশ বিস্তার করে। স্থানীয় নানান রঙের পাখি বাসা বাঁধে এই বৃক্ষে। কিন্তু গাছটি অন্য এলাকার বাস্তুসংস্থানে সম্পূর্ণরূপে বহিরাগত। আমাদের এখানকার কোনো তৃণভোজী, পতঙ্গ বা পাখি এই গাছ ঘিরে মুখর হয়ে ওঠে না। নতুন বাস্তুসংস্থানে এসে বৃক্ষটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, নানান পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই উদ্ভিদ নষ্ট করে ফেলে মাটির গুণাগুণ, অবনতি ঘটায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের, হুমকি হয়ে ওঠে জীববৈচিত্র্যের জন্য। বায়ুমন্ডলের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে।
ইউক্যালিপটাসের মতো আরও কিছু আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে রোপিত হয়েছে। যেমন মেহগনি, একাশিয়া, আকাশমণি ইত্যাদি বৃক্ষ-প্রজাতি। এ ছাড়া আরও কিছু ক্ষতিকর উদ্ভিদ এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন কচুরিপানা, ঢোলকলমি, লজ্জাবতী, আসামলতা, ল্যান্টানা ইত্যাদি।
কচুরিপানা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল আগ্রাসী উদ্ভিদ। ১৮ শতকের শেষ ভাগে ব্রাজিল থেকে আনা হয় এই প্রজাতি। এখানে এর কোনো খাদক নেই, ফলে যেকোনো জলাশয়ের উপরিভাগ সম্পূর্ণরূপে দ্রুত ঢেকে ফেলে এই উদ্ভিদ। এ কারণে পানিতে সূর্যের আলো এবং অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। ফলে দেশীয় জলজ উদ্ভিদগুলো মারা যায় এবং অক্সিজেনের অভাবে মাছ বাঁচতে পারে না। শুধু তা-ই নয়, কচুরিপানার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে পারেনি বাংলার জলজ উদ্ভিদগুলো; যেমন শাপলা, পদ্ম, কলমি, টোপাপানা, খুদিপানা প্রভৃতি। কেবল এসবই নয়, একই সঙ্গে বিলুপ্ত হয়েছে পরিবেশের জন্য উপকারী অনেক কীটপতঙ্গ, ছোট জলজ প্রাণী। সেসব প্রাণী ছিল মাছের খাদ্য। ফলে অনেক মাছও বিলুপ্ত হতে চলেছে।
তিন
স্থানীয় গ্রামীণ জনগোষ্ঠী হাজার বছরের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া জ্ঞানের ভিত্তিতে বৃক্ষ নির্বাচন করে। বাস্তুসংস্থানের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তাদের নেই বটে, তবে তারা এই সঞ্চিত লোকায়ত অভিজ্ঞতা ও ধারণাকে কাজে লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ করে আসছে। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় ছিল।
কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ইত্যাদি কারণে বনভূমি উজাড় হয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ করতে এবং অনেকাংশে শহরায়ণের বাড়তি চাহিদা মেটাতে দ্রুত বর্ধনশীল বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বিগত কয়েক দশকে এই কর্মসূচিতে বাস্তুসংস্থান বা বায়োমের বিষয়টি স্থান পায়নি। এ কথা সত্য যে গ্রামের সাধারণ, শিক্ষাবঞ্চিত, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদেরকে তথাকথিত উন্নয়নের তকমা-আঁটা তত্ত্ব দিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে সামাজিক বনায়ন সম্পর্কে। যে কারণে ক্ষতিকর প্রজাতির নানান বৃক্ষে বাংলাদেশের সমগ্র অঞ্চলের পরিবেশ নীরব হুমকির মুখে পড়েছে।
চার
উদ্ভিদ ও প্রাণীর সহাবস্থান এবং বিবর্তনের মধ্যে ধারাবাহিকতার সম্পর্ক রয়েছে। এই সহ-বিবর্তনিক অবস্থা ও সম্পর্কের ভিত্তিতে পৃথিবীর জীব এবং জৈববৈচিত্র্য একটি স্বাভাবিক গতিতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে বিবর্তিত হয়েছে। একেকটি অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে একেক প্রজাতির উদ্ভিদের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীর সহ-বিবর্তনিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা এক প্রজাতির প্রাণীর সঙ্গে আরেক প্রজাতির প্রাণীরও ঘটে। ফলে একটি প্রজাতির উদ্ভিদের বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ওই বিশেষ প্রজাতির প্রাণীরও বিলুপ্তি ঘটে। যেমন সিলেটের লালমুখ দাগি-ডানা পাখি। ওই অঞ্চলের একজাতীয় বাঁশের বিলুপ্তির কারণে পাখিটিও হারিয়ে গেছে। স্থানীয় একটি উদ্ভিদ যত প্রাণী আশ্রয় দেয়, বহিরাগত গাছ তা দেয় না, এমনকি কখনো সে সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। যেমন ইউরোপের ওকগাছ প্রায় ৫০০ প্রজাতির শুঁয়াপোকাকে আশ্রয় দেয়। এশিয়ার গিঙ্কো উদ্ভিদ ইউরোপে বহিরাগত। এটি ইউরোপে মাত্র ৫ প্রজাতির শুঁয়াপোকাকে আশ্রয় দিতে পারে। সেখানকার সব ওকগাছ কেটে বহিরাগত এশিয়ান গিঙ্কো রোপণ করে, তাহলে ৫ প্রজাতির শুঁয়াপোকা ব্যতীত বাকিগুলো ইউরোপ থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পৃথিবীতে ৪০ শতাংশ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার কারণ ক্ষতিকর বহিরাগত আগ্রাসী বৃক্ষ-প্রজাতি।
শহর ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। বিপুল মানুষ জীবিকাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে নগর ও শহরতলিতে বাস করে। শিল্পায়ন, প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ, যাতায়াতব্যবস্থার প্রসারসহ যন্ত্রের ক্রমবর্ধিত ব্যবহার অস্বীকার করা যায় না। এ কারণে প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর চাপ ও গ্রিনহাউস ইফেক্ট বাড়ছে। কলকারখানার ধোঁয়া, দূষিত তরল, বর্জ্য, বিষাক্ত গ্যাস উদ্গিরণ- এসবই প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। এই সংকট মোকাবিলার দুটি সাধারণ উপায় হলো [ক] পুনঃ অরণ্যায়ন ও [খ] অরণ্যায়ন।
বন উজাড় হয়ে যাওয়া এলাকায় আগে সেখানে যে প্রজাতির উদ্ভিদ ছিল, সেসব রোপণ করা হলো পুনঃ অরণ্যায়ন। অরণ্যায়ন হলো কৃত্রিম বনভূমি গড়ে তোলা, যেখানে অরণ্য ছিল না সেসব স্থানে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা। পুনঃ অরণ্যায়ন নানান পর্যায়ে হতে পারে, যেমন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, অর্থাৎ বাড়ির উঠানে অথবা নিজস্ব জমিতে। আরেকটি হলো সামাজিক বনায়ন। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রজাতির উদ্ভিদকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাহলেই মানুষ ও প্রাণিকুলের যৌথ মানবিক এবং সুস্থ সমাজ নির্মাণ সম্ভব।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট