skip to Main Content

ফিচার I পি দি ম

জামদানিকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। ২০১৩ সালে। কিন্তু কালক্রমে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পতিত হচ্ছেন এর বয়নশিল্পীরা। তার ওপর করোনা প্যানডেমিকের কারণে জামদানিশিল্প প্রায় থমকে গেছে। উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে বয়নশিল্পী, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেরই।

এই পরিস্থিতিতে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা সচল করতে কিনমু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সৌজন্যে তৈরি হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। www.kinmu.com.bd। অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এই ওয়েবসাইটে জামদানিসংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো মিলবে। সরাসরি তাঁতি বা উদ্যোক্তার কাছ থেকেই সংগ্রহ করা যাবে সেগুলো। ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়েছে পিদিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। এর নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভিন বরুন ব্যানার্জির হাত ধরে ১৯৯৭ সালে পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে ফাউন্ডেশনটি। বর্তমানে এতে যুক্ত রয়েছেন ৫৭ হাজারের বেশি সদস্য। দেশের অভ্যন্তরে ১১টি জেলার ৫৬টি উপজেলার ৭০টি শাখায় ৬০০-এর অধিক কর্মীর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে পিদিম ফাউন্ডেশন।
চলতি বছরের মার্চে জামদানিপণ্য উৎপাদনে দেশীয় ডিজাইনারদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করেছিল পিদিম ফাউন্ডেশন। সঙ্গে ছিল ‘যথাশিল্প’। কর্মশালায় ডিজাইনাররা জামদানি দিয়ে জানালার পর্দা, মোবাইল কাভার, জেন্টস মানিব্যাগ, ফাইল কাভার, পেন হোল্ডার, ল্যাম্পশেড, টিপ, গয়না, গয়নার বাক্স (নরমাল এবং বটুয়া টাইপ), চাবির রিং, নোটবুক, টিস্যু বক্স, ফটো অ্যালবাম, লেডিস সাইড ব্যাগ, পার্টি পার্স, গাউন, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কার্ফ, টাই, টুপি, জায়নামাজ ইত্যাদির সম্ভাব্য নকশা প্রণয়ন করেছেন।

এই নকশাগুলো দিয়ে পরবর্তীকালে কিছু পরীক্ষামূলক পণ্য তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেগুলো তৈরি হয়েছে পাট ও চামড়ার মিশ্রণে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিনমু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড তাঁতি এবং মধ্যবর্তী খাতগুলোকে সমন্বয় করে পণ্যগুলো তৈরি ও বাজারজাত করেছে। পিদিম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, খুব শিগগির বৈচিত্র্যময় জামদানিপণ্যগুলো kinmu.com.bd এর মাধ্যমে ক্রেতারা কিনতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, জামদানিপণ্যের বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রচলিত প্রডাক্টের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রচলন বা বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জামদানিশিল্পের প্রসার বাড়ানো। চাহিদাযোগ্য পণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে তাঁতি, কারিগরসহ পেশার সব পর্যায়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন ঘটানো এবং সর্বোপরি এই শিল্পকে নিয়মিত ও চাহিদাসম্পন্ন শিল্পে পরিণত করা।

 ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: পিদিম ফাউন্ডেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top