ব্লগার’স ডায়েরি I মাস্ক টাইম
মুখাবরণ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ঘর থেকে বের হলে এ দুটো সঙ্গে রাখতেই হয়। এসব সুরক্ষা উপকরণ এখন ফ্যাশন স্টেটমেন্টও। প্রতিদিন সার্জিক্যাল মাস্ক পরা কিছুটা ঝামেলা বটে। তা ছাড়া এটি একবার ব্যবহারের উপযোগী।
তাই সহজলভ্য আর ঝামেলামুক্ত হলো কাপড়ের মাস্ক। এটি তিন লেয়ারের সুরক্ষা দেয়। ধোয়াও যায়। সুতরাং কাপড়ের মুখাবরণ ব্যবহারের সুবিধা বেশি। এ কারণে এই মাস্কের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রঙ, প্রিন্ট ও হরেক ডিজাইনের কাপড়ের মাস্ক তৈরি করা যায়। তা হতে পারে ফুলেল প্রিন্টের, নানান টেক্সচারের, গ্রেডিয়েন্ট।
স্বচ্ছন্দে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রিন্টের মাস্ক। এমনকি পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করেও পরা যায়। আজকাল বাজারে পরিধেয়র সঙ্গে মানিয়ে কম্বো সেট পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া চাইলে পছন্দের প্রিন্টের মাস্ক কাস্টমাইজ করে নেওয়া যায়। কিছু মুখাবরণের অনলাইন বেইজ ওয়েবসাইট আছে। সেখান থেকেও সংগ্রহ করা যায় নতুন নতুন প্রিন্টের মাস্ক, যেমন- গামছা প্রিন্ট, রিকশা প্রিন্ট, টাঙ্গাইল শাড়ির প্রিন্ট, জামদানি প্রিন্ট। এ ছাড়া চাইলে পছন্দের কোনো ওয়েব সিরিজের থিমে ছেপে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আবার ড্রেস ম্যাচিংসহ মাস্ক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে মানিয়ে পরা যায়। যেমন একই প্রিন্টের স্ক্রাঞ্চি, হেয়ার ব্যান্ড কিংবা ডেনিম জ্যাকেটের সঙ্গে মিলিয়েও হতে পারে ভিন্ন স্টেটমেন্ট। এ ছাড়া কোনো বিবাহ অনুষ্ঠান বা পার্টিতে অনায়াসে পরা যায়। নানা ডিজাইনের ফেন্সি মাস্কও চলতে পারে। স্যাটিন, ভেলভেট, সিল্ক অথবা লেইসের ফ্যাব্রিকেও তৈরি হচ্ছে। কাতানের মাস্কগুলো নজরকাড়া হয়ে থাকে। এসবে পার্ল, এমব্রয়ডারি, জারদৌসি, গোটাপাত্তি এবং জরি-চুমকির কাজও হতে পারে। অন্যদিকে ইউটিউবে আছে নানান টিউটোরিয়াল, যেগুলো দেখে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায় পছন্দসই মুখাবরণ।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রতিনিয়তই সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তাই আমাদের প্রতিদিনের জীবনে মাস্ক এখন নতুন উপকরণ। সামনের দিনগুলোতে ফ্যাশনেও মাস্কে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেবে।
আফসানা খান তুরা
ফেসবুক: afsanakhantura
ইনস্টাগ্রাম: afsanakhan003
ইউটিউব: Afsana Khan Tura