skip to Main Content

ইভেন্ট I জুরহেম আর্লি স্প্রিং

দেশীয় লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে জুরহেম ইতিমধ্যে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে। ব্র্যান্ডটির কিছু পণ্য সাড়া জাগিয়েছে। কালেকশনে প্রতিষ্ঠানটি ট্র্যাডিশনাল ফ্যাশন শো-কে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। অতিমারির এই সময়েও ব্যতিক্রম ঘটেনি। এরই মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হলো জুরহেমের ফ্যাশন শো। তাদের এবারের কালেকশনের নাম জুরহেম আর্লি স্প্রিং ২০২১। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফ্যাশন হাউসটির দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন করা হয়।
অতিমারির কথা মাথায় রেখে অন্য সময়ের চেয়ে কমসংখ্যক অতিথিকে নিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হয় এবারের ফ্যাশন শো।
গতানুগতিক কোনো স্টেজ নয়। অনুষ্ঠানস্থলটি সাজানো হয় ফ্রেঞ্চ গার্ডেনের আদলে। এ জন্য ব্যবহার করা হয় বসন্তের প্রতীক বাহারি সবুজ পাতা। ফ্যাশন শোর উপস্থাপনা করেন জুরহেমের চেয়ারম্যান সাদাত চৌধুরী। কালেকশনের ডিজাইনার ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মেহরুজ মুনির। তার নকশা করা চোখধাঁধানো সব জমকালো পোশাক পরে র‌্যাম্পে হাঁটেন ৪৩ জন নারী ও পুরুষ মডেল। কোরিওগ্রাফ করেছেন আজরা মাহমুদ। ফ্যাশন শোর মেকওভার পার্টনার ছিল পারসোনা।
নতুন আর্লি স্প্রিং ২০২১ কালেকশনের থিম ‘ইজি টু ওয়্যার’। ফরমাল ও ক্যাজুয়াল পোশাকের পাশাপাশি ছিল ইভনিং ওয়্যার, লাউঞ্জ ওয়্যার এবং ককটেল ওয়্যারের সমারোহ। তরুণ থেকে বয়স্ক- সবার কথা চিন্তা করে সাজানো হয়েছে এই ‘বিশেষ’ সংগ্রহ। বিশেষ উল্লেখের কারণ কাস্টমাইজড পোশাকের জন্য জুরহেমের পরিচিতি। তবে এই কালেকশনের মধ্য দিয়ে তারা হেঁটেছেন ভিন্ন পথে। এবারের সব পোশাকই পাওয়া যাবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে, প্রতিষ্ঠানটির শাখায়।
ইজি টু ওয়্যার থিমের পোশাকগুলো বানানো হয়েছে সবার স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে। ওমেনস ওয়্যার আর মেনজ ওয়্যারে রঙ ও ফ্যাব্রিকে ছিল বৈচিত্র্য। পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে হালকা থেকে উজ্জ্বল সব শেডের রঙ। মেয়েদের পোশাকের সংগ্রহে ছিল ওয়েস্টার্ন ধাঁচের ফিউশন গাউনের বাহার। এগুলো বানাতে কটন, জার্সি কটন, সিল্ক, জর্জেট, শিফন, মসলিনের মতো ফ্যাব্রিকের ব্যবহার হয়েছে বেশি। ছেলেদের পোশাকের মধ্যে ছিল ফরমাল ও ক্যাজুয়াল প্যান্ট, স্যুট, জ্যাকেট, কোট। ফ্যাব্রিক হলো কটন, জার্সি কটন, লিনেন ও কটনের মিক্স কাপড়। ওমেনস ওয়্যারে জ্যামিতিক ও ফ্লোরাল প্রিন্টের ব্যবহার বেশি দেখা গেছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া মেনে বানানো পোশাকগুলো যেকোনো সময় সব ধরনের অনুষ্ঠানে পরিধানযোগ্য। সংগ্রহে কিছু শীতের পোশাকও ছিল। এই পোশাকগুলো বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের উল এবং অজগরের চামড়া।
জুরহেমের পোশাকের ফ্যাব্রিকগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা। তারপর স্থানীয়ভাবে ডিজাইন করে বানানো হয়। তবে এবার নির্ধারিত নকশা পাঠানো হয় ইতালিতে। ইতালির ফ্যাব্রিক দিয়ে সেখানকার কারখানায় সম্পূর্ণ পোশাক তৈরি করা হয়।
 ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: জুরহেম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top