ইভেন্ট I সিমিলির গ্ল্যাম আপ উইদ হোপ
বাংলাদেশে হাইএন্ড ফ্যাশনের বাজার সৃষ্টির প্রয়াসে ছয় বছর আগে সিমিলি ওত কতুর ফ্যাশন স্টুডিওর যাত্রা শুরু। ইতিমধ্যেই অভিজাত মহলের নারীদের কাছে বেশ সাড়া জাগিয়েছে এই ব্র্যান্ড। অতিমারিতেও থেমে নেই তাদের পথচলা। এরই ধারাবাহিকতায় ১ মার্চ গার্ডেন গোরমে বাই এসঅ্যান্ডএস কুজিনারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিমিলি ওত কতুর গ্ল্যাম আপ উইদ হোপ ফ্যাশন শো। এতে প্রদর্শিত হয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির অসাধারণ সব স্প্রিং কালেকশন। অতিমারির কথা মাথায় রেখে পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় সামাজিক দূরত্ব মেনে।
স্প্রিং কালেকশনটি সাজানো হয়েছিল চোখধাঁধানো সব ফরমাল ও ফেস্টিভ উইমেনস ওয়্যারে। পোশাকে আর রঙে ছিল বৈচিত্র্য। ট্র্যাডিশনাল ড্রেসের পাশাপাশি ছিল ওয়েস্টার্ন আউটফিট। আবার বেশ কিছু ফিউশন পোশাকও ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেগুলো বানানো হয়েছে সত্তর-আশির দশকের প্রেরণায়। গাউন টপস থেকে শুরু করে শাড়ি- সবকিছুতে ছিল সত্তর-আশির দশকের স্টাইলের ছোঁয়া। যেমন টপস ও শাড়িতে দেখা গেছে রাফলের ব্যবহার। এ ছাড়া সাধারণ লং স্লিভ, শর্ট স্লিভের সঙ্গে ছিল নানা ঢঙের পাফি স্লিভ। এসবের পাশাপাশি ছিল ফিউশন অ্যাসিমেট্রিক কামিজ, কাফতান, লেহেঙ্গা, প্যান্ট, স্কার্ট, জাম্পস্যুট। বিশেষভাবে নজর কেড়েছে লেহেঙ্গার ওপর লং কোট আর শাড়ির সঙ্গে বাহারি ডিজাইনের ব্লাউজ।
ফ্যাব্রিক হিসেবে ব্যবহার করা হয় কটন, সিল্ক, মসলিন, ক্রেপ, জর্জেট ইত্যাদি। প্যাটার্নে প্রাধান্য পেয়েছে ফ্লোরাল মোটিফ। এর ভেতর মসলিনের ওপর জামদানি মোটিফের ব্যবহার ছিল মুগ্ধ করার মতো। তবে আলাদা করে বলতে হয় রঙের কথা। সাদা, কালো, রোজ গোল্ড, সবুজ তো ছিলই। বেশি দেখা গেছে ধূসরের উপস্থিতি। এই রঙের ব্যবহার বসন্তের পোশাকে সচরাচর দেখা যায় না। এ নিয়ে সিমিলি ওত কতুরের স্বত্বাধিকারী মেহেজাবিন মুস্তাফিজ সিমিলি বলেন, ‘প্যান্টন প্রতিবছর একটি রংকে কালার অব দ্য ইয়ার করে। এ বছর তারা অ্যাশ-ইয়েলোকে কালার অব দ্য ইয়ার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আর এ দুটি শেডের কম্বিনেশনের অর্থ হচ্ছে আশা। যেটি আমাদের এবারের আয়োজনের প্রধান থিম- ‘নিউ হোপ ফর নিউ লাইফ’।
এই ফ্যাশন শোর কোরিওগ্রাফার ছিলেন ইমরান আলী শিকদার, মেকওভার করেছেন ফেরদৌস হাসান অর্ক। জুয়েলারি কারটেসি জেফজুয়েলস। মিডিয়া পার্টনার হারনেট টিভি।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ