ইভেন্ট I ম্যাজিক্যাল থ্রেডস
র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ৫ মার্চ বেশ ঘটা করে অনুষ্ঠিত হলো ‘ম্যাজিক্যাল থ্রেডস রানওয়ে ২০২১’। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক গ্লোবাল ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন স্টুডিও হাউস অব আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
হাউস অব আহমেদের পথচলা খুব বেশি দিনের না হলেও বাংলাদেশের হাই ফ্যাশনে একটি শক্ত অবস্থান গড়েছে এই ব্র্যান্ড। শুরু থেকেই হাউসটির পরিচালক আহমেদ তুহিন রেজা এবং তানজিলা এলমা দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকের এমন একটি লেবেল তৈরি করতে চেয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার উপযুক্ত। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কারিগরেরা যে বিশ্বমানের কাজ উপহার দিতে পারবেন, বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
ফ্যাশন শোর শুরুতে বিবি রাসেলের নকশা করা ১১টি পোশাক পরে মঞ্চে হাঁটেন মডেলরা। পতাকার লাল-সবুজ থিমের গামছা চেক ও জামদানি কাপড়ের পোশাক ছিল নান্দনিক। নজর কেড়েছে কুশিকাঁটার লেয়ারিং পোশাক, প্যান্ট, শাড়ি আর ক্রকস স্টাইলের লাল-সবুজ রিকশাপ্রিন্টের জুতা। সংগ্রহে আরও ছিল হাতে তৈরি অ্যাকসেসরিজ যেমন মালা, দুল, চুড়ি, মাস্ক এমনকি হাল ফ্যাশনের ফ্যানি প্যাক। কিউ শেষে দীর্ঘদিন পর মঞ্চে ওঠেন বিবি রাসেল।
দ্বিতীয় কিউতে প্রদর্শিত হয় হাউস অব আহমেদের তৈরি উৎসবের জমকালো পোশাক। পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, ওয়েস্টকোট, পাগড়ি, শাড়ি, শারারা, সালোয়ার-কামিজ- এমন ৪০টি পোশাক পরে জনপ্রিয় বাংলা গানের সঙ্গে মঞ্চে হাঁটেন মডেলরা। এসব পোশাকে ব্যবহৃত হয়েছে জামদানি, সিল্ক, মসলিন, কাতানের মতো দেশীয় কাপড়। আউটফিটগুলোয় জারদৌসি, পেটানো জরির কাজ, কারচুপির কাজ ফুটিয়ে তুলেছেন সূচিশিল্পীরা।
এই ফ্যাশন শোর কোরিওগ্রাফার ছিলেন ভারতীয় মডেল নয়নিকা চ্যাটার্জি। বিউটি পার্টনার ছিল ফারজানা শাকিল’স মেকওভার স্যালন। এ ছাড়া সহযোগী পার্টনার ছিল ইউনিলিভার বাংলাদেশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ভাইরাল শিল্ড, এফবি ফুটওয়্যার।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ