skip to Main Content

ফরহিম I প্রি-শেভিং অয়েল

গোঁফ-দাড়ি কামানোর জন্য মুখত্বক প্রস্তুত করতে এর জুড়ি নেই। অন্যান্য কাজেও লাগে

রূপচর্চায় এখন পুরুষও যথেষ্ট সচেতন। দিন দিন তারা মনোযোগী হয়ে উঠছে নিজেদের যত্নের প্রতি। দাড়ি কামানো তাদের জরুরি একটি কাজ। কেউ কেউ হাল-ফ্যাশনের সঙ্গে পাল্লা দিতে মুখত্বক দাড়িতে ঢেকে রাখে, কেউ আবার সব সময়ই ক্লিন শেভে থাকতে অভ্যস্ত।
অফিসের ঊর্ধ্বতন মিটিংয়ে, বিয়েবাড়ির দাওয়াতে, ডেট করতে যাওয়ার সময় অথবা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানেই ক্লিন শেভ ফরমাল থাকার অংশ হিসেবেই গণ্য করা হয়। এর মধ্যে আবার কেউ প্রতিদিনই ঘর থেকে বের হবার আগে গোসলের ফাঁকে সেরে নেয় শেভিংয়ের কাজটাও।
প্রতিদিন শেভ করলে এ কাজে হাত দক্ষ হবে ঠিকই, তবে এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে ত্বক যেমন শুকিয়ে যাবে, একটা সময় তা রুক্ষও হয়ে উঠতে পারে। তাহলে কি শেভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে? এর সমাধান হতে পারে প্রি-শেভিং অয়েল।
নামেই বোঝা যাচ্ছে, এই তেল শেভ করার আগে ব্যবহার করতে হয়। এটা মাখার ফলে কোনো রকম বাড়তি প্রচেষ্টা ছাড়াই দাড়ি মসৃণভাবে কাটা যাবে। শুধু এটুকুই নয়, প্রি-শেভিং অয়েল ব্যবহারে ত্বকের আরও অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এটি ত্বকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এতে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সঠিক উপায়ে ত্বকের আর্দ্রতায় সহায়ক। তেলটি ব্যবহারে রয়েছে বিভিন্ন রকম উপকারিতা-
ত্বকের প্রাকৃতিক মসৃণতায়
প্রি-শেভিং অয়েল শুধু দাড়িই প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট করবে না, ত্বককে রাখবে নরম ও মসৃণ। এর তৈলাক্তকরণ পদ্ধতি দাড়ি মসৃণভাবে কাটার জন্য প্রস্তুত করবে। শেভ করার কয়েক মিনিট আগে এই তেল ব্যবহার করে উপকারিতা পাওয়া যাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য।
জ্বালাপোড়া থেকে সুরক্ষায়
তেলটি রেজরের আঁচড়ের জ্বালাপোড়া থেকে ত্বক সুরক্ষিত করে। দাড়ি কামানোর আগে যদি এই তেল কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করা হয়, তবে রেজরে অতিরিক্ত কোনো চাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। খুব সহজেই মুখে গজানো চুলগুলো রেজরের সাহায্যে উঠে আসে। এতে স্বাভাবিক শেভিংয়ের পর মুখে যে জ্বালাপোড়ার সম্মুখীন হতে হয়, তা থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
সহজ শেভিংয়ে
এই তেল ব্যবহারের কারণে কর্মব্যস্ত সকালে সময় নষ্ট হবে এমন নয়। বরং স্বাভাবিক শেভিংয়ে সাধারণত যত সময় লাগে তার চেয়ে দ্রুত এবং সহজ ও আরামদায়ক উপায়ে কাজটি সেরে নেওয়া যায়। এটি ব্যবহারের পর অন্যান্য দিনের সঙ্গে টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং ত্বকের পার্থক্য চটজলদি বোঝা যাবে।
ব্যবহার বৈচিত্র্যে
প্রি-শেভিং অয়েল মূলত পুষ্টিকর তরল এবং ভিটামিনের মিশ্রণে তৈরি একটি উপাদান। এটি আফটার শেভিং হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দাড়িতে ব্যবহৃত তেল হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যায়। তেলটি দাড়িকে নরম ও মসৃণ রাখে বলে নিয়মিত শেভ না করলেও এর ব্যবহারে উপকার মেলে।
অবাঞ্ছিত চুলের ঝঞ্ঝাট এড়াতে
শেভ করার পরও কিছু চুল বাঁকা হয়ে ত্বকের নিচে থেকে যায়। প্রি-শেভিং অয়েল ওই অবাঞ্ছিত এবং অন্তবর্ধিত চুলগুলো গোড়া থেকে তুলে আনতে সক্ষম। শুকনো ত্বক খুব দ্রুতই রুক্ষ করে দেয়, যা ত্বকের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই তেল কোনো রকম কাটা-ছেঁড়ার শঙ্কা থেকে ত্বক রক্ষা করবে। আকর্ষণীয়ও দেখাবে।
হাতের নাগালেই বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রি-শেভিং অয়েল পাওয়া যায়। স্বপ্ন, আগোরা, মীনা বাজারসহ বড় বড় চেইনশপে সাশ্রয়ী মূল্যে এটি কেনা যায়। এ ছাড়া নারকেল তেলও প্রি-শেভিং অয়েল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড, যা প্রি-শেভিং অয়েলের মতোই কার্যকর।

 সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
মডেল: রেহান
মেকওভার: পারসোনা মেনজ
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top