ফিচার I রসুইকর ফারহানা
শখের বশেই রন্ধনশিল্পী। ফারহানা মোস্তফা। এই বিদ্যার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। বেকারি আইটেমগুলো বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন। পরে রসনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গড়ে তুলেছেন রেস্তোরাঁ। সাত বছর ধরে তা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তবে করোনা অতিমারিতে রেস্তোরাঁর ঝাঁপ নেমেছে। কিন্তু প্যাশন তো আর বন্ধ থাকে না। দ্বারস্থ হয়েছেন অনলাইনের। চালু করেছেন ফুড বিজনেস। অন্তর্জালে অনেকেই বৈচিত্র্যময় পণ্যের বিকিকিনি চালায়। তবে ফারহানা বেছে নিয়েছেন ফুড। কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘যেহেতু প্যানডেমিকে কাজটা শুরু করি, সেই সময়টায় বাইরের খাবার তেমন একটা নিরাপদ নয়। তা ছাড়া ঘরে বসে ঘরোয়া স্বাদের খাবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখে অর্ডার করাটা মানুষের জন্য অনেকটা স্বস্তিদায়ক।’
ফারহানার অনলাইন গ্রুপের নাম ‘হোম মেড বাই ফারহানা’ (Home Made by Farhana)| । সাধারণত কোনো প্রোগ্রামের জন্য কিংবা কেক অর্ডারের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ দিন আগে বুকিং দিতে হয়। নরমাল খাবারের জন্য এক থেকে দুদিন আগে বললেই চলে। ডেলিভারিও হয় শিগগিরই। গ্রুপে মেম্বার সংখ্যা ৬০০ প্লাস। বেশির ভাগই সক্রিয়।
ফারহানার আইটেমগুলোর মধ্যে সিগনেচার ফুড হচ্ছে প্যাটিস ও ক্রিম কেক (কাস্টমাইজ বার্থ ডে কেক)। তা ছাড়া মেলে বিফ তেহারি, তান্দুরি চিকেন ইন মাই স্টাইল, বিফ হালিম, জার কেক, কাপ কেক, চকলেট মুজ ডোনাট। স্বল্প পরিসরে চালু আছে ক্যাটারিং সার্ভিসও। তাতে মিলবে দেশি ও বিয়েবাড়ির খাবার। ফ্রোজেন আইটেমে আছে আলু শিঙাড়া, চিকেন সমুচা, ডালপুরি বিফ শামি কাবাব, পরোটা ইত্যাদি।
খাবারের স্বাস্থ্যমান নিয়ে আপোস করেন না ফারহানা। বললেন, ‘ফুড ১০০ ভাগ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার চেষ্টা করি। কোনো আইটেমই বেশি আগে তৈরি করি না। অর্ডার নেওয়ার পর তৈরি করি। কাজেই খুব টাটকা থাকতেই ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয়।’
‘খুব সতর্কতার সাথে কাজ করি। প্রতিটি অর্ডার যারা প্রদান করেন, তাদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকি। কে কেমন পছন্দ করে সেই ফিডব্যাকটা খুব বেশি পরিমাণে নিই আর ফ্রেশ ফুড তো অবশ্যই। প্রত্যেক অর্ডারকারী কী চাচ্ছেন কেমন চাচ্ছেন, তারা কেমন ফুড হ্যাবিট পছন্দ করেন—সবকিছুই আমি প্রডাক্ট রেডি করার সময় মাথায় রাখি এবং প্রশ্ন করে জেনে নিই’—জানালেন তিনি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে বলেছেন, সবকিছু যখন আবার স্বাভাবিক হবে, তখন ইচ্ছা আছে Made by Farhana physical shop Kivi| করার।
ছবি: ফারহানা মোস্তফা