অ্যাডভার্টোরিয়াল I স্টেপ ফুটওয়্যার
স্টেপ। শামিম কবির ও তানজীনা আনোয়ার কবির দম্পতির উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে ফুটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটি। যাপিত জীবনে জুতার গুরুত্বটি স্বামীকে উপলব্ধি করিয়েছিলেন স্ত্রীই। বর্তমানে উত্তরা ৬ নম্বরে ৬০ ফুটের শোরুমের সঙ্গে ঢাকা ও জেলা শহরে ৮০টি শোরুম স্থাপন করেছে স্টেপ। পাশাপাশি দেশজুড়ে জুতার দোকানে ২০০টির মতো কাউন্টার রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তানজীনা আনোয়ার কবির শিশুদের জন্য পেরিউইংকেল ব্র্যান্ডের পণ্য যোগ করেছেন স্টেপ ফুটওয়্যারের সঙ্গে। এর পেছনে ছিল তার স্বামীর অনুপ্রেরণা। তানজীনা বলেন, ‘সে (শামিম কবির) এমন একটা মানুষ, যে সব সময় অন্যকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এমনিভাবে আমিও আমাদের দেশের তরুণ কর্মপ্রবল জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করতে চাইলাম, যারা প্রতিনিয়ত দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে।’
স্টেপ ফুটওয়্যারের অধিকাংশ ব্যবসায় অংশীদার তরুণ ও উদ্যমী মনোভাবের। কাজের মাধ্যমে শেখা নীতি অনুসরণের মাধ্যমে শামিম এবং তানজীনা দম্পতি তরুণ কর্মীদেরকে তৈরি করছেন যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে। এ বিষয়ে শামিম কবির বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে চেয়েছি তরুণেরা স্বাবলম্বী হোক। কাজের মাধ্যমে শেখা এবং উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে স্টেপের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। নিজের স্বল্প পুঁজি থাকলেও স্টেপের পার্টনারশিপের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে তরুণেরা।’
ব্যবসা শুরুর আগে বাজারের সম্ভাবনা এবং পণ্যের মান যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সাত বছর দেশে ও দেশের বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছেন শামিম ও তানজীনা। দেখেছেন পণ্যের মান, জেনেছেন প্রযুক্তি এবং স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা। তারপর গড়ে তুলেছেন স্টেপ ফুটওয়্যার।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে জুতা উৎপাদন করতে চেষ্টা করে স্টেপ। তিনটি মডেলের জুতা থেকে শুরু করে এখন মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে বেড়েছে নকশার পরিধি। যদিও, তাদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অদম্য চেষ্টা ও পরিশ্রম। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রতি আস্থা এবং পারস্পরিক বিশ্বাসই এগিয়ে নিয়েছে তাদের উদ্যোগকে। সার্বিকভাবে তাদের এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক জুতার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।