আলাপন I সবাই কাজের স্বীকৃতি আশা করে। আমিও করি : – নাসির আলী মামুন
মাদার তেরেসা থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানীসহ বিখ্যাত মানুষদের পোর্ট্রেট তার ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিকে নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। তিনি আর কেউ নন, নাসির আলী মামুন। ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে জন্ম। ১৯৭২ সালে দেশে প্রথম পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির সূচনা করেন তিনি। সম্প্রতি পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি নিয়ে নিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা বলেছেন সালেহীন রানার সঙ্গে
ক্যানভাস : কেমন আছেন?
নাসির আলী মামুন : উত্তরে বলব, ভালো নেই। খুব বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সবাই। প্রতিদিন চেনা-অচেনা মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে ভালো থাকি কী করে।
ক্যানভাস : করোনাকালীন কীভাবে কাটছে আপনার?
নাসির আলী মামুন : সবার মতো আমি বাসাতেই থাকছি। লেখালেখি করছি। সময় পেলে ছবি আঁকছি। আমার অনেক ছবি অরক্ষিত অবস্থায় নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো ভালো আছে সেগুলোকে স্ক্যানিং করে সময় কাটছে। পরিচিতজনদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছি।
ক্যানভাস : দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আপনার ক্যারিয়ার। এই সময়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খাতায় কী যুক্ত হয়েছে?
নাসির আলী মামুন : প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির সঙ্গে আরও একটি শব্দ যুক্ত করতে চাই। সেটি হচ্ছে আক্ষেপ। প্রাপ্তি আছে অনেক। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত মানুষদের পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি করেছি। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সম্মান পাচ্ছি। অপ্রাপ্তির কথা বলতে গেলে আমি দুজন মানুষকে নিয়ে কাজ করতে পারিনি—নেলসন ম্যান্ডেলা ও ইয়াসির আরাফাত। আরও কয়েকজন বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কিন্তু পোর্ট্রেট করতে পারিনি। মাঝে মাঝে আফসোস হয়। আর আক্ষেপটা হচ্ছে, সবাই কাজের স্বীকৃতি আশা করে। আমিও করি। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে আমার ভাগ্যে এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতিটি আসেনি। এটি নিয়ে আমার মধ্যে একধরনের আক্ষেপ আছে।
ক্যানভাস : অনেকেই পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি করছেন? কিন্তু আপনার সমপর্যায়ে কিংবা আপনাকে ছাড়িয়ে অথবা আপনার কাছাকাছি কেউ আসতে পারছেন না। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
নাসির আলী মামুন : হ্যাঁ। এটি আমাকেও খুব পীড়া দিচ্ছে। দেশে আমিই প্রথম পোর্ট্রটে ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমার পরে অনেক তরুণও কাজ করছেন। আমি বিশ্বাস করি, তরুণদের অনেক মেধা আছে। তারা নিজেদের মেধা বিকশিত করেন না। একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকে রাখেন। অনেকেই আছেন, আমাকে অনুসরণ করেন। আমি এটি দোষের বলব না। তবে তারা যদি নিজের মেধা দিয়ে, চোখ দিয়ে ভিন্ন কিছু বের করতে পারেন, তাহলে আমি হয়তো আমার উত্তরসূরি খুঁজে পাব। আমার বিশ্বাস, এই যোগ্যতা তাদের মধ্যে আছে।
ক্যানভাস : নতুনদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
নাসির আলী মামুন : সবকিছুর আগে ভালোবাসা দরকার। কোনো কিছু তীব্রভাবে ভালোবাসলেই সেটা তোমার বন্ধু হবে। কাজ করবে তোমার সঙ্গে। ক্যামেরাকে বন্ধু না বানাতে পারলে সে তোমার কথা শুনবে না।
ক্যানভাস : ব্যক্তি উদ্যোগে ফটোগ্রাফির দু-একটি ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে, তা-ও রাজধানীকেন্দ্রিক। কিন্তু দেশজুড়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ রকম ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন আছে বলে আপনি মনে করেন?
নাসির আলী মামুন : এই জায়গাতে আমার কষ্ট আছে অনেক। ফটোগ্রাফি নিয়ে শিল্পমাধ্যমের যেন কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যদি তেমন না হতো, তবে বহু আগেই শিল্পকলা একাডেমিতে ফটোগ্রাফি বিভাগ থাকত। এটির জন্য ৫০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। কেন, কোন অদৃশ্যের কারণে এটি হচ্ছে না, তা জানা নেই। আমার একটি চাওয়া আছে, সেটি হচ্ছে সব বিশ্ববিদ্যালয়, চারুকলা অনুষদ এবং শিল্পকলা একাডেমিতে ফটোগ্রাফি বিভাগ চালু হোক। তাহলে আমাদের প্রজন্ম উপকৃত হবে।
ক্যানভাস : পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?
নাসির আলী মামুন : একদম ছোটবেলা থেকে। আমাদের বাসা ও প্রতিবেশীদের বাসায় ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান, ডন ইত্যাদি পেপার দেখতাম। সেগুলোতে বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যিকের ছবি ছাপা হতো। তখন ওদের ছবি দেখতাম আর ভাবতাম, কীভাবে এমন করছে, ক্যামেরার ফোকাস কীভাবে করছে, ছবি তোলার সময় ওরা মানুষগুলোর সঙ্গে কী কথা বলছে। এই করতে করতে একটা সময় আমি ওদের ভক্ত হয়ে গেলাম। ওদের ছবি কেটে রাখতাম। ১৯৭১ সালের পর ভাবলাম, কিছু একটা করব। ১৯৭২ সালে প্রথম ছবি তোলা শুরু করি। কবি আহসান হাবীব, মণি সিংহ—এমন মানুষদের ছবি তোলা দিয়ে শুরু করি।
এর আগে পত্রিকায় যে ছবিগুলো প্রকাশ পেত, সেগুলোতে চেহারার কোনো ঠিক থাকত না। ছবিগুলো স্টুডিও থেকে তোলা হতো। তারপর সেগুলোতে অনেক কারুকার্য করা হতো। যে মানুষটার গাল চোপসানো, তার গাল দেখা যেত ফোলা। কারও গালে গর্ত কিন্তু ছবিতে সেটা ঢেকে ফেলা হতো। আমি ঠিক করলাম, মানুষের চেহারা যেমন ঠিক তেমন ছবিই ধরব আমি আমার ক্যামেরায়। তখন বেশির ভাগ ফটোগ্রাফার ছবি তুলতেন ল্যান্ডস্কেপের। আমি ভাবলাম, নতুন একটা পথ বের করি। তখন এত সুযোগ হয়নি অন্যদের কাজ দেখার। সে সময়ে বাংলাদেশে পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি বলে কিছু ছিল না। বাইরের দেশের শিল্পীদের কাজ থাকত ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতন জায়গায়। সেখানে যাওয়ারও সাহস অনেকের হতো না। আমি ছিলাম নি¤œ মধ্যবিত্ত ঘরের একজন অসুখী তরুণ। প্রথম প্রথম যাদের বাসায় যেতাম ছবি তুলতে, তারা তেমন পাত্তা দিত না। ছবি তুলতে চাইত না। তখন তারকা ছাড়া কারও ছবি তোলার প্রচলনও ছিল না। কারণ, লেখক বা অন্যদের চেহারা ভালো না-ও হতে পারে। তবে তারা স্টুডিওতে যেতে চাইত। ওরা বলত, তারা তো তারকা না। তারা মুভি করে না। আমি তাদের বোঝাতাম, আপনারা তো স্টুডিওতে যাচ্ছেনই ছবি তুলতে। আমি যদি বাসায় এসে বিনা পয়সায় সেই ছবি তুলে দিই, তাহলে কেন তুলবেন না। এরপর আমার কাজ নিয়ে প্রথম প্রদর্শনী হয় বাংলা একাডেমিতে।
ক্যানভাস : কাদের ছবি তুলতে বেশি ভালো লাগা কাজ করেছে বা কারা বেশি সহযোগিতা করেছেন?
নাসির আলী মামুন : অনেকের ছবি তুলেছি। প্রায় সবার ছবি তুলতেই ভালো লেগেছে। আর সহযোগিতা করেছেন খুব বেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এস এম সুলতান, শামসুর রাহমানসহ অনেকে। অবশ্য অবহেলাও করেছেন অনেক মানুষ।
ক্যানভাস : ছবি তোলার ক্ষেত্রে কী সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো?
নাসির আলী মামুন : প্রথমে বলেছি, যাদের ছবি আমি তুলেছি, তাদেরকে অনেক কষ্ট করে বোঝাতে হয়েছে। অনেক সময় ছবি তুলতে গিয়ে বড় ব্যাগ নিতাম ক্যামেরা রাখার জন্য। ব্যাগ রেখে বাথরুমে গেলে ঘরের লোকজন আমার ব্যাগ খুলে দেখত। আমি টের পেতাম, কিন্তু কিছু বলতাম না। পরবর্তীকালে আমি নিজেই আগে গিয়ে ওই বাসাগুলোতে ব্যাগের চেইন খুলে ঘরের এমন জায়গায় ক্যামেরা রাখতাম, যেন সবাই দেখতে পায়। এমনকি বলেও আসতাম যে কেন আমি এমন করছি।
ক্যানভাস : পারিবারিক কোনো বাধা এসেছিল কি না?
নাসির আলী মামুন : পরিবার বুঝতেও পারেনি। আমরা সাত ভাই-বোন ছিলাম। আমার দাদা ছিলেন সেই সময়কার ওই অঞ্চলের ৪ নম্বর মুসলমান গ্র্যাজুয়েট। বাবা ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। আমাদের পরিবারে সংস্কৃতির চর্চাটা ছিল। সবাই সংস্কৃতিমনাও ছিলেন। ব্যাপারটা এমন যে, অনেক বড় বাগানেও ফুল না থাকলে সেটার মূল্য থাকে না। আবার খুব ছোট বাগানেও ফুল-ফল থাকলে সেটার মূল্য অনেক বেশি হয়, ব্যাপারটা এমনই।
ক্যানভাস : নিজের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি জাদুঘর করার ইচ্ছা ছিল আপনার?
নাসির আলী মামুন : হ্যাঁ, করতে চেয়েছিলাম। এখনো চাই। আমার কাছে মানুষের হাতে লেখা চিঠি, ছবি এই সব নিয়ে। ২০১২ ও ২০১৪- তে এসব নিয়ে প্রদর্শনী করেছিলাম। যাতে করে কিছু টাকা আসে ফটোজিয়াম করার। কিন্তু এখনো কোনো স্পন্সর পাইনি। পরিচিত অনেকে থাকলেও টাকা দিয়ে সাহায্য করার মানুষ খুব কম।
ক্যানভাস : ফটোগ্রাফি ছাড়া নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
নাসির আলী মামুন : আমি নিঃসঙ্গ। কখনো বন্ধুর খোঁজ পাইনি। তবে ভালো মানুষ পেয়েছি অনেক। ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধু আছে। আর এই যে ভার্চ্যুয়াল জগৎ, সেটার বন্ধুত্বে বিশ্বাসী না আমি। এটা মানুষকে যত কাছে নিয়ে আসছে, ততই দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আর কেউ যদি ভালো কাজ করে, তাহলে তার শত্রু বাড়বেই। আমি তো মনে করি, প্রতিটা ভালো কাজে আপনার ৫০টা করে শত্রু বাড়বে।
ক্যানভাস : বিশ্বের প্রথম ছবির ইতিহাসটা কেমন ছিল?
নাসির আলী মামুন : ফ্রান্সের প্যারিস শহরে প্রথম শুরু হয় ফটোগ্রাফি। ১৮২৬ সালে ছবিটি তুলেছিলেন ফ্রান্সের বিজ্ঞানী জোসেফ নিসফোর নিপসে। বিশ্বের প্রথম ছবিটি তুলতে সময় লেগেছিল প্রায় আট ঘণ্টা। নিজেই বানিয়েছিলেন ক্যামেরার মতো একটি যন্ত্র, যা দিয়ে ছবি তোলা সম্ভব। সেই যন্ত্রে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তাদের বাড়ির গেট ও বাড়ির বাগানের ছবিটা তুলেছিলেন। অনেক সীমাবদ্ধতার ভেতর ছবিটি তোলা হয়, তাই ছবিটা ছিল আউট অব ফোকাস। তবে হালকা হালকা ইমেজ বোঝা যায়। এর কয়েক বছর পর কাচের প্লেট তৈরি হলো, যা অনেকটা নেগেটিভের মতো।
ক্যানভাস : বাংলাদেশের প্রথম ছবির ইতিহাসটা কেমন?
নাসির আলী মামুন : বাংলাদেশের ফটোগ্রাফির ইতিহাস লেখা হয়নি। তাই আমাদের ফটোগ্রাফির শুরুটা অনেকটা অন্তরালেই থেকে গেছে। যারা বাংলাদেশে ফটোগ্রাফির ভিত্তি রচনা করেছিলেন, তারা কেউই লিখে রাখেননি। তারপরও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকায় ফটোগ্রাফির শুরু ১৮৯৫-১৮৯৯ সালের দিকে। পুরান ঢাকায় নবাব সলিমুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা তাদের ছবি তোলার জন্য জার্মান এক ফটোগ্রাফার ফিৎস ক্যাপকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন। এই ফটোগ্রাফার পুরান ঢাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফি স্টুডিও চালু করেছিলেন। কিন্তু সেখানে সাধারণ মানুষ ছবি তোলার সুযোগ পেতেন না। বনেদি ও ধনী বংশের মানুষেরা ১৯১৪ সালের বেশ কিছুদিন পরে ছবি তোলার সুযোগ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আমাদের দেশে ছবি তোলার জন্য স্টুডিওর অস্তিত্ব ছিল। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরে ছবি তোলা হতো। শোনা যায় অন্যান্য জেলাতেও স্টুডিও ছিল।
ক্যানভাস : আমাদের ফটোগ্রাফির সমালোচনা তেমন চোখে পড়ে না, কিন্তু কেন?
নাসির আলী মামুন : দেশে ফটোগ্রাফির কোনো আলোচক-সমালোচক নেই। আমাদের এই ব্যাপারগুলোতে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে, জানতে হবে। কারণ, ফটোগ্রাফি এখন প্রধান শিল্পে পরিণত হয়েছে। সরকার এগিয়ে এলে ফটোগ্রাফি শিল্পটা আরও জোরদার ও বেগবান হবে।
ক্যানভাস : নিজেকে কীভাবে ভালো রাখার চেষ্টা করেন?
নাসির আলী মামুন : মন যখন খারাপ থাকে, তখন খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্য পেতে চাই। একই সাথে তাদের পোর্ট্রেট তুলি। বিশিষ্টজনদের কাছাকাছি গিয়ে ছবি তুললে, তাদের সঙ্গে কথা বললে মন কিছুটা ভালো লাগে।
ক্যানভাস : ছবি তোলার ক্ষেত্রে পোর্ট্রেটকে কেন বেছে নিলেন?
নাসির আলী মামুন : খ্যাতিমান হতে চাইতাম, কিন্তু কীভাবে খ্যাতিমান হওয়া যায়? ’৭২ সালের দিকে ভাবি, ক্যামেরা দিয়ে এমন কিছু করতে হবে, যা নতুন ও দেশের কাজে লাগবে। একসময় ভেবে বের করি, বাংলাদেশে আলোকচিত্রীরা পোর্ট্রেট ছবি তোলেন না। আমার মনে হলো, খ্যাতিমানদের পোর্ট্রেট যদি তুলি, এটি একটি নতুন ধারার কাজ হবে, এতে আমারও খ্যাতি আসবে। ফলে আমি পোর্ট্রেট তুলতে শুরু করি ’৭২ সালের জানুয়ারিতে। একসময় এই পোর্ট্রেট আমাকে আলোকচিত্রীদের মধ্য থেকে আলাদা করে এবং বাংলাদেশেও পোর্ট্রেট আলোকচিত্রের একটি ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ক্যানভাস : নিজের তোলা প্রিয় ছবিগুলো সম্পর্কে বলুন।
নাসির আলী মামুন : নিজের তোলা সব ছবিই আমার প্রিয়। আমি যাদের ছবি তুলেছি, তারা দুর্দান্ত সৃষ্টিশীল। তারা সবাই আমার কাছে জীবিত। মন খারাপ হলে তাদের ছবি দেখে অনুপ্রেরণা পাই। মনে হয়, আবার হয়তো তাদের ছবি তুলতে পারব। তাদের ছবির সামনে দাঁড়ালে মন খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকে না।
ক্যানভাস : আপনার কতগুলো প্রদর্শনী হয়েছে এবং কয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে?
নাসির আলী মামুন : আমার ছবি নিয়ে ৫৭টি প্রদর্শনী হয়েছে। বই প্রকাশিত হয়েছে ১২টি।
ছবি: নাসির আলী মামুন এর সৌজন্যে