সাজসারাই I হেয়ারস্টাইল ফর ফেশিয়াল কনটুরিং
মুখের গড়ন মেনে সাজ। তাতে সামঞ্জস্য আনতে হেয়ারকাট এবং স্টাইলিং। ব্যালান্সড আর অ্যাপিলিং লুকের জন্য
কনটুরিং কী? এটি সাজের একটি টেকনিক। এর মাধ্যমে ন্যাচারাল শেপে প্রসাধনী ব্যবহারের মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল ইল্যুশন তৈরি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মেকওভারের এই প্রক্রিয়ার জনপ্রিয়তা। শুধু যে মেকআপেই এটি প্রযোজ্য, এমন নয়। হেয়ার কাটেও কনটুরিং চাই। ফেস শেপের সঙ্গে উপযুক্ত কাট বেছে নিতে হবে বিউটিশিয়ানদের কাছে গিয়ে। কনটুরিং এর আগে দেখতে হবে নিজের মুখের গড়ন কেমন। লম্বাটে, বক্স শেপ নাকি চাঁদের মতো গোল। মুখের আকার বুঝে গেলে এবার সেখানে কেমন কনটুরিং বা কাট মানাবে, সেটা ভাবতে হবে। ফেস কাটিং অনুযায়ী হেয়ারস্টাইল ঠিক করে স্টাইলারদের কাছে গেলে ভালো হয়। আগে জানা থাকলে হেয়ারে ফ্রন্ট ফেস কনটুরিং করা সহজ হবে।
লুকে প্রভাব ফেলে ফেস চিন। লং চিনের অনেকেই সাজে অতৃপ্ত। হেয়ার কাটের কনটুরিংয়ে হতে পারে তৃপ্ত। এমন বেশ কিছু হেয়ার কাট রয়েছে, যেগুলোতে চিক বোনে ওয়াইড করা সম্ভব। সেই হেয়ার কাট বেছে নেওয়া ভালো, যার শেষ অংশ কোনোভাবেই চিক বোনের সঙ্গে নয়। এ ধরনের হেয়ার কাটে চিন বিশেষভাবে দৃষ্টিগাচর হবে। চিক লাইনের নিচে শেষ এমন কাট বেছে নেওয়া ভালো। সামনের অংশে ব্যাংস রাখা যেতে পারে। এ কাটে ফেসের ফোকাস পয়েন্ট বদলে যাবে। চিক বোনের বিশেষত্ব সেভাবে চোখে পড়বে না। এর বাইরে আরও অপশন রয়েছে। হেয়ার কাটে সাইড পার্ট ফেসে ব্যালান্স তৈরি করবে। ডিম্বাকার ফেস শেপে বেশ মানিয়ে যাবে এই হেয়ার কাট।
হালের চাবি চিকস, চিরচেনা আদুরে গোলগাল মুখ। এমন ফেস শেপে দারুণ লাগবে গর্জাস বব কাট। নেক লাইনের সঙ্গে সমান এই হেয়ার কাট মানিয়ে যাবে বেশ। এতে মুখের ভারী গড়ন সুন্দর দেখাবে। চাবি চিকস ছাপিয়ে হাই-লাইটেড হবে জ লাইন। এ তো গেল মিডিয়াম সাইজ হেয়ার কাটের গল্প। শর্ট হেয়ার লাভারদের জন্যও রয়েছে সুখবর। পিক্সির মেসি টপ লুক চেহারায় একধরনের ইল্যুশন তৈরি করবে, ফলে সৌন্দর্য বেড়ে যাবে অনেকটা। তারুণ্যে ভরপুর রাউন্ড ফেস শেপে টেক্সচারড হেয়ার মানিয়ে যায়। চুল যদি হয় কোঁকড়ানো, সেটি তেমনই থাকুক। ঢেউ খেলানো চুলের সৌন্দর্য এবং আবেদন সর্বজনীন।
স্কয়ার শেপ ফেস, অর্থাৎ চৌকো মুখমন্ডল যাদের, তারা ফেস শেপে লম্বাকৃতির ইল্যুশন তৈরি করে কনটুরিং করলে খুব মানাবে। এ ধরনের ফেসে স্ট্রং জ লাইন থাকে। সেখানে ফোকাল পয়েন্ট তৈরি হয়। এমন হলে ফেস ফ্রেমিং হেয়ারকাট দিতে পারে সল্যুশন। আবার দীঘল কেশে আগ্রহ থাকলে লেয়ারিংয়ে ভরসা রাখা যায়। এর ফেদারি ইফেক্ট স্ট্রং জ লাইনের ফেস কাটিংয়ে কোমলতা নিয়ে আসবে। স্ট্রং জ লাইনের বাইরে অনেকের ফেসে প্রমিনেন্ট হয়ে ওঠে নাক। তখন সেখানেই দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। ব্যাংস অথবা ফ্রন্ট লেয়ার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দীঘল চুল মানিয়ে যায় অনায়াসেই। কম দৈর্ঘ্যের চুলে এ কাট তেমন জুতসই হয় না। ছোট চুলের ক্ষেত্রে ব্যাংস না চাইলে চুলের ফ্রন্ট কাট শেষ করতে হয় কানের শেপ বরাবর। এতে লুকে পরিবর্তন আসবে। এঙ্গেল ববও এদের ক্ষেত্রে দারুণ মানিয়ে যেতে পারে। আধুনিক এই কাট এমন ফেসের সঙ্গে আকর্ষণীয় লুক নিয়ে আসবে।
এবার কপালের দৈর্ঘ্যরে হিসাব-নিকাশ। কপাল ছোট হলে এমন একটি হেয়ার কাট বেছে নিতে হয়, যেখানে ফ্রন্ট আপ হেডে বেশ গোছাখানিক চুল থাকে। এই ভলিউম কপালের প্রস্থ বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক।
কপাল যদি হয় বড়, ব্যাংস হতে পারে একটি দারুণ কাট। চুলের দৈর্ঘ্য একটু বেশি রেখে তবেই ব্যাংস করতে হবে, হেয়ার কাটের এই কনটুরিং বেশ মানানসই।
আকর্ষণীয় লুকের জন্য মেকআপের সঙ্গে যথাযথ হেয়ারস্টাইলিং জরুরি। তবে বিউটিশিয়ানদের পরামর্শ অনুযায়ী হেয়ার কাট করা ভালো।
সারাহ্ দীনা
মডেল: এফা, বৃষ্টি, ওশিন ও মাইশা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: জিয়া উদ্দীন ও ক্যানভাস আর্কাইভ