ফিচার I ব্রালেট
অনমনীয় আন্ডারওয়্যার, ভারী প্যাডিং আর আঁটসাঁট স্ট্র্যাপের ট্র্যাডিশনাল ব্রার দারুণ এক বিকল্প। স্ট্রেচি, স্পোর্টস ব্রা স্টাইলের হওয়ায় পরতে আরামদায়ক, দেখতেও স্টাইলিশ। ইনারওয়্যার কিংবা আউটারওয়্যার—দুভাবে পরার উপযোগী
জাহেরা শিরীন
মডেল: সূর্য
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: বাটারফ্লাই বাই সাগুফতা
ছবি: তানভীর খান
স্টাইলিং সোলো
নব্বই দশকের অনুপ্রেরণায় তৈরি এ লুক। আপার বডিতে শুধু ব্রালেটের বাঁধনই যথেষ্ট। স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরির জন্য। হতে পারে অফ শোল্ডার, হল্টার নেক, লেস আপ এমনকি নিটেড ব্রালেট দিয়ে। সলিড কালার ছাড়াও প্রিন্টেড অ্যান্ড প্যাটার্নড ব্রালেটও ব্যবহার করা যায় এমন স্টাইলিংয়ের জন্য। যারা এক্সট্রা কাভারেজে স্বচ্ছন্দ, তাদের জন্য ব্যান্ডেজ, স্পোর্টস অথবা লং লাইন ব্রালেটগুলোই বেশি জুতসই।
শিয়ার ম্যাজিক
ব্রালেটের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চাইলে এ স্টাইলটা সেরা। সেক্সি অ্যান্ড সাল্ট্রি লুক তৈরিতে পারফেক্ট। ডেট নাইট থেকে ক্যাজুয়াল আউটিংয়ের জন্য। পছন্দসই ব্রালেটের ওপর স্বচ্ছ কাভারআপ দিয়ে স্টাইলিং করা হয় বলে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ক্যারি করা যায়। প্লাজ্ঞ বা স্ট্র্যাপি ব্রালেট ছাড়াও করসেট শিলুয়েটেরগুলো এ লুকের সঙ্গে চমৎকার মানায়। তবে লং লাইন স্পোর্ট বা শিয়ার লেইসি ব্রালেটগুলো এ ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
ওভার দ্য টপ
আউটারওয়্যার হিসেবে ব্রালেট বেস্ট অপশন। ক্ল্যাসিকও বটে। টি-শার্টের ওপর স্লিপ ড্রেস পরে নেওয়ার নব্বইয়ের জনপ্রিয় টেকনিককেই নতুনতর টুইস্ট দেওয়ার দারুণ উপায় এটি। কনটেম্পরারি লুক তৈরিতেও চমৎকার। পছন্দসই রঙের প্লেইন টি-শার্টের ওপর পরে নিতে হবে ব্রালেট, ব্যস! তবে মাথায় রাখা চাই হাই নেকলাইন অথবা ক্রু নেক স্টাইলের টি-শার্ট ব্রালেটের সঙ্গে বেশি জুতসই। এড়িয়ে যেতে হবে স্কুপ নেকলাইন অথবা ডিপ-ভি নেকের টি-শার্ট।