ব্লগার’স ডায়েরি I পার্ল প্যারেড
মুক্তা আভিজাত্যের প্রতীক। এটি ব্যবহৃত হতো শুধু রাজা-বাদশা এবং সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের গয়নায়। ধারণা করা হয়, মুক্তা ব্যবহারের শুরু পারস্য থেকে। তারা এটা গয়নাতে ব্যবহার করত। সেখান থেকেই এর ব্যবহারের বিস্তার ঘটে। মুক্তাকে রত্নের রানি বলে আখ্যায়িত করা হতো। ট্রেন্ডসেটাররা লাক্সারি প্রতীক হিসেবে পরা শুরু করলে এই রত্ন ফ্যাশন জগতে পাকাপোক্ত স্থান দখল করে নেয়। এখন এর ব্যবহার বেড়েছে। শুধু গয়নায় নয়, পোশাকেও তা যোগ হচ্ছে। তবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রত্নের আদলে নকল মুক্তা তৈরি হচ্ছে, যা বাজারে সহজলভ্য এবং অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে।
এটি যে শুধু অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এমন নয়। তা স্টেটমেন্ট অব ফরমাল থেকে ক্যাজুয়াল লুকেও ব্যবহার করা যায়। এমনকি অফিস আউটফিটের সঙ্গে সুন্দর মানিয়ে যায়। যেমন একটি মুক্তার মালা অথবা কানের দুল আপনাকে এনে দেবে সিম্পলের মধ্যে এলিগেন্ট লুক। এটি শাড়ি থেকে শুরু করে ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গেও মানানসই। বাজারে মুক্তার সানগ্লাস, ব্যাগ, জুতা হালে বেশ জনপ্রিয়।
শুধু তা-ই নয়, এটি দিয়ে এখন মাস্ক ডিজাইন করা হচ্ছে। এমনকি ঘর সাজানোর সামগ্রীতে মুক্তা ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে এখন এডিটোরিয়াল আইমেকআপ করা হচ্ছে। তাই বলা যায়, মুক্তার বিস্তার ফ্যাশন জগতে অনেক। এককথায় এটি জড়িয়ে আছে ফ্যাশনের সঙ্গে। মুক্তা স্টাইলিংয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুন্দর কিছু উপস্থাপন করতে শুধু এই রত্নই যথেষ্ট।
আফসানা খান তুরা
ফেসবুক: afsanakhantura
ইনস্টাগ্রাম: afsanakhan003
ইউটিউব: Afsana Khan Tura