skip to Main Content

ফিচার I ইরানে হস্তশিল্পের উৎসব

ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডিক্র্যাফট ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হলো ইশফাহানে। স্থানীয় ও বিদেশিদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের সামগ্রী প্রদর্শিত হয় সেখানে। কিছু প্রতিযোগিতাও ছিল। বাংলাদেশের এক জামদানিশিল্পী সেগুলোর একটিতে বিজয়ী হয়েছেন

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ইরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডিক্রাফট ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে বিশ্বের নানান রকম হাতের কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। ইশফাহান মিউনিসিপালটির সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। শহুরে উদ্যোক্তাদের কাজে বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।
আয়োজনটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইশফাহানের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ করা গেছে।
উৎসবের বেশ কিছু উদ্দেশ্য ছিল।

 নানান দেশের ঐতিহ্যবাহী হ্যান্ডিক্র্যাফটের সঙ্গে ইরানের হস্তশিল্পকেও তুলে ধরা
 নতুন নতুন ধারার হ্যান্ডিক্র্যাফটের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার উপযুক্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র তৈরি করা
 বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা
 উদ্ভাবন-প্রযুক্তি ও শিল্প অর্থনীতির সংযোগ তৈরি করা
 হস্তশিল্পের কারিগরদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মর্যাদার ব্যবস্থা করা
 এ বিষয়ে সাংবাদিকদের আগ্রহী করে তোলা। এবং মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়া
 শিল্পীদের উৎসাহিত করা
 এটির অর্থনৈতিক অবস্থান দৃঢ় করা
 ট্র্যাডিশনাল হ্যান্ডিক্র্যাফটসের বৈশ্বিক বাজার সৃষ্টি
 ইশফাহানে কালচারাল এন্ট্রাপ্রেনিউর ইকোসিস্টেম তৈরি করা
এবারের আয়োজন ছিল চার দিনব্যাপী। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উৎসবে যোগ দেন হ্যান্ডিক্র্যাফটস শিল্পীরা। বেশ কয়েকজনকে দেওয়া হয় সম্মাননা। উল্লেখ্য, এখানে বাংলাদেশের শিল্পীরাও ছিলেন।
উৎসবের একটি বিশেষ দিক ছিল প্রতিযোগিতা। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগ্রহীদের কাজের মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা হয় কয়েকজনকে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। ক্যাটাগরি পাঁচটি হচ্ছে, দ্য ক্যাটাগরি অব গোল্ডেন হোমা, কম্পিটিশন অব ক্রিয়েটিভ ডিজাইন অব হ্যান্ডিক্র্যাফটস, ন্যাশনাল কম্পিটিশন অব ক্লদিং ডিজাইন অব ইউজিং হ্যান্ডিক্র্যাফটস, কম্পিটিশন অব প্যাকেজিং এবং ন্যাশনাল কার্পেট কম্পিটিশন।
একটি বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল এই উৎসবে। যার শিরোনাম ছিল কম্পিটিশন অব ক্রিয়েটিভ হ্যান্ড সিম্বল। এতে বিজয়ীদের একজন বাংলাদেশের জামদানিশিল্পী জামাল হোসেন। বুননের জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
উৎসবের পুরো সময় আয়োজন করা হয় নানান ধরনের ওয়ার্কশপ, ওয়েবিনার এবং সামিট।
এই উৎসবে হ্যান্ডিক্র্যাফট শিল্পীদের সঙ্গে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনেরা। তারা আয়োজনের শৈল্পিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন শিল্প-গবেষকেরাও।
পৃথিবী পার করছে কঠিন এক সময়। এর থেকে উত্তরণে প্রকৃতিই ভরসা। হস্তশিল্পের সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির মধ্য দিয়ে নিজ দেশের ঐতিহ্য যেমন রক্ষা করা যায়, তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও সম্ভব। ইরানে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে তা বিশেষভাবে উপলব্ধি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

 সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top