ফুড বেনিফিট I চিড়া চিকিৎসা
ক্ষুধা নিবারণে ভাতের বিকল্প হতে পারে চিড়া। ভিজিয়ে নিলে প্রায় চার গুণ ফোলে। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম চিড়ায় থেকে ৭৭.৩ গ্রাম শর্করা, ৩৪৬ ক্যালরি, ২.০২ মিলিগ্রাম লোহা, ৬.৬ গ্রাম আমিষ ও ২৩৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস। তা ছাড়া উপকারী আরও অনেক উপাদান মেলে। যেগুলো শরীরের বিভিন্ন রোগ সারায়। যেমন খাবারটিতে থাকা আঁশ ডায়রিয়া, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ ও ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
এতে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম কম থাকায় কিডনির অসুখে আক্রান্তরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারে। উপকৃত হয় সিলিয়াক ডিজিজের রোগীরাও। খাবারটিতে প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোনো সমস্যা থাকে না। ফলে ওই রোগীদের জন্য চিড়া উপাদেয়। ভেজা চিড়া পেট ঠান্ডা রাখতে এবং পানির অভাব পূরণ করতে বেশ উপকারী। এ কারণেই দীর্ঘক্ষণ উপবাস কিংবা রোজা ভাঙতে অনেকে এ খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে পেট তো ভরেই, সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানীয় মেলে। দই যোগে এটি আরও পুষ্টিকর হয়ে ওঠে। তা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। খাদ্যটি ক্যালসিয়ামে ভরপুর। ফলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। ত্রিশোর্ধ্ব নারীদেহে ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয়। তাই তারা ওই বয়সে দই-চিড়া খেলে উপকার পেতে পারেন।
শরীরের ওজন কমানোর জন্যও দই-চিড়া খাওয়া যেতে পারে। এটি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখে। ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এতে করে শরীরের ওজন বাড়ে না। মানসিক প্রশান্তি দিতেও সক্ষম খাবারটি। এটি মগজকে শান্ত রাখে। ফলে স্নায়বিক চাপ কমাতে, প্রফুল্ল থাকতে এবং হতাশা দূর করতে খাওয়া যেতে পারে দইমিশ্রিত চিড়া। খাবারটি হজম করতে পাকস্থলীকে বেশি বেগ পেতে হয় না। ফলে যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের জন্য খাবারটি উপযুক্ত হতে পারে।
তবে চিড়ার কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। যেমন, এটি বেশি শর্করা ও উচ্চ গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ হওয়ায় তা বেশি খেলে সেরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বাড়ে এবং ভালো কোলেস্টেরল কমে। এতে কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
ফুড ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট