ইভেন্ট I BSOAB-এর প্রথম বার্ষিক সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হলো বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (BSOAB)-এর প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। ২৪ অক্টোবর ২০২১ গুলশানের লেকশোর হোটেলে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে তা শেষ হয় বিকেল ৫টায়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধূরী, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আলিফ রুদাবা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (BSOAB)-এর সভাপতি কানিজ আলমাস খান। এ সময় প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট আরও ২০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান (BSOAB)-এর জেনারেল সেক্রেটারি সুমনা হাসান। এরপর বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, “বিউটি সার্ভিস ও প্রসাধনী পণ্য বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। আমাদের দেশেরও এ ব্যবসার চাহিদা আছি। এ খাতে হাজার হাজার উদ্যোক্তা ও কর্মী কাজ করছে। এসব বিষয় বিবেচনায় সরকার বিউটি সার্ভিসকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিউটি সার্ভিস বিষয়ে কোর্স খোলার চিন্তাভাবনা করছে। তা ছাড়া এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সরকারিভাবে সার্টিফিকেট দেওযার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, রাশেদা কে চৌধূরী, ড. মাসুদুর রহমান ও আলিফ রুদাবা। পরে মঞ্চে আসেন (BSOAB)-এর সভাপতি কানিজ আলমাস খান।
তিনি বলেন, “করোনাকালে অন্য সব খাতের মতো আমাদের এই খাতও ছিল অপরিমেয় সংকটে। নিয়মিত আয়ের বাইরে উৎসবগুলোই আমাদের মূল আয়ের উৎস। সে সুযোগ আমরা পাইনি। ফলে নিদারুণ অর্থসংকটে পড়েছি আমরা। যার কারণে শাখা বন্ধ করে দেওয়া, কর্মীর সংখ্যা কমানোসহ নানা পদক্ষেপ আমাদের বাধ্য হয়েই নিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রণোদনা পদক্ষেপের কথা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৌন্দর্যসেবা এখন আর লাক্সারি নয়, বরং প্রাত্যহিক জীবনের চাহিদা। ফলে আমাদের মতো পেশাদারেরা এখন আর বড় শহরগুলোতে আবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। বাংলাদেশে এটা এমন একটা শিল্প খাত, যেখানে ৯৯ ভাগই নারী। এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই শিল্প খাতের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটাই আমাদের সাফল্য। এখানেই জয় নারী শক্তির।” সৌন্দর্যশিল্প খাতের উত্তরোত্তর উন্নয়ন সাধন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সেবার বৈচিত্র্য এবং মানে পাল্লা দেওয়া, দক্ষ জনবল তৈরি এবং শিল্প খাতের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সুদক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দেন কানিজ আলমাস খান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ছিল হেয়ার কাট ডেমনস্ট্রেশন। মধ্যাহ্নভোজের আগে হয় স্মারক প্রদান। তারপর অতিথিদের জন্য গান পরিবেশন করেন দিলশাদ নাহার কনা। এরপর হয় ফ্যাশন শো, ইমু হাশমির কোরিওগ্রাফিতে। র্যাফল ড্রর মাধ্যমে শেষ হয় (BSOAB)-এর প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সারাহ আলম।
উল্লেখ্য, (BSOAB) হচ্ছে সৌন্দর্যসেবা খাতে সরকার অনুমোদিত একটি সংস্থা। ২০২০ সালের ৭ জুন রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিল্প মন্ত্রণালয় সৌন্দর্যসেবা খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেয়। বাংলাদেশের সমগ্র বিউটি সেক্টরের পক্ষ থেকে (BSOAB)- এর মাধ্যমে যে আবেদন করা হয়েছিল তাতে বাংলাদেশ সরকারের সাড়া একটি বড় অর্জন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ছবি: বিএসওএবি