skip to Main Content

বিশেষ ফিচার I স্বর্ণবৈচিত্র্য

গয়নার জগতে সোনার কদর বহু পুরোনো। কিন্তু এর মান ও রকমফের বোঝা কীভাবে সম্ভব? লিখেছেন সারাহ্ দীনা

স্বর্ণ ক্রেতার প্রধান টেনশন হলো, তা কতটুকু খাঁটি। খাঁটি সোনার পরিমাপককে বলা হয় ক্যারেট। সেই হিসাবে স্বর্ণ হতে পারে বিভিন্ন রকম। তবে ২৪ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট ও ১০ ক্যারেট জনপ্রিয়। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। স্বর্ণ যত খাঁটি হবে, তত কোমল হবে। আঙুলের চাপে বদলে যেতে পারে আকৃতি। খাঁটি সোনার রং উজ্জ্বল হলুদ। এ থেকে হোয়াইট গোল্ড অথবা রোজ গোল্ড তৈরি করার জন্য স্বর্ণের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হয় মাপমতো জিংক ও কপার।
২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ সব থেকে খাঁটি। ৯৯.৯ শতাংশ পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এতে। দেখতে উজ্জ্বল হলুদ ২৪ ক্যারেট গোল্ড। অনেকের স্বর্ণ ধাতব গয়না পরার কারণে অ্যালার্জি তৈরি হয়ে থাকে। ২৪ ক্যারেটের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ বিষয়ে হয়েছে একাধিক গবেষণা, তাই স্কিন অ্যালার্জি নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই বলা যায়। বেশ সফট হওয়ার কারণে সব ধরনের গয়না তৈরিতে ২৪ ক্যারেট গোল্ড ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু কীভাবে একে চেনা যায়? যে জুয়েলারিটি কেনা হচ্ছে, সেটির সঙ্গে একটি স্ট্যাম্প আছে। সেখানে লক্ষ করতে হবে, কয়েকটি তথ্যের উল্লেখ রয়েছে কি না। তাতে লেখা থাকবে গোল্ড, এর মানে বলা হয়েছে মেটালটি সম্পর্কে। ২৪ ক্যারেট অথবা ২৪কে লেখা আছে, এর মানে ২৪/২৪ অংশ গোল্ড। ০.৯৯৯ লেখা আছে থাকলে এর অর্থ হচ্ছে ৯৯৯/১০০০ অংশ অথবা ৯৯.৯৯ শতাংশ গোল্ড।
নিয়মিত ব্যবহারের যে গয়নাগুলো সেগুলো তৈরিতে সাধারণত ২২ ক্যারেটের গোল্ড ব্যবহার করা হয়। এতে ৯১.৬৭ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণের সঙ্গে ৮.৩৩ শতাংশ সিলভার, জিঙ্ক, নিকেলসহ অন্যান্য অ্যালয় মিশ্রিত থাকে।
১৮ ক্যারেটের গোল্ড বেশ জনপ্রিয়। ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণের সঙ্গে ২৫ শতাংশ কপার ও জিংক মিশ্রিত থাকে। ২৪ ক্যারেটের থেকে ১৮ ক্যারেটের হলুদাভ উজ্জ্বলতা কম। কিন্তু টেকসই হয় বেশি। ১৮ ক্যারেট চিনতে হলে দেখতে হবে স্ট্যাম্পের গায়ে লেখা। সেখানে মুদ্রিত থাকবে, ১৮ ক্যারেট অথবা ১৮কে, এর মানে ১৮/২৪ অংশ স্বর্ণ। আর লেখা থাকবে ৭৫০, এর মানে ৭৫০/১০০০ অংশ অথবা ৭৫ শতাংশ স্বর্ণ এখানে রয়েছে।
১৪ ক্যারেটের গোল্ড, ৫৮.৩ শতাংশ স্বর্ণ এবং এর সঙ্গে ৪১.৭ শতাংশ অন্য ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। উজ্জ্বলতা তুলনামূলক কম। কিন্তু ব্যবহার উপযোগিতা বেশ। আর দামেও সাশ্রয়ী। সাধ্যের মধ্যেই কিনে নেওয়া সম্ভব। এভরিডে ওয়্যার জুয়েলারির জন্য ১৪ ক্যারেট স্বচ্ছন্দে বেছে নেওয়া যায়। ১৪ ক্যারেট গোল্ডের জুয়েলারির স্ট্যাম্পে লেখা থাকবে ১৪ ক্যারেট অথবা ১৪কে, এর মানে হচ্ছে ১৪/২৪ অংশ স্বর্ণ। এর সঙ্গে লেখা দশমিক ৫৮৩-এর মানে দাঁড়ায়, ৫৮৩/১০০০ অংশ, অথবা ৫৮.৩ শতাংশ স্বর্ণ।
১০ ক্যারেট গোল্ডের পালা এবার। এখানে শুধু ৪১.৭ শতাংশ স্বর্ণ থাকে। টেকসই হলেও ১০ ক্যারেটের গোল্ড সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে অন্য ধাতুর সিংহভাগ অবস্থানকে। ১০ ক্যারেটের গোল্ড জুয়েলারি কিনতে চাইলে স্ট্যাম্পের লেখা দেখে নিতে হবে। লেখা থাকবে ১০ ক্যারেট অথবা ১০কে, এর মানে হচ্ছে ১০/২৪ অংশ স্বর্ণ। এর সঙ্গে লেখা দশমিক ৪১৭-এর মানে দাঁড়ায়, ৪১৭/১০০০ অংশ, অথবা ৪১.৭ শতাংশ স্বর্ণ।
রঙে স্বর্ণের প্রকারভেদ
স্বর্ণের রং কেমন? সোনালি, তাই তো? সোনালি কিছুটা হলুদাভ। স্বর্ণের এটাই চেনা পরিচিত রং। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে হলুদ আভার স্বর্ণের গয়নার চাহিদা বিশ্বব্যাপী। এই হলুদে রয়েছে প্রকারভেদ। অন্য ধাতুর মিশ্রণে তৈরি করা যায় অন্য রঙের আবছায়া। হালকা সবুজ থেকে সবুজ আভার জন্য স্বর্ণে অন্য ধাতু হিসেবে ব্যবহার করতে হয় রুপা। সঠিক মিশ্রণে সবুজের ঢেউ খেলে যায় গয়না। লালচে অর্থাৎ টিন্ট হিউ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কপার। হলুদ স্বর্ণে কখনো কখনো জিংক ও নিকেল ব্যবহৃত হয়। এসবের সঙ্গে কপার মিশে গেলে তৈরি হয় মায়াময় এক আভা, যা স্বর্ণের গয়নাকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।
হোয়াইট গোল্ড
বিশ্বজুড়ে হলুদাভ স্বর্ণের কদর বেশি, একই সঙ্গে এনগেজমেন্ট রিংয়ের চাহিদার দিক থেকে এগিয়ে আছে হোয়াইট গোল্ড। ২০১৯ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে সে বছর সাদা স্বর্ণে তৈরি এনগেজমেন্ট রিং বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে ৫৪ শতাংশ। হোয়াইট গোল্ডের স্বর্ণের সঙ্গে মিশ্রিত সাদা রং মেটালকে কপারের সঙ্গেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যত কম স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়, ততটাই সাদাটে হয়ে ওঠে। হোয়াইট গোল্ড থেকে তৈরি জুয়েলারি সাধারণত প্লেট করা থাকে রেডিয়ামে। এতে সাদার উজ্জ্বলতা আরও বাড়ে। দুটি পদ্ধতিতে হোয়াইট গোল্ড তৈরি করা যায়।
একটি হচ্ছে প্যালাডিয়াম হোয়াইট গোল্ড, যেখানে মিশ্রণ বানানো স্বর্ণ, প্যালাডিয়াম ও সিলভার ব্যবহার করে। প্যালাডিয়াম স্বর্ণের চেয়ে দামি ধাতু। এবার অপর ধরনটির কথা। এর নাম নিকেল হোয়াইট গোল্ড। এটি তৈরিতে গোল্ড, নিকেল, কপার ও জিংক ব্যবহৃত হয়। প্যালাডিয়াম হোয়াইট গোল্ডের তুলনায় নিকেল হোয়াইট গোল্ড সাশ্রয়ী।
রোজ গোল্ড
১৮৮০ সালে রোজ গোল্ডের সঙ্গে পরিচয় ঘটে বিশ্বের। স্থান রাশিয়ান ইম্পেরিয়াল কোর্ট। পরিচয় করিয়ে দেন জুয়েলার কার্ল ফেবারজ। রোজ গোল্ড মন কেড়ে নেয় গয়নাপ্রেমীদের। ধরনটির রং পিংকিশ। সোনালি আর গোলাপি আভা মিলে দারুণ মায়াময়। বর্তমানে রোজ গোল্ডের পরিমাণ বিশ্বব্যাপী বেশি। এটি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় গোল্ড, কপার এবং সিলভার। মূলত গোল্ডের রংকে বদলে দেয় কপার।
১৮ ও ১৪ ক্যারেটে বেশি রোজ গোল্ড পাওয়া যায়। ১৮ ক্যারেটের রোজ গোল্ডে স্বর্ণের পরিমাণ বেশি, উজ্জ্বলতাও ততধিক। ১৪ ক্যারেটের রোজ গোল্ড জুয়েলারিতে কপারের পরিমাণ বেশি থাকায় কম উজ্জ্বল করে, কিন্তু গোলাপি আভা ফুটে ওঠে বেশ। রোজ গোল্ডের শেডে পরিবর্তন নিয়ে আসা যায় এর মিশ্রণে কিঞ্চিৎ বদল ঘটিয়ে।
কপারের পরিমাণ কমিয়ে খানিকটা সিলভার ব্যবহার করা হলে গোলাপি আভা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আবার কপারের পরিমাণ বাড়িয়ে গোলাপি থেকে খানিকটা লাল শেডের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়।
ব্ল্যাক গোল্ড
স্বর্ণের কালো রং? হ্যাঁ, নতুন একটি ধরনের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছে বিশ্ব। স্বর্ণকে কালো করে তোলা হয় না এখানে। গোল্ড জুয়েলারিতে তৈরি করা হয় একধরনের কোটিং। সারফেস কোটিংয়ের কারণে তৈরি হয় ব্ল্যাক গোল্ড। এ জন্য বেশ কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহৃত হয়। এগুলো হচ্ছে:
 ইলেকট্রোপেটিংয়ের মাধ্যমে ব্ল্যাক রেডিয়াম এবং রুটেনিয়াম ব্যবহার করে ব্ল্যাক কোটিং তৈরি করা যায়
 ক্যামিক্যাল ভেপার ডিপোজিশন, সংক্ষেপে সিভিডির মাধ্যমেও কোটিং তৈরি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে গোল্ডের ওপরে কার্বন ভেপার ব্যবহৃত হয়
 অক্সিডাইস প্রক্রিয়ায় ব্ল্যাক কোট তৈরি করা যেতে পারে। কোবাল্ট এবং ক্রোমিয়ামকে উত্তপ্ত করে অক্সিডাইজিংয়ের মাধ্যমে কালো রঙের কোটিং হয়ে থাকে।
 প্যাটিনেশন পদ্ধতিতে সালফাইড ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে স্বর্ণের একই রঙের প্যাট তৈরি করা যেতে পারে
 আধুনিক লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ব্ল্যাক লেয়ার তৈরি হতে পারে স্বর্ণের ওপরে। ফেমটোসেকেন্ড লেজারিং গোল্ডে ন্যানো স্ট্রাকচার তৈরি করে। এটি শুষে নেয়, ফলে কালো দেখায়।
ব্ল্যাক গোল্ড তৈরির বিভিন্ন উপায় থাকলেও এর মধ্যে লেজার ট্রিটমেন্ট শুধু স্থায়ী।
গ্রিন গোল্ড
স্বর্ণে হলদেটে সবুজ আভা, খুব একটা পরিচিত নয়। স্বর্ণের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ রুপার মিশ্রণে তৈরি করা হয় গ্রিন গোল্ড। রুপার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে এতে। এর ফলে স্বর্ণের গয়নায় তৈরি হয় সবুজ আভা।
পার্পল গোল্ড
স্বর্ণের গয়নায় অ্যালুমিনিয়ামের খাদ ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয় বেগুনি আভা। এ ধরনের মিশ্রণের ফলে স্বর্ণ বেশ খানিকটা নরম ও ভঙ্গুর হয়ে আসে। পার্পল গোল্ড দিয়ে তাই জুয়েলারি তৈরি করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি এর স্থায়িত্ব নিয়েও শঙ্কা থাকে।
ব্লু গোল্ড
এটি খুব পরিচিত, তা নয়। ১৯৮০ সালে প্রথম সামনে আসে নীল স্বর্ণ। আনকোরা এই ধরন তৈরি করা যেতে পারে দুটি মাধ্যমে। স্বর্ণের সঙ্গে খাদ মিশিয়ে এবং লেজার ট্রিট করে। প্রথমটির ক্ষেত্রে, ইন্ডিয়াম অথবা গ্যালিয়াম ব্যবহৃত হয়। এই দুটির কোনোটির মিশ্রণেই খুব ডিপ ব্লু শেড তৈরি হয় না। এর বাইরে লেজার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করে নীল আভা তৈরি করা যায়। অক্সিডাইজিংয়ের মাধ্যমে এ পরিবর্তন ঘটে।
কোটিংয়ে স্বর্ণের প্রকারভেদ
জুয়েলারিতে স্বর্ণের ব্যবহার বেশ বৈচিত্র্যময়। কোটিংয়েও রয়েছে রকমফের।
গোল্ড ফিল্ড: এ ক্ষেত্রে মেটালে তৈরি গয়নাকে মুড়িয়ে নেওয়া হয় স্বর্ণে। পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয় মেকানিক্যাল বন্ডিং। বন্ডিংয়ের থিকনেস বাড়ানোর জন্য অন্তত পাঁচ শতাংশ স্বর্ণ কোটিংয়ে ব্যবহার করা হয়। এমন গয়না বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। এর স্ট্যাম্পে লেখা থাকবে জি এফ অর্থাৎ গোল্ড ফিল্ড। এ ছাড়া উল্লেখ থাকবে ১/২০ ১৪কে এর মানে ১/২০ অংশ, অথবা ৫ শতাংশ ১৪কে স্বর্ণের ।
রোল্ড গোল্ড: বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত কপার অথবা ব্রাশ ধাতুতে তৈরি জুয়েলারিকে মুড়িয়ে নেওয়া হয় গোল্ডে। এটি একটি হাইব্রিড ম্যাটেরিয়াল। এটি তৈরিতে ২.৫ শতাংশ স্বর্ণ দরকার হয়ে থাকে। কস্টিউম জুয়েলারি তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে রোল্ড গোল্ড। বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে এ ধরনের গয়নার লাইফটাইম। এগুলোর স্ট্যাম্পে লেখা থাকে আর জি (রোল্ড গোল্ড) অথবা আর জি পি (রোল্ড গোল্ড প্লেট) একই সঙ্গে লেখা থাকে ১/৪০ ১৪কে, অর্থাৎ ১/৪০ অংশ, অথবা ২.৫ শতাংশ ১৪ ক্যারেট স্বর্ণ।
ভারমেইল: কোটিং জুয়েলারি, ভার মে বলে পরিচিত। সিলভারে তৈরি গয়নাকে ১০কে পিউরিটির স্বর্ণ ব্যবহার করে প্রলেপ দেওয়া হয়ে থাকে। গোল্ড প্লেটিং অন্ততপক্ষে ২.৫ শতাংশ মাইক্রন থিক হতে হবে। স্ট্রেলিং সিলভার জুয়েলারিকে স্বর্ণের জলে ডুবিয়ে এবং বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে এ ধরনের কোটিং তৈরি করা হয়ে থাকে। এ ধরনের প্রলেপ খুব একটা টেকসই হয় না। স্ট্যাম্প খেয়াল করলে দেখা যাবে, লেখা আছে ভারমেইল এবং ০.৯২৫, অর্থাৎ ৯২৫ স্ট্রেলিং সিলভার।
গোল্ড প্লেটেড: জুয়েলারি ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয়। এখানে স্বর্ণের প্রলেপ বেশ পাতলা হয়ে থাকে। ০.১৭৫ মাইক্রোনস এর ঘনত্ব। ব্রাস অথবা কপারের তৈরি জুয়েলারির ওপরে এই কোটিং ব্যবহৃত হয়। গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারির স্ট্যাম্পে লেখা থাকে জি পি (গোল্ড প্লেটেড), অথবা জি ই পি (গোল্ড ইলেকট্রোপ্লেটেড)। এ ছাড়া লেখা থাকতে পারে এইচজিপি অর্থাৎ হেভি গোল্ড প্লেট, অথবা এইচজিই (হেভি গোল্ড ইলেকট্রোপ্লেটেড)।

মডেল: মিম মানতাশা ও ইশা
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: আদ্রিয়ানা
জুয়েলারি: জড়োয়া হাউজ
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top