skip to Main Content

ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন I ফ্যাশন উইকস ২০২১

আগন্তুক প্রতিপক্ষ কোভিড-১৯ বাস্তবতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল দুনিয়ার সেরা সব রানওয়ে শো। সেই ধাক্কা কাটিয়ে আবারও ফিরে এসেছে চেনা রূপে, ইন রিয়েল লাইফ শোতে

রানওয়ে শো ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। দীর্ঘ আঠারো মাস পর। গত বছর লকডাউনের সময় থেকে সব ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। ডিজিটালাইজেশনকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ আখ্যা দিয়েছেন ‘ফ্যাশনের ভবিষ্যৎ’ হিসেবে। কিন্তু এত কিছুর পরও ‘ইন রিয়েল লাইফ’ ফ্যাশন শোর প্রতি ভালোবাসা বা এর চাহিদা এতটুকু কমেনি। ডিজাইনার, মডেল, ফ্যাশন-সংশ্লিষ্ট সবাই অপেক্ষায় ছিলেন রানওয়েতে ফেরার। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর—ফ্যাশন ক্যাপিটালগুলোতে অনুষ্ঠিত হলো এবারের স্প্রিং/সামার ফ্যাশন উইক। এবারের আয়োজনে বেশ কয়েকজন ডিজাইনারের কালেকশন আলোচনায় এসেছে। সেই সঙ্গে আসছে বছরের কিছু ট্রেন্ডের আভাসও মিলেছে।
লন্ডন ফ্যাশন উইক স্প্রিং/সামার ২০২২
ডেভিড বেকহাম নিঃসন্দেহে বিশ্বের স্টাইলিশ সেলিব্রিটিদের অন্যতম। তার স্টাইল অনেকেই অনুসরণ করেন। তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বেকহামও আছেন সেই তালিকায়। শোনা যায়, তিনি নাকি প্রায়ই ডেভিড বেকহামের ওয়্যারড্রোব থেকে কাপড় চুরি করে পরেন! সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার বানিয়ে ফেললেন নিজের নতুন কালেকশন। এতে নব্বইয়ের দশকের প্রভাবও ছিল অনেক বেশি। ভিক্টোরিয়া মিনিমাল কালেকশনটিতে এনেছেন মেয়েদের পারফেক্ট বাটন-ডাউন শার্ট, লুজ প্যান্ট, সিঙ্গেল-ব্রেস্টেড ট্রেঞ্চকোট, পাওয়ার পেন্সিল স্কার্ট ও নাইনটিস স্টাইল কাট-আউট স্লিপ ড্রেস।
বাচ্চাদের পোশাকের প্রতি বরাবর একটা আকর্ষণ বোধ করতেন মলি গোডারড। এই জন্য তাকে অনেকে ‘মাস্টার অব স্মকিং প্যাটার্ন’ ডাকেন। তার ওপর সম্প্রতি মা হয়েছেন এই ব্রিটিশ ডিজাইনার। তাই মলির নতুন কালেকশন বেবি ক্লোদিং-প্রাণিত হবে—এটাই স্বাভাবিক। এতে ছিল তার সিগনেচার পার্টি ফ্রক, ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য ওয়াইড-লেগ জিনস ও ট্র্যাক প্যান্টের সঙ্গে টুইল দেওয়া বা ছাড়া স্মক, নিয়ন-ব্রাইট গ্রুঞ্জ সোয়েটার, অ্যারান-নিট কার্ডিগান, ফ্লেয়ার ট্রেঞ্চকোট, স্ট্রাইপি সোয়েটার ও ব্যালেট ফ্ল্যাট।
লকডাউনের বেশির ভাগ সময় টেলিভিশন দেখে পার করেছেন ডিজাইনার কাপল জাস্টিন থর্নটন ও থেয়া ব্রিগাজ্জি। মূলত এখান থেকে তাদের নতুন সংগ্রহের অনুপ্রেরণা আসে। তবে ঠিক বর্তমান সময়ের টেলিভিশন শো থেকে নয়। আশির দশকে যখন রাতে স্টুডিও বন্ধ হয়ে যেত, তখন টিভির পর্দায় রঙধনুর মতো যে স্ট্রাইপ ভেসে উঠত, সেই বোল্ড রঙগুলোর কথা ভেবেই দাঁড় করানো হয়েছে প্রিন বাই থর্নটন ব্রিগাজ্জির নতুন কালেকশন। কুইল্টেড জ্যাকেট, মক-নেক টপ, অ্যাসিমেট্রিক্যাল রাফলড ড্রেস, সিল্ক ড্রেস উইথ রাফলড ব্রা, আপসাইকেলড প্যাচওয়ার্ক নিট, রিপকর্ড-ওয়েস্ট প্যান্ট—এসব পোশাকেই ছিল আশির দশকের প্রভাব।
সম্প্রতি এলভিএমএইচ অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়াং ডিজাইনার জিতেছেন ২৭ বছর বয়সী আলবেনিয়ান ডিজাইনার নেনসি দোজাকা। পুরস্কার পাওয়ার অল্পদিনের মাথায় তার সোলো রানওয়ে ডেব্যু হয় লন্ডন ফ্যাশন উইকে। এর আগে নেনসি পরিচিত ছিলেন সেলিব্রিটি ডিজাইনার হিসেবে। ডুয়া লিপা, হেইলি বিবার, বেলা হাদিদ, সোফি টারনার, রিটা ওরা, রিয়ানার মতো হাই-প্রোফাইল সেলিব্রিটিরা তার পোশাকের ফ্যান। এ জন্য নেনসির কালেকশন নিয়ে সবার একটু বেশিই আগ্রহ ছিল। তিনি অবশ্য কাউকেই নিরাশ করেননি। তার কালেকশনের বেশির ভাগ ড্রেস আগে সেলিব্রিটিদের পরনে দেখা গেছে। এর সঙ্গে কিছু নতুন আউটফিটও সংগ্রহে রেখেছিলেন তিনি। যেমন, সুইমওয়্যার স্টাইল কাটআউট মিনি ড্রেস, ক্রপ টপ উইদ স্যুট, মিডকাট ড্রেস। পোশাকে সিগনেচার শিয়ার ব্ল্যাক ও ব্রাউন প্যালেটের সঙ্গে হালকা গোলাপি ও লাল রঙের ছোঁয়া রেখেছেন নেনসি। সব মিলিয়ে কালেকশনটিকে একটি লাক্সারিয়াস স্ট্রিটওয়্যার বলা যেতে পারে।
মিলান ফ্যাশন উইক স্প্রিং/সামার ২০২২
ভারসাচির স্প্রিং/সামার কালেকশনের থিম ছিল সত্তরের দশকের ডিসকো। সংগ্রহটিতে শিমারি ড্রেস, সিকুইন মিনি স্কার্ট, লো রাইজ অ্যাসিমেট্রিক্যাল স্কার্টের পাশাপাশি ছিল মনোক্রোম স্যুটস, চেইনমেইল ড্রেস, হেডস্কার্ফ। প্রথমবারের মতো ডিজাইনার ডোনাতেলা ভারসাচি ছেলেদের জন্য নিয়ে এসেছেন তাদের লোগো-সংবলিত টি-শার্ট ও ভার্সিটি জ্যাকেট। পুরো কালেকশনটির অনুপ্রেরণা ছিল হাউস ক্ল্যাসিক ফ্যাব্রিক ফুলারড সিল্ক ও ভারসাচির সিগনেচার-সেফটি পিন। এটি বেশির ভাগ পোশাকে এমবেলিশমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। রানওয়ে শোতে প্রথমবারের মতো র‌্যাম্পে হাঁটেন সংগীতশিল্পী ডুয়া লিপা। মডেলদের সঙ্গে রানওয়ে আলোকিত করেন সুপার মডেল নাওমি ক্যাম্পবেল, জিজি হাদিদ, এমিলি রাতাকায়োস্কি, লোলা লিওনের মতো সেলিব্রিটিরা।
প্রাদা তাদের কালেকশন প্রদর্শনের মাধ্যমে গড়েছে নতুন ইতিহাস। মিউসিয়া প্রাদা ও র‌্যাফ সিমন্স পৃথিবীর দুই প্রান্তে থেকে একই সময়ে দুটি ফ্যাশন শোর আয়োজন করেন। একটি মিলানে, অপরটি সাংহাইতে। দুটি অনুষ্ঠানই দুটি ভেন্যুতে লাইভস্ট্রিমিং করা হয়। একই সময়ে একই রকম আউটফিট পরে রানওয়েতে হাঁটেন দুজন ভিন্ন মডেল। ‘সিডাকশন, স্ট্রিপড ডাউন’ নামের কালেকশনটিতে ছিল ওভারসাইজড লেদার জ্যাকেট, ট্রেইনযুক্ত মিনি স্কার্ট, গ্রাফিক টি, লুজ কোরসেট মিডি ড্রেস, বিভিন্ন সাইজের লাল রঙের লেদার শোল্ডার ব্যাগ ও স্লিং ব্যাক পাম্প।
ব্রিটিশ ডিজাইনার কিম জোনস ফেন্দি উইমেন্সওয়্যারের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর হিসেবে তার প্রথম লাইভ রানওয়ে শো উদযাপন করেছেন একটি ডিসকোপ্রাণিত সংগ্রহ প্রদর্শনের মাধ্যমে। জোনস গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফেন্দি হাউসে যোগ দেন। তার প্রথম রেডি-টু-ওয়্যার কালেকশনটি ছিল অনেক বেশি লাক্সারিয়াস। তবে কালার প্যালেট ছিল সিম্পল—সাদা, কালো, পাউডার ব্লু, নিউট্রাল, গোলাপি। নানা রকমের ইভনিং গাউন, প্যান্ট-স্যুট, ফ্রিঞ্জ ও ইলেকট্রিক প্যাটার্নে ভরা সংগ্রহটির থিম ছিল সত্তরের দশক এবং নিউইয়র্কের বিখ্যাত ডিসকো নাইটক্লাব স্টুডিও ফিফটি ফোর।
এবারের ফ্যাশন উইকে ইম্পোরিও আরমানি মেনজওয়্যার ও উইমেন্সওয়্যার কালেকশন একসঙ্গে প্রদর্শন করে। এই রানওয়ে শোর মধ্য দিয়ে ব্র্যান্ডটি তাদের পথচলার চল্লিশ বছর উদযাপন করল। তাদের নতুন সংগ্রহটিতে এন্ড্রোজেনাস টেইলারিং ও কনটেম্পরারি স্পোর্টসওয়্যারের প্রভাব অনেক বেশি। ক্যাটওয়াক শেষে জর্জিও আরমানি ও প্যাস্তালেও দেলোরকোর সঙ্গে রানওয়েতে আসেন তার ভাতিজি সিলভানা আরমানি। এ থেকে বোঝা যায়, খুব শিগগির ইম্পোরিও আরমানির দায়িত্ব কে নিতে চলেছেন।
প্যারিস ফ্যাশন উইক স্প্রিং/সামার ২০২২
মিনি টেইলরড স্যুট ও ড্রেস দেখেই বোঝা যায়, দিওরের স্প্রিং/সামার কালেকশনের অনুপ্রেরণা ষাটের দশক। পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে সে সময়ের ইয়ুথকোয়্যাক নামে পরিচিত যুব বিপ্লবের অনুপ্রেরণা। মারিয়া গ্রাজিয়া চিউরি সংগ্রহটি দাঁড় করাতে গিয়ে দিওরের আর্কাইভ ঘেঁটেছেন। ষাটের দশকের ব্র্যান্ডটির ডিজাইনার ছিলেন মার্ক বোহান। ১৯৬১ সালে তিনি ‘স্লিম লুক’ নামে একটি কালেকশন তৈরি করেছিলেন। দিওরের নতুন সংগ্রহে সেই পুরোনো বোহানীয় ছাপ পাওয়া গেছে। দিওরের ফ্যাশন শোর স্টেজ নিয়ে আলাদা করে বলতে হবে। অসাধারণ বোর্ড গেম প্যাটার্নে পুরো ফ্লোর, ব্যাকড্রপ ডিজাইন ও সিনোগ্রাফি করেছেন বিখ্যাত ইতালিয়ান পপ আর্টিস্ট আনা পাপারাত্তি।
‘গ্লোবাল ওয়ার্নিং’ নামের কালেকশন প্রদর্শনের মাধ্যমে লেবেল ‘বোতের’ সবাইকে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ডিজাইনার রুশেমি বোতের ও লিসি হেরেব্রু অনেক আগে থেকেই সমুদ্রদূষণ নিয়ে সচেতন। লকডাউনের একটি বড় সময় তারা ডাচ ক্যারিবিয়ান দ্বীপ কিউরাসাওতে একটি কোরাল নার্সারি স্থাপনে কাজ করেছেন। স্প্রিং/সামার কালেকশনের জন্য তারা অলাভজনক পরিবেশ সংস্থা পার্লে ফর দ্য ওশেনস-এর সঙ্গে কাজ করেছেন। এভাবে বিশ্বে সমুদ্র পুনর্বাসনের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছেন। রিসাইকেল ওশেন প্লাস্টিক দিয়ে কালেকশনটির ৬০ শতাংশ ফ্যাব্রিক উৎপাদন করেছে পার্লে। প্রায় জেন্ডার নিউট্রাল সংগ্রহে প্রাধান্য পেয়েছে ওশেন ব্লু রং।
শ্যানেলের জন্য ভার্জিন ভিয়ারডের সাম্প্রতিক কালেকশন ছিল আশি ও নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিক এবং কালজয়ী ফ্যাশনের একটি ক্ল্যাসিক উদযাপন; সঙ্গে ব্র্যান্ডটির প্রতি তার আবেগের নিখুঁত চিত্র। তবে তিনি কোনোভাবেই কার্ল লেগারফেল্ডের প্রভাব থেকে বের হতে পারছেন না। ১৯৯৩ সালে কার্ল পুরো ফ্যাশন বিশ্বে ঝড় উঠিয়ে দিয়েছিলেন স্প্রিং কালেকশনে শ্যানেল ব্র্যান্ডের আন্ডারওয়্যার, স্পোর্টস ব্রা ও সুইমওয়্যারকে আউটারওয়্যার হিসেবে রানওয়েতে নিয়ে এসে। এবার ঠিক ওই একই ঘরানার পোশাক নিয়ে হাজির ভার্জিন। বাদ যায়নি শ্যানেলের সিগনেচার টুইড স্যুট।
মিলান ফ্যাশন উইকে ‘ডাবল ধামাকা’ দেখানোর পর মিউসিয়া প্রাদা প্যারিস ফ্যাশন উইকেও দেখালেন চমক। তার ব্র্যান্ড মিউ মিউ সব সময় ‘এক্সট্রাভ্যাগান্টলি এলিগ্যান্ট’ আউটফিটের জন্য। তবে এবার প্রাদার সংগ্রহটি ছিল দারুণ সাদামাটা। এতে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা, কালো, ক্রিম, বাদামি, ধূসরের মতো নিউট্রাল শেড। কালেকশনটি ছিল লো-রাইজ মিনি, নি লেন্থ ও মিডি স্কার্ট, কিছু এমবেলিশড ড্রেস, ফরমাল প্যান্ট, কোটের অদ্ভুত মিশ্রণ।
ট্রেন্ড ২০২২
এবারের ফ্যাশন উইকগুলো থেকে অনেক নতুন ট্রেন্ড এসেছে, যা আগামী বছর গরমকালে সবখানে দেখা যাবে বলে ধারণা করছেন ফ্যাশন বিশ্লেষকেরা। মিলান ফ্যাশন উইক থেকে আসছে ক্ল্যাসিক ক্রোশে। এট্রো, জিল স্যান্ডার, আলবার্টা ফেরেত্তি, নাম্বার টোয়েন্টি ওয়ান, ব্লু মেরিন ব্র্যান্ডগুলোর সংগ্রহে ছিল বাহারি সব ক্রোশে পোশাক। যেমন- ম্যাচিং কার্ডিগান ও ট্যাংক সেট, হল্টার টপ, ফ্রিঞ্জ ড্রেস, মিনি স্কার্ট ইত্যাদি।
আরামের কথা চিন্তা করলে জাম্পস্যুট গরমের জন্য খুব ভালো আউটফিট। কিন্তু এখন সময় ক্যাটস্যুটের। সব কটি ফ্যাশন উইকে ছিল এর সরব উপস্থিতি। যেমন প্যারিসে ইভ স্য লরার কালেকশনে ছিল কাটআউট রিডলড, হল্টার-নেক বডিস্যুট। স্টেলা ম্যাককার্টনির, রবার্টো কাভেলি, লাকুয়ান স্মিথে সংগ্রহেও ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলের ক্যাটস্যুট দেখা যায়।
এরপর বলতে হবে ট্রায়াঙ্গাল ব্রা টপের কথা। ফ্যাশন উইকের অন্তত ৭০ ভাগ কালেকশনে এটি ছিল। ব্রা টপের সঙ্গে জোড় বেঁধেছে লো-রাইজ স্কার্ট। এ ছাড়া এটিকে পাওয়ার কম্বোর একটি অংশ হিসেবে প্যান্ট-কোট বা মিনি স্কার্ট-কোটের সঙ্গে দেখা গেছে। ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, গরমের সময় ব্রা টপের মতো আরামদায়ক কিছু হতে পারে না।
এ ছাড়া ট্রেন্ডে আরও আছে লং মিডরিফস, প্রেপি স্কুল-ইন্সপায়ারড ড্রেস (নিট সোয়েটার, রাগবি পোলো), ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, প্যান্ট-স্যুট, রোয়ারিং টোয়েন্টিস স্টাইল পার্টি ফ্রিঞ্জ, কালারফুল হাই নি বুট, মিনি স্কার্ট ও ড্রেস।

 ফাহমিদা শিকদার
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top