ই-সোসাইটি I টুইট…টুইট…টাকা…!
টুইটারে টুইট করলেই আসবে টাকা, ভাবা যায়?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে টুইটারের একটা আলাদা ভাব আছে! বিভিন্ন মাধ্যমের মর্যাদাপূর্ণ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা নিজেদের বার্তা জানান দিতে আশ্রয় নেন টুইটের। তবে শুধু বার্তা জানানো কিংবা যোগাযোগ স্থাপনই নয়, অর্থ উপার্জনেরও দারুণ জায়গা হতে পারে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আমেরিকান মাইক্রোব্লগিং ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সার্ভিস।
আয় করতে চাইলে শুরুতেই কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্ট খোলা। যা খুবই সহজ। প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ ডাউন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দরকার পড়বে আপনার নাম, ই-মেইল কিংবা মোবাইল নম্বর। তারপর ‘টুইটার বায়ো’তে নিজের সম্পর্কে এমন কিছু লিখুন, যা অন্যদের আকৃষ্ট করবে। আপনার প্রোফাইল ইমেজ যেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। অ্যাকাউন্টটি ব্যবসাসংক্রান্ত হলে কোম্পানির লোগো ব্যবহার করাই ভালো। তা ছাড়া যেকোনো পোস্টে ব্যবহারের জন্য বেছে নিন আকর্ষণীয় হ্যাশট্যাগ। কেননা, এগুলো টুইটার সার্চে আপনাকে খুঁজে পেতে কাজে দেবে। আর, কে না জানে—ই-সোসাইটিতে যত বেশি ফলোয়ার, তত বেশি আয়ের সম্ভাবনা!
আয়ের রাস্তা
ছোট থেকে বড়—অনেক ব্যবসায়ীই নিজেদের পণ্যের প্রচারণায় টুইটারের দ্বারস্থ হন। সে ক্ষেত্রে তারা ফলোয়ার বেশি আছে—এমন অ্যাকাউন্টের সাহায্য নেন। তাই আপনি নিজের অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার বাড়ান; দেখবেন, টাকার বিনিময়ে পণ্যের প্রসার ঘটাতে আপনার কাছে ধরনা দিচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তা-ই নয়, নিজ নিজ অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এরা আপনার সাহায্য চাইবে; অবশ্যই টাকার বিনিময়ে।
ব্যবসায়ীদের অনেক সময় বিশেষ প্রয়োজনে বেশ কিছু টুইটার অ্যাকাউন্টের দরকার পড়ে। এ কাজ করার মতো যথেষ্ট সময় যদি তাদের হাতে না থাকে, তাহলে আপনার সাহায্য নিতে পারেন তারা। তার মানে, তাদের হয়ে অর্থের বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কাজটি করার সুযোগ রয়েছে আপনার।
রিটুইট থেকেও আয় করা সম্ভব। কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারে সেটির কোনো টুইট যদি আপনি রিটুইট করেন, আর তা পৌঁছে যায় বেশি মানুষের কাছে, তাহলে পণ্যটির বিক্রি বাড়ার ক্ষেত্রে সেটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিনিময়ে পকেট ভারী হবে আপনার।
ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিজের কিংবা প্রতিষ্ঠানের টুইটার অ্যাকাউন্ট ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারেন না। তাদের হয়ে কাজটি করে দিতে পারেন আপনি, পারিশ্রমিকের বিনিময়ে।
বিভিন্ন পোস্টের সঙ্গে মানানসই ও আকর্ষণীয় ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ দরকার পড়ে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সেটি ঠিকমতো করতে না পারে, বা করার মতো সময় না পায়, সে কাজ তার হয়ে আপনিও করে দিতে পারেন। তবে টাকার ব্যাপারটা আগেই ঠিক করে নেবেন!
কাজের খোঁজ
টুইটারে এ ধরনের কাজ করতে আপনি প্রস্তুত, কিন্তু কোথায় পাবেন? আসলে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে নজর রাখলে এমন কাজ অনেকটা আপনাআপনিই ধরা দেবে। এ ক্ষেত্রে ওডেক্স, ফ্রিল্যান্সার ও ইল্যান্সারের মতো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো নিয়মিত ব্রাউজ করতে পারেন। এ ছাড়া আপনার টুইটে বিজ্ঞাপন জুড়ে দিয়েও কামাতে পারেন টাকা, স্বয়ং টুইটারের কাছ থেকে। সে ক্ষেত্রে পোস্টে বিজ্ঞাপন বসানোর জন্য রয়েছে বেশ কিছু স্পন্সর সাইট। এ জন্য সেই সব সাইটে বা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ওদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার দরকার পড়বে আপনার। যেমন ধরুন, স্পন্সরড টুইটস [Sponsored Tweets], মাই লাইকস [My Likes], , অ্যাড.লি [Ad.ly], টুইটঅ্যাড [Twittad] প্রভৃতি।
তবে খেয়াল রাখবেন, এসব সাইট বা অ্যাপ যেন বিশ্বস্ত হয়। তা ছাড়া টুইটারসহ যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আয় করার জন্য একটু ধৈর্যশীল হওয়া যে বাঞ্ছনীয়, সে কথা নিশ্চয়ই আপনাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট