হরাইজন
নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে তাসনুভা
বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্স ওমেন নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে দেশে তো বটেই, বিদেশেও ইতিমধ্যে নজর কেড়েছেন তাসনুভা আনান শিশির। গেল বছর টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০২১-এর সেরা ১০০ ছবির মধ্যে ছিল তাসনুভার ছবি। এ বছর তো আরও বড় চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চ আলো করে হেঁটে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার ওমেন হিসেবে। গত বছরের ডিসেম্বরে শোটাইম মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের বেস্ট বাংলাদেশি নিউ অ্যাঙ্করের খেতাব জিতে নেন তাসনুভা। সে জন্য নর্থ আমেরিকায় যান তিনি। পরবর্তীকালে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ওমর ফারুক এবং 4M TV ইউএসএর এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার মো. আরিফুল ইসলাম নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য আমন্ত্রণ জানান তাকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে দেখা গেছে তাসনুভাকে। খ্যাতনামা ডিজাইনার অস্কার গঞ্জালেজ মন্তানেজের ডিজাইন করা পোশাকে। তাসনুভার আগে মোনালিসা ও মডেল জান্নাতুল পিয়াকেও দেখা গিয়েছিল নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চে।
পুষ্পা এবার শাড়িতে
তেলেগু ভাষার সিনেমা ‘পুষ্পা’-জ্বরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। মাত্র দু মাসেই ৩৪২ কোটি টাকার ব্যবসা করে নেওয়া সিনেমাটির সংলাপ, গান থেকে নাচের বিভিন্ন মুদ্রা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সব বয়সী মানুষের কাছে। এর রেশ ধরেই বাজারে এসেছে পুষ্পা শাড়ি। ভারতের সুরাটের শাড়ি ব্যবসায়ী চরণপাল সিং তৈরি করেছেন এটি। সিনেমার পোস্টার ছেপে দিয়েছেন শাড়ির জমিনজুড়ে। চরণজিৎ খোদ অভিনয়ে যুক্ত দীর্ঘকাল ধরে। পুষ্পার জনপ্রিয়তা এবং কলাকুশলীদের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েই এই শাড়ি বানানোর উদ্যোগ নেন তিনি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় তিন হাজার শাড়ি বানিয়ে ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাড়াও মেলে বেশ। ফেসবুক আর টুইটারে ভাইরাল হয়ে যায় চরণপালের চরণজিৎ ক্রিয়েশনের পুষ্পা শাড়ি। অর্ডার মিলতে শুরু করে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়সহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে। এর আগে ভারতীয় সিনেমা ‘বাহুবলী’ মুক্তি পাওয়ার পর বাহুবলী শাড়ি বানিয়েও সাড়া ফেলেছিলেন চরণপাল সিং।
সুপারমডেল সিস্টারদের নতুন ক্যাম্পেইন
জিজি ও বেলা হাদিদ। স্টার সুপারমডেল হিসেবে খ্যাত দুই বোন। সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন লাক্সারি ফ্যাশন হাউস ভারসাচি স্প্রিং ২০২২ ক্যাম্পেইনে। এতে অংশ নিয়েছেন খোদ ডোনাত্তেলা ভারসাচি। থাকছেন কলম্বিয়ান সুপারস্টার মালুমাও। মূলত পরিবার এবং এর বিভিন্ন ফর্ম, যেমন সিস্টারহুড, কমিউনিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে পুরো ক্যাম্পেইন। ছবি তুলেছেন মার্ট এলাস ও মারকাস পিগোট। ছবিগুলোতে হাদিদ সিস্টারদের দেখা গেছে বিভিন্ন কো-অর্ডিনেটেড লুকে। প্রাধান্য পেয়েছে লেটেক্স ড্রেস, মেটাল মেশ মিনিড্রেস আর সেফটি পিনড পিসেস। প্রতিটি ছবিতেই নজর কেড়েছে ভারসাচির লা মেডুসা ব্যাগগুলো।
ফ্যাশন ডেস্ক