সম্পাদকীয়
এলো ঈদ। আনন্দের বার্তা নিয়ে। আবহাওয়ায় যদিও গরমের দাপট, জনমনে তবু খুশির ফোয়ারা। ফুরফুরে এক অনুভূতির ছড়াছড়ি। বসন্ত চলে গেলেও বাতাসে যেন অগুনতি ফুলের সুবাস। বাস্তবিক অর্থে না হলেও, মানসপটে সেই দোলা ঠিকই খেলা করে যায়। একই সঙ্গে চলছে নতুন বছরও। বাংলা ক্যালেন্ডারে। এমন দ্বিগুণ আনন্দের ক্ষণে এলো ক্যানভাসের নতুন উপহার। ঈদসংখ্যা।
বরাবরের মতো বিশেষ উপলক্ষ মানে আপনাদের জন্য বিশেষ উপহার—‘সিগনেচার’। তাতে সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছি বাহুল্য। তবে সাজকৌশলে কমতি নেই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তোলার প্রচেষ্টা। বাড়াবাড়ি নেই মেকআপে। শুধু প্রয়োজনীয়টুকুর ব্যবহারেই মুখশ্রীর উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলার কৌশল ভাগাভাগি করে নিলাম আপনাদের সঙ্গে।
গ্রীষ্মের দাবদাহে হাজির হওয়া ঈদের এই আয়োজনে ক্যানভাসের থিম রং হলুদ। চোখে ও মনে প্রশান্তি এনে দিতে। ফ্যাশন সেগমেন্টে এবার হাজিরা বিশেষ পোশাকের। আরব ইভল্যুশন, প্লাস সাইজ ফ্যাশনের পাশাপাশি রয়েছে কুর্তার বাহার। বিউটি সেগমেন্টে রয়েছে আবহাওয়া ও উৎসব উপযোগী বেশ কিছু ফিচারের হাজিরা। ফুড সেগমেন্টে স্বভাবতই মূল ফোকাস ঈদের খাবার। তবে অবশ্যই বৈচিত্র্যপূর্ণ রেসিপি ও খাদ্যতালাশের সমাহারে। আর আপনাদের মনোজগৎ চাঙা রাখতে লাইফস্টাইল সেগমেন্টে হাজির করা হলো কয়েকটি সুনির্বাচিত আয়োজন।
লেখা ও ছবিতে সাজানো এবারের ক্যানভাস আপনাদের ঈদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করে দিতে পারবে বলেই বিশ্বাস। আর তা পারলে পরিশ্রম সার্থক হবে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, বৈশাখের তপ্ত দিনে এসেছে ঈদ। বছরের এ সময়টায়, তীব্র গরমের এই দিনগুলোতে লেগে থাকে মৌসুমি অনেক অসুখ-বিসুখ। কেউ একজন অসুস্থ হলে সেই পরিবারের ঈদের আনন্দ স্বভাবতই ফিকে হয়ে যায়। পায় না পূর্ণ মাত্রা। তাই এ সময়ে খাদ্য গ্রহণে সবাইকে থাকতে হবে বিশেষ সচেতন। উপভোগ যেন আবার দুর্ভোগে পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা চাই।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।