skip to Main Content

ই-সোসাইটি I টিক-টাকা-টক!

একে নিয়ে অনেকের অনেক হুলুৃস্থুল! আবার অনেকের কাছে এটা রীতিমতো চক্ষুশূল! বলছি তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সামাজিক নেটওয়ার্ক টিকটকের কথা। হোক ভালো কিংবা মন্দ, টাকা কামানোর এ এক দারুণ মাধ্যম

সাম্প্রতিক কালে ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় রাজত্ব চলছে টিকটকের। বহুল নন্দিত ও নিন্দিত এই চীনা মিউজিক ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কের জোয়ার বইছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের ভেতর। রাতারাতি অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন গ্লোবাল সেলিব্রিটি। অনেকে আবার পরিণত হচ্ছেন হাসির পাত্রে। ভালোমন্দ যা-ই হোক, টিকটক থেকেও কামানো যায় টাকা। তাই একে ইতিবাচকভাবে দেখার অনেক সুযোগ রয়েছে।
এই ই-সোসাইটিতে তৈরি করা হয় ছোট ছোট ভিডিও। রানিংটাইম ৩ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট। এত অল্প সময়ের ফ্রেমেই দেখাতে হয় দ্যুতি বা জাদু। তাই টিকটক থেকে উপার্জনের উপায় খোঁজার আগে আইডি খোলার নিয়মকানুন জেনে নেওয়া যাক—
টিকটিক হাজির
টিকটকে আইডি খোলা খুব সহজ। শুরুতেই স্মার্টফোনের গুগল প্লে স্টোর কিংবা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে ‘টিকটক’ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। এরপর অ্যাপে প্রবেশ করে ক্লিক করুন ‘সাইন আপ’ বাটনে। সেখানে আপনি কতগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে চাইলে ই-মেইল, ফেসবুক, মোবাইল নম্বর কিংবা গুগল অ্যাকাউন্ট—যেকোনো একটি অপশন ব্যবহার করে খুলতে পারবেন আইডি। এরপর দিতে হবে আপনার জন্মতারিখ। হয়ে গেল আইডি খোলা! এবার দিতে হবে ভেরিফাই কোড। পাবেন কীভাবে? আপনার মোবাইল নম্বর কিংবা ই-মেইল ব্যবহার করেই পেয়ে যাবেন।
টিকটক যেহেতু ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, তাই এখানে নিজের ইচ্ছেমতো ভিডিও কনটেন্ট বানাতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে শুরুতেই লগ-ইন করতে হবে। লগ-ইন করা হয়ে গেলে ভিডিও তৈরির একটি অপশন দেখবেন। সেখানে প্রেস বা ক্লিক করে ভিডিও বানাতে পারবেন। এরপর ওই ভিডিওতে পছন্দের মিউজিক বা সাউন্ড জুড়ে দিতে সাহায্য নিতে হবে ‘অ্যাড মিউজিক’ বাটনের। ভিডিও বানানো শেষ হয়ে গেলে ‘নেক্সট’ অপশনে ক্লিক করুন। বলে রাখি, ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইলে টিকটকে থাকা বিভিন্ন ফিল্টার অপশনের সাহায্য নিতে পারেন। তো হয়ে গেল ভিডিও কনটেন্ট। এবার পোস্ট করুন।
আয় রোজগার
ব্র্যান্ডের অংশীদারত্ব, পণ্যদ্রব্য বিক্রয়, প্রতিযোগিতা, স্পনসর করা, ইভেন্টে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনি। চলুন, কয়েকটি উপায় বাতলে দেওয়া যাক:
লাইভ স্ট্রিমিংয়ে বাজিমাত
টিকটকে উপার্জনের প্রাথমিক পন্থা এটি। আপনার যদি এক হাজারের বেশি ফ্যান-ফলোয়ার থাকে, আপনার করা লাইভ স্ট্রিমিংগুলো তখন তাদের কাছ থেকে ইমোজি পাবে। আর সেই সব ইমোজি কিন্তু শুধুই ইমোজি নয়, বরং একধরনের অর্থমুদ্রা! প্রতিটি ইমোজির জন্য আপনি পাবেন কিছু কয়েন। সেগুলো অনুযায়ী টাকা জমা পড়বে আপনার অ্যাকাউন্টে।
প্রতিযোগিতার দম
টিকটকে প্রচুর কনটেস্ট বা প্রতিযোগিতার হিড়িক লেগে থাকে। আপনি যদি এমন কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, আর আপনার তৈরি করা ভিডিওটি নির্বাচিত হয় বা ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে, তাহলে আর ঠেকায় কে! কোনো কোনো প্রতিযোগিতা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা, এমনকি আইফোনের মতো লোভনীয় পুরস্কারও কপালে জুটতে পারে আপনার।
গিফটের জাদু
যাদের ফলোয়ার বেশি, টিকটক তাদের প্রচুর উপহার দিয়ে থাকে। তাই আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে নিন।
স্পনসরশিপের ভেলকি
আপনি আপনার আইডির ফলোয়ারদের সঙ্গে স্পনসরশিপ শেয়ার করলে সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। কেননা, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও সংস্থা আপনার সঙ্গে তাদের স্পনরশিপের জন্য যোগাযোগ করবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে দর-কষাকষিতে যদি দক্ষ ও বিচক্ষণ হন, আপনাকে আর পায় কে!
প্রচারে প্রসার
টিকটকে আপনার জনপ্রিয়তা যত বাড়বে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ফলোয়ারও। তখন নিজেদের পণ্যের প্রচার ঘটাতে কিছু ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাদের পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে ভালো উপার্জন করার সুযোগ বাড়বে।
বলি…
আয়ের রাস্তার সঙ্গে তো পরিচিত হলেন, এবার শুনুন, টিকটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নিম্নমানের ভিডিও কনটেন্টের ছড়াছড়ি দেখা যায় হরদম। আর এসবই মূলত এই ই-সোসাইটির এত বদনামের মূলে। আপনি যদি সেই বদনামের ভাগীদার হতে না চান, তাহলে রুচিসম্মত কনটেন্ট বানানোর চেষ্টা করবেন। কেননা, সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধকে বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
আপনার টিকটক যাত্রা অনুসরণীয় হোক।

 লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top