অ্যাডভার্টোরিয়াল I মুঠোফোন চলচ্চিত্রে ভিভো এক্স৮০ ৫জি
ফটোগ্রাফি আর সিনেমাটোগ্রাফির সৃজনপ্রক্রিয়া যেমন আলাদা, তেমন এ দুটির প্রযুক্তিও ভিন্ন। প্রযুক্তিগত এই পার্থক্যের কারণে ফটোগ্রাফি আর সিনেমাটোগ্রাফির ক্যামেরাও আলাদা। বিশ্বের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক দিন ধরে ফটোগ্রাফিনির্ভর ক্যামেরা তৈরি করে আসছে। ফলে মানসম্মত সিনেমাটোগ্রাফিতে সক্ষম—এ রকম একটি স্মার্টফোনের শূন্যতা থেকেই গেছে। আর এই শূন্যতা পূরণ করতে সম্প্রতি বাজারে এসেছে স্মার্টফোন ভিভো এক্স৮০ ৫জি।
লেন্স নির্মাণে ১৭৫ বছরের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা আছে কার্ল জেইসের। বিশ্বখ্যাত এই প্রতিষ্ঠান অনেক দিন ধরেই গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো’র সঙ্গে কাজ করছে। এর আগে এই দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রয়াস ছিল ভিভো এক্স৬০ প্রো এবং ভিভো এক্স৭০ প্রো। ব্যবহারকারীরা এই দুটি স্মার্টফোনের ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এলো ভিভো এক্স৮০ ৫জি। না, এবার শুধু ফটোগ্রাফি নয়; সিনেমার দৃশ্য ধারণের মতো রাজকীয় অনুভূতির কাছাকাছি সিনেমাটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্স উপহার দিতে এসেছে ভিভো এক্স৮০ ৫জি।
এক্স ৮০ স্মার্টফোনের পেছনে ক্যামেরার সংখ্যা তিন। তিনটিই কার্ল জেইসের লেন্স। এর ভেতর ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরার সেন্সরের আকার ১/১.৪৯। যেটি স্মার্টফোনের ক্যামেরা সেন্সর হিসেবে বেশ বড়সড়ই বটে। একই সঙ্গে এটা জেইস মাস্টার এনমর্ফিক লেন্সের আদলে বানানো। ফলে স্মার্টফোন সিনেমাটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এই ক্যামেরা অবিসংবাদিত হতে চলেছে বলা যায়।
এখানেই শেষ? না! এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোনের ক্যামেরার টি*কোটিং স্ট্যান্ডার্ড বেশ দক্ষতার সঙ্গে আলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম। সেই সঙ্গে এর সেন্সর সনি আইএমএক্স৮৬৬ আরজিবিডব্লিউ। গতানুগতিক রেড, গ্রিন ও ব্লুর সঙ্গে যোগ হয়েছে হোয়াইট কালার। ফলে মৌলিক রঙের নিখুঁত ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় এই ফোনে অনেক বেশি। বাংলাদেশে এ রকম সেন্সর ভিভোই প্রথম নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ভিভো এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোনের ক্যামেরায় আছে ২১/৯ সিনেমাটিক রেশিও! এটা স্মার্টফোন ক্যামেরার ক্ষেত্রে অবাক করার মতো সংযোজিত প্রযুক্তি। বোঝাই যাচ্ছে, সিনেমাটোগ্রাফারদের জন্য এটি বেশ ভালো একটি স্মার্টফোন হতে চলেছে।
ওয়াইড এঙ্গেল শট নেবার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনগুলোর যে সীমাবদ্ধতা ছিল, ভিভো এক্স৮০ ৫জি ফোনে সচেতনভাবে সেসব কাটিয়ে ওঠা হয়েছে। এর ১২ মেগাপিক্সেলের সুপার ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা ১০৮ ডিগ্রি পর্যন্ত দৃশ্য ধারণে সক্ষম; পাশাপাশি এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১.৫ শতাংশ ডিস্টর্সন কমিয়ে আনতে পারে। মোবাইল সিনেমাটোগ্রাফির জন্য এই প্রযুক্তি আশীর্বাদস্বরূপ।
ভিভো এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোনের আরও একটি বিস্ময় এর পোর্ট্রেট ক্যামেরা। সিনেমাটোগ্রাফির অন্যান্য শটের মতো পোর্ট্রটে শটও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেছে, এটার পোর্ট্রেট লেন্স সাবজেক্টকে আরও অনবদ্য করে তোলে। এই ১২ মেগাপিক্সেলের পোর্ট্রেট ক্যামেরা বাকি দুটি লেন্সের মতোই কার্ল জেইসের কালজয়ী সৃষ্টি।
পেশাদার কিংবা শৌখিন সিনেমাটোগ্রাফার—কারও চাহিদার কোনো কমতি রাখা হয়নি ভিভো এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোনে। মেধা, সৃজনশীলতা আর ভিভো এক্স৮০ দিয়ে নির্মিত কোনো চলচ্চিত্র হয়তো অচিরেই আমরা দেখতে পাব।
ক্যামেরা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা গেল। এবার আসা যাক অন্যান্য প্রসঙ্গে। ভিভো’র এই স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি প্রসেসর। একটি ভিভো’র নিজস্ব ভি১+ চিপ, যেটি ভিভো’র আড়াই বছরের গবেষণার ফসল। সেই সঙ্গে মিডিয়াটেক ৯০০০ প্রসেসর। বোঝাই যাচ্ছে, ভিভো গতি আর পারফরম্যান্স দিয়ে বাকি সব ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনকে পেছনে ফেলতে বদ্ধপরিকর। সর্বোচ্চ মানের ডুয়াল প্রসেসরের বিচারে ভিভো এক্স৮০ নিশ্চিতভাবে এগিয়ে।
আরও একটা তথ্য দেওয়া যাক। ৪ ন্যানোমিটার আকারের পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র সিপিইউ মিলবে ভিভো’র এই মডেলে।
১২ জিবি এলপিডিডিআর ৫ র্যামের পাশাপাশি ৪ জিবি ভার্চ্যুয়াল র্যাম এবং ১২৮ জিবি রমের একটি ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে এসেছে এবং দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে এক্স৮০ ৫জি। একটি আরবান ব্লু এবং অন্যটি কসমিক ব্ল্যাক; সঙ্গে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার, যেটি ১৮ মিনিটে ৭০ শতাংশ এবং ৩৫ মিনিটে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম।
ভিভো’র এক্স৮০ ৫জি হাতে নেওয়ামাত্রই মনে হবে, ডিজাইনে এসেছে পরিশীলিত নান্দনিকতা। এর এক্সট্রিম স্কয়ার এবং রাউন্ড ডিজাইন দেখতে ও ধরতে এককথায় অসাধারণ! তাতেই বোঝা যায়, সর্বোচ্চ গবেষণার সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং মেধার সঙ্গে আন্তরিকতা মিশে যখন একাকার হয়, তখন সৃষ্টি হয় নতুন ফেনোমেনন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক