বুলেটিন
হুদার বিউটি কালার ব্লক প্যালেট
দুবাই বেসড মেকআপ ব্র্যান্ড হুদা বিউটি বেশ আগেই জয় করে নিয়েছে সৌন্দর্যবিশ্ব। বরাবরই এর নতুন বিউটি প্রডাক্টের অপেক্ষায় থাকেন মেকআপপ্রেমীরা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। মাসখানেক আগে লঞ্চ হওয়া ব্র্যান্ডটির ‘কালার ব্লক’ আইশ্যাডো প্যালেটগুলো নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয় বিশ্বজুড়ে। আর হবে না-ইবা কেন! এখন পর্যন্ত ব্র্যান্ডটির সবচেয়ে কালারফুল প্যালেট এটি। অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে টিকটকার এবং চলতি কালার ব্লক ট্রেন্ড থেকে। ফান, ব্রাইট, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ভার্সাটাইল-ব্র্যান্ড থেকে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে প্যালেটগুলোকে। মাস্ট হ্যাভ প্রতিটি কালার সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে সুন্দরভাবে। ক্রিমি, স্মুদ এবং বেন্ডেবল টেক্সচারে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারের হ্যাপাও কম। আর হুদার নতুন ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়েছে প্যালেটগুলো তৈরিতে। ফলে শুধু আইশ্যাডো নয়, আইলাইনার হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী। ম্যাট, শিয়ার, মেটালিক, ফয়েল মেটালিক আর ডুয়ো মেটালিক শেডের আইশ্যাডো থাকবে প্যালেটগুলোতে। মোট দুটো প্যালেটের একটি উজ্জ্বল পার্পল, অরেঞ্জ আর ইয়েলো টোনঘেঁষা। অন্যটিতে মিলবে নীল আর সবুজের সব শেড। প্রতিটির দাম ২৯ ডলার।
হেরিংবোন হাইলাইটস
ধূসরতায় ঢাকা পড়তে শুরু করেছে চুল? সুখবর! রং দিয়ে তা আর ঢাকতে হবে না; বরং অভিনব এই হাইলাইটিং প্রক্রিয়ায় বাড়বে গ্রে হেয়ারের গ্ল্যামার। একদম লো মেইনটেন্যান্স থেকেও স্টাইলিশ হয়ে ওঠা যাবে। জেনিফার অ্যানিস্টন, গিনিথ প্যালট্রো আর সারাহ জেসিকা পার্কারের মতো তারকারা তো তাই করছেন। হেরিংবোন প্যাটার্নে হাইলাইট করে নিচ্ছেন চুলের ধূসর অংশ। ওয়ার্ম এবং কুল টোনের হাইলাইটারের সঠিক সংমিশ্রণে। কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নয়, এই প্রক্রিয়ায় হাইলাইটার মাখাতে হবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ডিফিউজিং, ইরেগুলার প্যাটার্নে।
ফেনটির ফার্স্ট ফেস মাস্ক
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রিয়ানার সৌন্দর্যপ্রতিষ্ঠান ফেনটি বিউটি। মূলত মেকআপ তৈরি হলেও সম্প্রতি লঞ্চ হয়েছে তাদের প্রথম ত্বকচর্চার পণ্য। কুকিস এন ক্লিন নামের একটি ফেস মাস্ক। মুখরোচক আইসক্রিমের ফ্লেভার কুকিস অ্যান্ড ক্রিম থেকে অনুপ্রাণিত ক্লে বেসড মাস্কটি। দেখতেও অনেকটা সে রকমই। কেওলিন ক্লে, চারকোল, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এবং রুবার্ব ছাড়াও আদার নির্যাসে তৈরি এটি; যা ময়লা, ধুলা, তেল আর দূষণকে ত্বকের একদম গভীরতম স্তর থেকে পরিষ্কার করে নিয়ে আসে। ঝকঝকে পরিষ্কার করে তোলে লোমকূপ। বাতাসের মতো হালকা টেক্সচারের ডিটক্সিফায়িং মাস্কটি ব্যবহারের পর ত্বক হয়ে ওঠে কোমল, মসৃণ। শুষ্ক কিংবা ভেজা—দুই ধরনের ত্বকে ব্যবহারের উপযোগী এটি। সপ্তাহে দু থেকে তিনবার ব্যবহার করলেই চলবে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট মেখে রেখে ধুয়ে নিতে হবে ত্বক থেকে। দাম ৩২ ডলার।
বিউটি ডেস্ক