skip to Main Content

কুন্তলকাহন I ডান অ্যান্ড ডাস্টেড

স্প্লিট এন্ড সারানো জন্য। চুল বেড়ে উঠবে, দেখাবে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল

লম্বা চুল ছাঁটতে গিয়ে ছোট হয়ে গেছে—এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে হেয়ার ট্রিমিংয়ের সময়। কিন্তু চুল না ছাঁটলেও তো হচ্ছে না। এতে চুল বড় হবে ঠিকই, কিন্তু আগা ফাটা নিয়ে। পরে যা দৃষ্টিকটুই দেখাবে। তাই এমন কিছু চাই, যাতে চুলের দৈর্ঘ্যের তেমন হেরফের না করে সেরে নেওয়া যাবে ট্রিমিং। দেখাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। সুখবর! এমন কৌশল ইতিমধ্যেই আবিষ্কার করে ফেলেছেন হেয়ারস্টাইলিস্টরা। হেয়ার ডাস্টিং নামে।
হেয়ার ডাস্টিং কী
মূলত বিশেষ এক ধরনের ট্রিমিং মেথড; যার মাধ্যমে চুলের অনেকখানি না কেটে শুধু স্প্লিট এন্ড ছেঁটে নেওয়া হয়। রেগুলার ট্রিমের মাইনর ভার্সন বলা যায় একে। প্রাচীন এক পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত এ প্রক্রিয়া। যাতে চুলের ছোট গোছা নিয়ে টুইস্ট করে বা পেঁচিয়ে নেওয়া হতো। পরে সেই প্যাঁচানো চুলের গোছা থেকে ইতিউতি যে ডগা বেরিয়ে আসত, তা মোমবাতি দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হতো। ডাস্টিং এই প্রক্রিয়ারই আধুনিক রূপ, যাতে চুল না পুড়িয়ে ছেঁটে নেওয়া হয়। এই কৌশলের নাম হেয়ার ডাস্টিং রাখার কারণ? ছাঁটার পর মেঝেতে আর স্যালনের কেইপে যে চুল জমা হয়, তা দেখতে ধুলার মতো দেখায়। তাই এমন নাম।
উপকারিতা
কৌশলটির মাধ্যমে চুলের একদম ছোট অংশ ছাঁটা হয়। অতিরিক্ত শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকুই। তাই চুল লম্বা করা যায় অনায়াসে। চুলের ওভারঅল লুকেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। হেয়ার ডাস্টিংয়ের ফলে চুল অনেক বেশি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়। হয়ে ওঠে ম্যানেজেবল। আর হেয়ারস্টাইলিংয়ের পর ছোট ছোট চুল বেরিয়ে থাকার সমস্যা থাকলে নিয়মিত ডাস্টিংয়ের পর তা সমাধান হয়ে যাবে বলে মত হেয়ারস্টাইলিস্টদের। সব ধরনের চুলেই ডাস্টিং সম্ভব। হোক তা সটান সোজা, কার্লি কিংবা ঢেউ খেলানো।
দুটি উপায়ে ডাস্টিং করে নেওয়া যায়। বাড়িতে বসে অথবা স্যালনে স্টাইলিস্টদের দিয়ে। তবে আত্মবিশ্বাস না থাকলে এ কাজ নিজে না করাই ভালো।
জেনে রাখা প্রয়োজন, যেকোনো কাঁচি দিয়ে ডাস্টিং সম্ভব নয়। বেছে নিতে হবে এমন কাঁচি, যা চুল কাটার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা। ডাস্টিংয়ের শুরুতে চুলকে জট মুক্ত করে নিতে হবে। মোটা দাঁতের চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে। তারপর চুল ভাগ করে নিতে হবে সমান ভাগে, ছোট ছোট গোছায়। ভাগ করে নেওয়া চুল কয়েলের মতো পেঁচিয়ে নিতে হবে। চুলের একটি গোছা নিয়ে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত পেঁচাতে থাকতে হবে। এই পেঁচানো চুল থেকে যে বাড়তি চুলের ডগা উঁকি দেবে, তা ছেঁটে নিতে হবে। এভাবে পুরো মাথার চুল ডাস্ট করে নিতে হবে। প্রতি তিন মাস পর ট্রিম করে নেওয়ার নিয়ম। এর মাঝেই করতে হবে ডাস্টিং। তাই দেড় মাস পর পরই ডাস্টিংয়ের মোক্ষম সময়।

 বিউটি ডেস্ক
মডেল: প্রমা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: হাদী উদ্দীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top