এই শহর এই সময় I ফলের ও জলের শহর
পরিবেশে রোদ-বৃষ্টির মিতালি। শহর চলছে আপন গতিতে। বরাবরের মতোই নগরে বসেছে শিল্প ও প্রদর্শনীর পসরা। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া উপেক্ষা করে সেখানে লোকসমাগমও হয়েছে উল্লেখ করার মতো। ঢল নেমেছিল ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতেও। সেখানে ২৫ জুন পর্যন্ত চলে চিত্রশিল্পী সব্যসাচী হাজরার ‘ব্রাহ্মী টু বাংলা’ প্রদর্শনী। শুরু হয়েছিল ১৪ জুন। একই সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে তার তৃতীয় প্রকাশনা ‘অ-ইন দ্য কোয়েস্ট অব বাংলা টাইপোগ্রাফি’। প্রদর্শনী ও প্রকাশনার মূল উপজীব্য হলো অক্ষরবিন্যাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা হরফকে নান্দনিক ও ব্যবহারিকভাবে বিশ্লেষণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘোজঁ। সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হলো মুদ্রিত বাংলা হরফ। মূলত প্রমিত বাংলা হরফের পরিক্রমা দেখানো হয়েছে এখানে। আমি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা প্রচণ্ডভাবে অনুপ্রাণিত। এই বই এবং প্রদর্শনী ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’
গ্রাম-মফস্বল থেকে আসছে আম-কাঁঠালসহ নানান ফল। ঘরে ঘরে ফলোৎসবের পাশাপাশি শহরে হয়েছে মেলাও। খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে হয়ে গেছে জাতীয় ফল মেলা। মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মেলায় সরকারি-বেসরকারি মোট ৬৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’। আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পেরেছেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, দেশে ৭৮ রকমের দেশি-বিদেশি ফল চাষ হয়। তবে উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই হচ্ছে আম, কলা ও কাঁঠাল।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় হয়ে গেছে দেশের প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২। ২ জুন শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ এক্সপোয় অংশ নিয়েছিল যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তুরস্ক, জাপান, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, চীন, স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ৬০টি ব্র্যান্ড। আইসিসিবির ৪ নম্বর হলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। এক্সপোটি দর্শনার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তা ছাড়া এক্সপোতে স্টুডেন্ট ডিজাইন কম্পিটিশন, ওয়ার্কশপ, বায়ার সেলার মিটিং, ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ ও জব সার্চের সুযোগ ছিল।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ