বাইট
রানির মৃত্যুতে তোপের মুখে ফুডব্যাংক
ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রয়াত হয়েছেন ৮ সেপ্টেম্বর। এই শোকে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালে কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির খাদ্যবিষয়ক অলাভজনক ও দাতব্য সংস্থা উইম্বলডন ফুডব্যাংক। ফেসবুক পোস্টে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘এই শোকের সময়ে রাজপরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকল ফুডব্যাংক বন্ধ থাকবে। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে আমরা আবারও কার্যক্রমে ফিরব।’
আর তাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় তাদের। কেননা, কার্যক্রম বন্ধ থাকলে অনেক অনাহারী এই ফুডব্যাংক থেকে খাবার পাবে না। প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটারে যুক্তরাজ্যের হাউজিং অ্যাকটিভিস্ট কাজো টুয়েনেবোয়া লেখেন, ‘রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে, স্রেফ এ কারণে কাউকে অনাহারে থাকতে হবে, এর চেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’ এমন তোপে ছেয়ে যায় শীর্ষস্থানীয় সব সোশ্যাল মিডিয়া। অবশেষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সাফ জানিয়ে দেয়, ফুডব্যাংক বন্ধ থাকবে না।
এক দেশে সাত লাখ মানুষের জন্য খাদ্যত্রাণ
জমিনে ফসল ফলেনি ঠিকঠাক। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব। সব মিলিয়ে মারাত্মক খাদ্যসংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকান রাষ্ট্র জিম্বাবুয়ে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অসহায় নাগরিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। অন্তত ৭ লাখ মানুষকে খাদ্যত্রাণ দেবে তারা। ১৩ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির পক্ষে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, দেশের ৩৮ লাখ নাগরিককে খাদ্যসহায়তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে জিম্বাবুয়ে সরকার।
বলে রাখা ভালো, দুই দশকের বেশি সময় ধরে খাদ্যসংকটে নিদারুণ ভুগছে জিম্বাবুয়ে। সম্প্রতি তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ফ্রান্সেস্কা এডেলমান বলেছেন, ‘এখনো দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে পৌঁছায়নি অবশ্য; কিন্তু তার মানে এই নয়, পরিস্থিতি ভালো। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। দেশটির সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করব আমরা।’ একই সঙ্গে, খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেস্তোরাঁয় থালাবাসন ধোয়ামোছায় রিয়ানা!
১ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ‘ক্যাভিয়ার রুস’ নামের এক রেস্তোরাঁয় বান্ধবীদের নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন তারকা গায়িকা রিয়ানা। কিন্তু ততক্ষণে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। রেস্তোরাঁটি বন্ধ করার সময় হয়ে এসেছিল। তবু ৩৪ বছর বয়সী গায়িকার বিশেষ অনুরোধে তা খোলা রাখতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ। রাত ২টা পর্যন্ত সেখানে বেশ মধুর সময় কাটান রিয়ানা ও তার বান্ধবীরা। আর ফিরে আসার সময় ধোয়ামোছার কাজে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে তিনি হাত লাগান বলে জানা গেছে। ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’কে সেই কথা জানিয়েছেন কর্মীরাই। এত বড় তারকার এমন বিনয়ী আচরণে তারা যারপরনাই মুগ্ধ।
i ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ