ব্র্যান্ড টক I আরবান ডিকে
জনপ্রিয়তার রহস্য
ফিনিশিংয়ের নানান ধরন
শেডের ভিন্নতা
ত্বকে মিশে যায় সহজে
ব্র্যান্ড বয়ান
প্রিটি ডিফরেন্ট- বিউটি আরবান ডিকের ট্যাগ লাইন। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় এর শুরু, ১৯৯৬ সালে। উয়েন্ডি জোমানির উদ্যোগ এই সাহসী ব্র্যান্ড। শতভাগ ক্রুয়েলটি ফ্রি হওয়ায় কখনোই কোনো পশুর ওপরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি এর পণ্য। ভেগান ফর্মুলায় তৈরি। মায়াময় ধরণীর প্রতি মায়াহীন নয়।
আরবান ডিকে যখন যাত্রা শুরু করে, বিউটি প্রডাক্টের মার্কেটে তখন পিংক মেকআপের জয়জয়কার। ব্র্যান্ডগুলো প্রায় একই রকম ফেমিনিন পণ্য তৈরি করছে, আর সবাই কিনছেও একই রকম। এমন সময়ে আরবান ডিকের আগমন। আর্দি টোনে। ভিন্নতা তার সবকিছুতে। পালে যুগের হাওয়ার টান নেই, স্রোতে বিপরীত ধারা। তবু লড়ে যাচ্ছে বাজারে। একা। নিজের মতো করে নিজস্বতায় অনন্য।
বিজ্ঞাপনেও দেখা গেল সেই একই সুর! প্রথম ম্যাগাজিন অ্যাডের কপিতে লেখা, ‘ডাজ পিংক মেইক ইউ পিউক?’ এই এক লাইন, একটি প্রশ্ন! অথচ সাড়া ফেলে দেয় পুরো সৌন্দর্যবিশ্বে। যে গোলাপি রং নিয়ে মাতামাতি তখন আকাশছোঁয়া, তা নিয়ে এহেন মন্তব্য শুনে প্রসাধন দুনিয়া নড়েচড়ে বসবে, সেটাই স্বাভাবিক। হলোও তাই। কিন্তু এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আরবান ডিকে যাত্রা শুরু করেছিল মেকআপ লাইন হিসেবে, পরবর্তী সময়ে এতে যুক্ত হয় স্কিন কেয়ার, বডি কেয়ার এবং সুগন্ধি।
হিরো প্রডাক্ট
নেকেড প্যালেট আর তৈরি হচ্ছে না, এটা মেনে নিতেই পারছিলেন না আই মেকআপের ফ্যানরা। চোখসাজের ধারণা বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আরবান ডিকের এই প্রডাক্ট। বাজারে আসার পর থেকেই এক ডজন ওয়ার্ম টোনে মেতেছিল দুনিয়া, যার মোহ কাটেনি আজ অব্দি। পিচ আর কপার টোনের উজ্জ্বলতা নতুন করে নজর কেড়েছিল এই প্যালেটের মাধ্যমেই। এটি লঞ্চ হওয়ার পর। লালের নানা শেডের মনোমুগ্ধকর রূপে মজেছিলেন হাজারো সৌন্দর্যসচেতন মানুষ। জনপ্রিয় এই আইশ্যাডো প্যালেটের আরেকটি বিশেষ দিক ছিল ফিনিশিংয়ের ভিন্নতা। ক্রেতার কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে আরবান ডিকের নেকেড প্যালেটটি।
ক্রেতা আক্ষেপ
ব্র্যান্ডটির কালেকশনে ওয়ার্ম টোনের বাইরে শেড না থাকা
সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ