ফিচার I নতুন ধারার মার্কেটপ্লেস
মূলত অনলাইনে ব্যবসা করেন যারা, ক্রেতাদের সঙ্গে সেই উদ্যোক্তাদের সরাসরি সাক্ষাৎ ঘটানোর আয়োজন
কয়েক বছর ধরে অনলাইন উদ্যোক্তাদের মেলা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঁচ তারকা হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, মিলনায়তন, এমনকি বাসার আঙিনাতেও মেলার আয়োজন করছেন অনেকে। ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জায়গা হিসেবেও গুরুত্ব পায় এ ধরনের ইভেন্ট।
বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এ সময়ে ঢাকাকেন্দ্রিক মেলার আয়োজন করছে। চট্টগ্রামেও দেখা যায় এমন আয়োজন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত মেলাগুলোর বিশেষ দিক হচ্ছে—
i একই ছাদের নিচে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সমাহার;
i মেলা সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিনের হয়;
i নিয়মিত মেলায় অংশগ্রহণ করা মানুষের সংখ্যা বেশি;
i অনলাইনে দেখে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ যাদের তৈরি হয়, তারা সামনাসামনি দেখে তা কিনতে পারেন;
i ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
আমাদের দেশে খোলা মাঠে মেলা আয়োজনের রেওয়াজ বেশ পুরোনো। বৈশাখী মেলা এর দারুণ উদাহরণ। ঢাকায় অবশ্য এখন এ ধরনের মেলা দেখার তেমন সুযোগ নেই বললেই চলে। এ শহরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এখানে একই সঙ্গে মাঠজুড়ে নানান রকম ব্র্যান্ড হাজির হয় তাদের পণ্য নিয়ে। দেশের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডও হাজির হয় বছরে একবার আয়োজিত এই মেলায়। এর বিশেষ দিক হলো, ক্রেতারা বিদেশের বাজার না ঘুরেও দেশের মাটিতেই পান বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের সুবিধা।
এরপরে আসে নতুন ধারার মেলা। তরুণ ইভেন্ট প্ল্যানাররা এ ধরনের আয়োজন শুরু করেছিলেন ২০১০ সালের দিকে। মূলত ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানীকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হতো এগুলো। অনলাইনে যারা ব্যবসা করছেন, মূলত তারাই অংশ নিতেন। এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কাজ করছেন অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের ৮০ শতাংশের বেশি।
অফলাইন মেলার স্থান এলাকাভিত্তিক বাজার তৈরিতে সহায়তা করে। পথের দূরত্ব ও ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ক্রেতারা পছন্দের ব্র্যান্ডের শোরুম ভিজিট করতে পারেন না। অনলাইনে ছবি দেখে সিদ্ধান্তে আসতেও দ্বিধায় থাকেন। মেলা আয়োজনের মাধ্যমে ব্র্যান্ড ঘুরে বেড়াতে পারে শহরজুড়ে। সকল ক্রেতার কাছে তখন গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।
ব্র্যান্ড লয়ালিটির মতো ব্র্যান্ড কমিউনিটিও গুরুত্বপূর্ণ। একটি বড় সংখ্যার ক্রেতা নিয়মিত কেনাকাটা করলে ব্র্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট সহজ হয়। বাজারে যারা ব্যবসা করতে নতুন এসেছেন, তাদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মেলার মতো ইভেন্টগুলো রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। কেননা, এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার দেখা হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশে। অনলাইন ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত কেনাকাটা করছেন—এমন ক্রেতার সংখ্যাই বেশি, বিক্রেতার সঙ্গে যাদের কখনো দেখা হয়নি। অফলাইনে আয়োজিত মেলা এ দূরত্ব কিছুটা হলেও দূর করতে সক্ষম। নিয়মিত কেনা হচ্ছে যে ফেসবুক পেজ থেকে, সেই চেনা ব্র্যান্ডের কর্ণধারের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে ক্রেতা ব্র্যান্ডটির বিষয়ে নিরাপদ বোধ করতে এবং আরও বেশি কেনাকাটায় আগ্রহী হতে পারেন।
দেশে নিয়মিত মেলা আয়োজনকারী বেশ কিছু জনপ্রিয় ইভেন্ট প্ল্যানার রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানা যাক তাদের ভাষ্য:
শেখ মারজান
প্ল্যানিং বাই শেখস
আমি মেলা শুরু করি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে। সেটি হচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে একই ছাদের নিচে সব ধরনের উদ্যোক্তা অংশ নিতে পারবেন। যাদের উদ্যোগ ছোট, তাদের পক্ষে শোরুম নিয়ে, ব্র্যান্ড প্রমোশন করে ক্রেতার মনে আগ্রহ তৈরি করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। কিন্তু একই ছাদের নিচে যখন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা একত্র হন, তারা প্রমোশন, ব্র্যান্ডিং, কমিউনিকেশন—সবকিছুই সুন্দরভাবে সামলে নিতে পারেন। কারণ, একতাবদ্ধ হলে খরচ ভাগ করে নেওয়া যায়।
মেলায় অংশ নিতে আসা উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক তৈরি করা। ক্রেতার কাছে নিজের ব্র্যান্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। সাধারণত মেলায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যবসাকর্মে অনলাইনে নির্ভরশীল। তাদের পণ্য ক্রেতা অর্ডার করার সময়ে পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেও সামনাসামনি দেখতে পান না। এ কারণে অনেক ক্রেতার মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। ব্র্যান্ডটি সম্পর্কে ক্রেতার স্পষ্ট ধারণা থাকলে এ ধরনের সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যায়।
আমরা এ পর্যন্ত দশটি মেলা আয়োজন করেছি। আমাদের মেলায় নতুন অংশগ্রহণকারীর চেয়ে নিয়মিতদের পাল্লাই ভারী বলা যায়। অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকিদের ব্যবসা মাঝারি আকারের।
মেলায় আসা ক্রেতাদের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা থাকে আয়োজনটি আকর্ষণীয় করার। স্টলের পাশাপাশি আরও কিছু আয়োজন রাখি, যেন ক্রেতার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হয়। যেমন ফটোবুথ ও ফটোগ্রাফারের ব্যবস্থা। অনেকেই প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় আসেন। আমরা বিনা মূল্যে তাদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি তুলে দিই। মেলার প্রতিদিন বিকেলে অ্যাকুয়েস্টিক মিউজিকের আয়োজন থাকে। তারকা ও ইনফ্লুয়েন্সারদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের ইভেন্ট ঘুরে যাওয়ার জন্য। তারা এসে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিক্রেতারা বিশেষ মূল্য ছাড় দেন এই আনন্দ আয়োজন উপলক্ষে। একসঙ্গে অন্তত ৮০টি ব্র্যান্ডের পণ্যের পসরাকে সুন্দর করে তুলে ধরতে প্রতিবার মেলা আয়োজন করার সময়ে আমরা নিশ্চিত করি, আয়োজনস্থল যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। আমি চাই, আমাদের আয়োজনে বিক্রেতা ও ক্রেতা—উভয়েরই দারুণ অভিজ্ঞতা হোক।
সিফাত জাহান
আই টু বি ওয়ার্ল্ড
নতুন নারী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সুযোগ করে দেওয়া, মেলার মাধ্যমে প্রচার করানো এবং সবার মাঝে নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর জন্যই মূলত মেলা আয়োজন করি। পাশাপাশি এই আয়োজনের মাধ্যমে তাদের কিছু স্কিল-ডেভেলপমেন্ট ঘটানোর এবং ইতিবাচক চিন্তাধারার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করি।
গেল বছরের শেষ মেলা আয়োজন করেছিলাম প্রায় ৪৫ জন উদ্যোক্তা নিয়ে। এদের অনেকেই তাদের অনলাইন বিজনেস বা ফেসবুক পেজের প্রমোশনের জন্য মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন। অনেকেই চান, তাদের পণ্য ক্রেতারা নিজ হাতে ধরে দেখুন, প্রডাক্ট সম্পর্কে আরও জানুন, যেন ক্রেতার বিশ্বাসটা আরও বাড়ে এবং খুব সহজেই এরপর অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। অর্গানাইজার কেমন, তারা কী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, কারা আসবে ইত্যাদি বিবেচনা করেই মেলায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন উদ্যোক্তারা।
এবার এমন কয়েকজন ছিলেন, যাদের এটা ছিল জীবনের প্রথম কোনো মেলায় অংশগ্রহণ। এর মাঝে অনেকেই নতুন মা হয়েছেন, যারা ব্যবসায় ফিরে আসার সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন মেলাকে। অনেকেই বছর শেষে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মেলায় বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখতে। কেউ কেউ অনলাইন ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও অফলাইনে এসেছেন। তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি বয়স্ক উদ্যোক্তাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে পরবর্তী মেলার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মেলায় আগত ক্রেতা ও দর্শনার্থী—সবাই এক ছাদের নিচে কাপড় থেকে শুরু করে গৃহসজ্জার নানান জিনিসপত্র, ক্রিয়েটিভ স্টেশনারি, দেশি-বিদেশি প্রডাক্ট, অথেনটিক ব্র্যান্ডেড মেকআপ আইটেম, এক্সক্লুসিভ লোকাল ও ডিজাইনার প্রডাক্ট—এককথায় বিভিন্ন প্রডাক্ট পেয়ে বেশ খুশি ছিলেন। সঙ্গে বাড়তি সুবিধা হিসেবে ছিল বিশেষ মূল্য ছাড়।
ওয়ারেছা খানম প্রীতি
হার ই-ট্রেড
আমি সাধারণত যাদের জন্য মেলা আয়োজন করি, তারা মূলত এফ-কমার্স ও ই-কমার্স বিজনেস করে থাকেন। এর পুরোটাই অনলাইন বেইজড কার্যক্রম। এই প্রক্রিয়ায় ক্রেতারা সরাসরি পণ্য দেখে কেনার সুযোগ পান না। সেই সুযোগটাই মেলা করে দেয়। মূলত পণ্য দেখার সুবিধার পাশাপাশি বিক্রেতার প্রতি ক্রেতার আস্থার জায়গা তৈরি করতে সাহায্য করে এই আয়োজন। মেলায় দেখা ও পরিচিত হওয়া সেই বিক্রেতার কাছ থেকে সারা বছর অনলাইনে অর্ডার করতে ক্রেতাদের মনে আর কোনো সংশয় কিংবা অনাস্থা কাজ করে না।
মেলায় যারা অংশ নেন, তারা নিজেদের উদ্যোগকে সবার সঙ্গে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই আসেন। নিজের উদ্যোগকে একটি বৃহত্তর গোষ্ঠীর সামনে উপস্থাপন করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায়। শুধু বিক্রি নয়, মূলত ব্র্যান্ড প্রমোশনের উদ্দেশ্যেই উদ্যোক্তারা মেলায় অংশ নেন। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা তৈরি করি। মূলত যারা টেকসই পণ্যের ব্যবসা করছেন, তাদেরকেই বাছাই করা হয়। সম্প্রতি হার ই-ট্রেডের পঞ্চম অফলাইন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই পঞ্চমবারের মতো এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রতিবার কিছুসংখ্যক নতুন উদ্যোক্তা এক্সিবিশনে যুক্ত হয়ে থাকেন।
সঞ্জীব ঘোষ
বারুণী
আমাদের মেলায় যারা অংশ নেন, সেই উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেন। ক্রেতাদের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সরাসরি সাক্ষাৎ ও পণ্যগুলো ছুঁয়ে দেখার সুযোগ করে দিতে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথন ঘটানোর উদ্দেশ্যে আমরা মেলার আয়োজন করে থাকি। শুধু উদ্যোক্তা আর ক্রেতা নন, উদ্যোক্তাদের নিজেদের মধ্যেও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দারুণ ভূমিকা ভূমিকা রাখে মেলা।
আমাদের মেলায় দেশের অনেক নবীন-প্রবীণ উদ্যোক্তা অংশ নেন। কেনাবেচার পাশাপাশি অফলাইনে তাদের সৃষ্টি প্রদর্শন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য থাকে তাদের।
আমাদের সঙ্গে যারা অংশ নিয়েছেন, সকল উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো বলেই জানি। এমন উদ্যোক্তাও আছেন, যারা প্রথম মেলায় অংশ নিয়েছিলেন ছোট পরিসরে; আজ অনেক বড় পরিসরে কাজ করছেন, এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পরিচিতি বাড়ছে, অনেক কিছুই শিখতে ও জানতে পারছেন, ক্রেতাদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করছেন। বেশির ভাগ উদ্যোক্তাই প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে বারুণী পরিবার হয়ে আছেন। ভবিষ্যতেও তারা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করি।
নুসরাত লোপা
হুর নুসরাত
মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখি, নতুন উদ্যোক্তারা যেন অংশ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে অনেকেই একা সব সামলান। প্রমোশনের জন্য আলাদা কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে মেলা অল্প সময়ে অসংখ্য মানুষের কাছে ব্র্যান্ডটির পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে। হুর নুসরাত আয়োজিত মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা অনেকেই। পূর্ববর্তী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকেই তারা উৎসাহিত হন বলে আমার ধারণা। অন্যদিকে, ক্রেতা হিসেবে যারা আসেন, তাদের কাছ থেকে জেনেছি, মেলায় একসঙ্গে এতগুলো ব্র্যান্ড, বিশেষত সেগুলোর বিশেষ অফার তাদের আকৃষ্ট করে। তা ছাড়া অনলাইনে যেসব ব্র্যান্ড তারা দেখেন, তাদের পণ্য সরাসরি দেখার সুযোগ হয়। ফলে তারা নিশ্চিন্তে কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
i সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ