লেবেল অ্যালার্ট I সিওডিল
মেডিকেটেড স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট তৈরি করে ব্র্যান্ডটি। ত্বক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে। ত্বকের উজ্জ্বলতা, আর্দ্রতা, বয়সের ছাপ ছাড়াও মাথার তালুর ত্বক ও চুলের যত্ন—এসবে মনোযোগী এখন প্রতিষ্ঠানটি। সিওডিলের পণ্য চুল ও ত্বকের সমস্যা দ্রুত সমাধানে বিশ্বাসী। ‘কুইক রিকভারি’ এই ব্র্যান্ডের পণ্যের একটি বিশেষ দিক।
১৬ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যাবে সিওডিলের পণ্যগুলো। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য উপযোগী। সব ধরনের ত্বকে মানিয়ে যায়; এমনকি সংবেদনশীলতায়ও। প্রতিটি পণ্যই সুগন্ধিমুক্ত। মোড়ক খোলার পর ৩৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। নন-টক্সিক উপাদানে তৈরি বলে প্রেগনেন্সি সেইফ এই ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো। তবু ত্বক কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞ পরামর্শে সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করে সিওডিল কর্তৃপক্ষ।
সিওডিলে ত্বকযত্নের পণ্য তো পাওয়া যায়ই, সেই সঙ্গে কোন পণ্য কার ত্বকে বেশি উপযোগী এবং ত্বকের বর্তমান অবস্থা কেমন, তা-ও জেনে নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটি দুটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক উপায়ে ত্বক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। এর একটি হচ্ছে স্কিন ক্যালকুলেটর এবং অন্যটি স্কিন অ্যানালাইজার। এগুলোর সহযোগিতায় ত্বক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানা যায়।
স্কিন ক্যালকুলেটরের ফলাফল জানতে নির্ধারিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেসব তথ্য যাচাই করে ফলাফল জানায় আধুনিক এই প্রযুক্তি। আর স্কিন অ্যানালাইজার হচ্ছে প্রফেশনাল স্কিন অ্যানালাইসিস ডিভাইস। ইমেজিং টেকনোলজির মাধ্যমে কাজ করে এটি। ত্বকের সমস্যা বুঝে তবেই দেয় সমাধান। যেমন দাগছোপ ত্বকের গভীরে তৈরি হয়েছে, নাকি উপরিভাগে, সেটি স্কিন অ্যানালাইজারের মাধ্যমে সহজে নিশ্চিত হওয়া যায়। রুক্ষতা, পিগমেন্টেশন—এসব বিষয়েও বিস্তারিত জানা যায় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। স্কিন অ্যানালাইজারের ফলাফল আসে কোয়ান্টিটিভ মুডে। তাই নিজের ত্বক সম্পর্কে বেশ স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
সিওডিলের প্রডাক্ট লাইনে মিলবে অ্যান্টি অ্যাকনে, অ্যান্টি এজিং, ব্রাইটেনিং, ময়শ্চারাইজিং, এক্সফোলিয়েটর এবং হেয়ার কেয়ারের অভিনব সব সংগ্রহ। লাইনআপ অনুযায়ী রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বেছে নেওয়ার সুযোগ। এর ফলে ক্রেতা সহজেই চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই একটি ব্র্যান্ডের আমব্রেলাতে ত্বক, মাথার ত্বক এবং চুলের যত্নের উপযোগী পণ্যের সমাহার রয়েছে। স্কিন কেয়ারের এই ব্র্যান্ড বিশ্বমানের নিশ্চয়তা দেয়। আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা তৈরি হয়েছে সিওডিলের, এমনটাই জানা যায় এই বিউটি লেবেলের পক্ষ থেকে।
স্কিন কেয়ার আইটেম তৈরির জন্য যেসব উপাদান দরকার হয়, সেসবের বিষয়ে সিওডিল খুব সতর্ক। কিছু কিছু উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করা হয় ব্র্যান্ডটির পণ্যগুলোতে। যেমন ভিটামিন সি, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, সোডিয়াম হায়ালুরনিক, রেটিনল, অ্যালানটোনিন, কোজিক অ্যাসিড, বায়োটিন, প্যানথেনল, আলফা আরবিউটিন, সোডিয়াম পিসিএ, ক্যামোমাইল, কোলাজেল। তাই সিওডিলের মেডিকেটেড প্রডাক্টগুলোর প্যাকেজিংয়ে বাড়তি মনোযোগ প্রয়োজন। কারণ, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্যাকেটজাত করা না হলে গুণমান হারাতে পারে পণ্যগুলো।
সিওডিল মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সৌন্দর্যপণ্য তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান। গ্রনবার্গ ল্যাবরেটরিজ এবং রিমারক এলএলসি ইউএসএর একটি যৌথ উদ্যোগ। যা সে দেশের স্কিন স্পেশালিস্টদের মাধ্যমে ফরমুলেটেড।
সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ