ব্র্যান্ড টক I নারস
জনপ্রিয়তার রহস্য
i সব স্কিন টোনের সঙ্গে মানিয়ে যায়
i দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়
i অল্পতে অনেক দিন চলে
ব্র্যান্ড বয়ান
ফ্রেঞ্চ বিউটি ব্র্যান্ড। অরিজিন যুক্তরাষ্ট্র। এক দশক ধরে জয়যাত্রা চলমান। চাহিদার জেরে মানের সঙ্গে আপোসে যায়নি কখনো। বরং সৃষ্টিশীলতা আর উদ্ভাবনী ক্ষমতার সন্ধিতে নারস যুগের চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে গেছে, যাচ্ছে। যাত্রা শুরুর পরিসর বিশাল ছিল না। মাত্র ১২টি লিপস্টিক প্রডাক্ট লাইন নিয়ে বাজারে আসে ব্র্যান্ডটি। আর, আসতেই বাজিমাত।
নারসের ফাউন্ডার ফ্রানকোয়িস নারস। নিজের নামের শেষ অংশ থেকেই বেছে নিয়েছেন ব্র্যান্ড নেম। বিউটি ব্র্যান্ড হিসেবে এমন নামের সঙ্গে অপরিচিত ছিলেন ক্রেতারা। তাই তাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয় অপ্রচলিত এই নাম। প্রডাক্ট প্যাকেজিংয়ে সাদা আর কালোই নির্দিষ্ট। কালারলেস, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট প্যাকেজিংয়ের আড়ালে হাজার রকম কালারফুল প্রডাক্টে ব্র্যান্ডটি ক্রেতার মন জয় করে চলেছে বিরতিহীন। পণ্যের নামকরণের ক্ষেত্রেও নান্দনিকতার আভাস মেলে। সচরাচর শোনা যায়, এমন নামের বাইরে আউট অব দ্য বক্স নামগুলোই বেছে নিতে দেখা যায় নারসকে। উদাহরণে বলা যেতে পারে দুটি প্রডাক্টের নাম—ক্লাইম্যাক্স মাসকারা, অর্গাজম ব্লাশ। এমন রসাল নামে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করে চলছে ব্র্যান্ডটি।
হিরো প্রডাক্ট
নারসের ইন অর্গাজম নামের ব্লাশটি ১৯৯৯ সালে বাজারে আসে। আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন—এমনই ইতিহাস এ প্রডাক্টের। এখন পর্যন্ত আছে বেস্ট সেলিং প্রডাক্টের তালিকায়। আইকনিক এই ব্লাশ পিংক আর পিচের মিশেলে তৈরি। এমন শেডের ব্লাশ যে এই প্রথম তৈরি হয়েছে, তা কিন্তু বলা যাবে না। শেডটির সঙ্গে পরিচয় আছে বেশির ভাগ সৌন্দর্যসচেতন মানুষের। তবে নারস ব্লাশটির বিপুল জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় এই দুই রঙের পারফেক্ট মিশ্রণ। এ ছাড়া এর—
i কাভারেজ লেভেল—বিল্ডেবল
i ফিনিশিং—ম্যাট ও শিমারি
i শেড—২৬টি
i সাইজ—০.১৬ আউন্স
i ক্রুয়েলটি ফ্রি—না
ক্রেতা আক্ষেপ
রিভিউয়ারদের মত, ব্লাশের কম্প্যাক্টটি খুব সহজেই ভেঙে যায়।
i সারাহ্ দীনা
ছবি: সংগ্রহ