হরাইজন
আরমানির মিলান জয়
ইতালিয়ান ফ্যাশন মাস্টার জর্জিও আরমানি নতুন কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মিলানের মেনজ ফ্যাশন উইকে। থিম ছিল পুরোনো মিলান শহর। আর কালেকশনের মূল বার্তা ‘প্রশান্তি ও নির্মলতা’। পোশাকের কাট পরিমার্জিত, গোছানো। ফ্যাব্রিক তৈরির উপাদানগুলো মসৃণ ও উন্নত। ফ্যাব্রিকে ক্যাশমেয়ার, আলপাকা, ভেলভেট এবং কার্লি উল।
২০২৩-২৪ এর এই ফল-উইন্টার কালেকশন সম্পর্কে ডিজাইনারের ভাষ্য, পুরোনো মিলান শহরকে মনে রেখে প্রতিটি পোশাকের নকশা করা হয়েছে। মিলানের হারিয়ে যাওয়া দিনের প্যালেস, জানালা, বাগানের ভাবনা উঠে এসেছে পোশাকে। ফ্যাশন প্যারেডের রানওয়েটাকে যদি সেই সময়ের মিলানের রাস্তা হিসেবে দেখা হয়, তাহলে বলতেই হবে, পোশাকের রংগুলো উঠে এসেছে প্রকৃতি থেকে। ক্লদিং লাইনে ছিল ক্ল্যাসিক ভেলভেট কার্ডিগান, জ্যাকেট। বটমের জন্য ঢিলেঢালা ট্রাউজার। ‘ফ্রিডম অব মুভমেন্ট’-এর উৎসাহে ডিজাইন করা হয়েছিল এগুলো।
ভিয়েনা অপেরা বলে সোয়ারভস্কির টিয়ারা
ভিয়েনা অপেরা বল ২০২৩ কে উপলক্ষ করে সোয়ারভস্কি তৈরি করেছে টিয়ারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে অপেরার এই আয়োজনের। ১৪৪ জন অংশগ্রহণকারীর মাথায় দেখা যাবে বিশেষ এই টিয়ারা।
ভিয়েনা অপেরা বল অস্ট্রিয়ান ক্যালেন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। টিয়ারাটি নকশা করার সময় অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে অস্ট্রিচ সম্রাজ্ঞী সিসি-এর কাছ থেকে। উদ্বোধনী উৎসবে আলো ছড়াবে এই টিয়ারা। ভিয়েনা অপেরা বলের জমকালো আয়োজনের জন্য এর থেকে উপযুক্ত জুয়েলারি আর কিছু নেই বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিটি টিয়ারায় চারদিকে ৪৩৫ পিস ক্লিয়ার ক্রিস্টাল রয়েছে, আর ঠিক মাঝখানে একটি সেন্ট্রাল স্টার। একে ঘিরে রেখেছে ড্যান্সিং স্টোন। সোয়ারভস্কির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জিওভান্না এনজেলবার্টের ভাষ্যমতে, ‘আমাদের টিয়ারাটি ভিয়েনা অপেরা বল আয়োজনের মতোই আইকনিক; সোয়ারভস্কির চিফ এক্সিকিউটিভ অ্যালেকিস নাসারাদ বলেন, ‘আমাদের ব্র্যান্ডের জন্য এটি একটি বিশেষ জুয়েলারি, যা প্রায় এক দশক সময় নিয়ে তৈরি হয়েছে।’
মেশিনে মাইক্রো প্লাস্টিকের বিদায়
মাইক্রো প্লাস্টিকের দূষণ থেকে পরিবেশ ও মানবদেহ রক্ষায় কাজ করেছে পাতাগোনিয়া এবং স্যামসাং। একত্রে তৈরি করেছে বিশেষ এক ওয়াশিং মেশিন। এটি টেক্সটাইল এবং লন্ড্রি পণ্য থেকে মাইক্রো প্লাস্টিকের পরিমাণ কমায়। বিশেষ করে স্ট্রেচি ডেনিম, নাইলন, পলিয়েস্টারে তৈরি পোশাক এই মেশিনে ধুয়ে নিলে মাইক্রো প্লাস্টিকের পরিমাণ কমবে বলে দাবি প্রস্তুতকারকদের।
সিনথেটিক পোশাক থেকে মাইক্রো প্লাস্টিক বের হয়ে আসে ওয়াশিং মেশিনের স্ট্রেচের ফলে। সুতা থেকে মাইক্রো ফাইবার আলাদা হয়ে যায়, পরিবেশে উন্মুক্ত হয়। গেল বছর ইকো কনশাস হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্যামসাং। তারই পরিক্রমায় আধুনিক ফিল্টার ব্যবহারে তৈরি করা হয়েছে অভিনব এই ওয়াশিং মেশিন। পাতাগোনিয়া এবং স্যামসাংয়ের আশা, এটি ব্যবহারে কাপড় ধুয়ে নিলে প্রায় ৫৪ শতাংশ মাইক্রো প্লাস্টিক নির্গমন কমে যাবে।
i ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট