অ্যাডভার্টোরিয়াল I মুক্তা: অনন্য গল্পে নারীজীবন উদযাপন
মুক্তা। ফারিয়া মেহমুদের ব্রেনচাইল্ড ব্র্যান্ডটি অধিষ্ঠিত হয়েছে তার শিল্প ও গল্প বলার প্রতি ভালোবাসাকে প্রকাশ করার উৎস হিসেবে। গল্পের মাধ্যমে তিনি ব্র্যান্ডের প্রতিটি কালেকশনে আজকের নারীদের মহিমান্বিত করার প্রতি লক্ষ রাখেন। তিনি তার প্রথম কালেকশন ‘নেইমসেক’কে সুবিন্যস্তভাবে তৈরি করতে মুক্তার সৌন্দর্যের গভীরে অন্বেষণ করেছিলেন।
কালেকশনটি মুক্তার তিনটি বিখ্যাত রঙে আঁকা হয়েছিল—কালো, গোলাপি ও সাদা। প্রতিটি রং নারীদের স্বতন্ত্রতা উদযাপন করেছে। কালো রং নারীদের আবেগ ও চেতনা সমর্থন করে এবং প্রকাশ করে জ্ঞানের জন্য তাদের অবিরাম কৌতূহলকে। সাদা তাদের সূক্ষ্ম ও সাবলীল প্রকৃতিকে তুলে ধরে; তাদের সর্বদা রুপালি আস্তরণে রাখে। গোলাপি রং আবেদনময়ী এবং রোমান্টিকতা অভিব্যক্ত করার মাধ্যমে তার ক্ষেত্রকে সুশোভিত করে।
দ্বিতীয় বর্ষের ‘জোডিয়াক’ কালেকশনটি নারীদের রংবৈচিত্র্যের একটি উদযাপন। এটি রঙের বর্ণালিতে উপস্থিত রং এবং বিশ্বের নারীদের প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময়—উভয়ের মধ্যে সমান্তরাল রেখা অঙ্কন করেছিল। নারীদের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপে উদযাপন করার জন্য রাশিমণ্ডলীকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন ফারিয়া মেহমুদ। ১২টি রাশি ছিল এমন একটি লাইন তৈরি করার নিখুঁত উপায়, যা আজকের নারীদের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলেছে।
মুক্তার সাম্প্রতিক কালেকশন ‘স্টোরি অব ফ্রিদা’। এখানে ডিজাইনার ফারিয়া মেহমুদ গল্পের বইয়ের মতো অধ্যায় আকারে কালেকশনটি প্রকাশ করেছেন। যার মাধ্যমে মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর জীবনবৃত্তান্ত ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির মূলমন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা করেছে। কালেকশনটি নারী জীবনের জয়গান গেয়েছে। বলে রাখা ভালো, শিল্পী ফ্রিদা কাহলো জীবনের নানা প্রতিকূলতা এবং পিতৃতান্ত্রিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।
অকালপ্রয়াত এই চিত্রশিল্পী এর আগেও বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের কালেকশনকে প্রভাবিত করেছেন; তবে মুক্তার ক্ষেত্রে ফ্রিদা কালেকশনটি একটি ভিন্নমাত্রা দাঁড় করিয়েছে। মুক্তা শুধু ফ্রিদার জীবনের রং এবং তার চিত্রকর্মে দেখা মেলা ফুলের সৌন্দর্যই ফুটিয়ে তোলেনি, বরং কালেকশনটি প্রতিটি অধ্যায়ের মাধ্যমে তার জীবনের সম্পূর্ণ গল্পকে তুলে ধরেছে; এমনকি অব্যক্ত গল্পগুলোও ফুটে উঠেছে।
এই কালেকশনের মাধ্যমে মুক্তা নারীদের অমৃত চেতনাকে উদযাপন করছে।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: মুক্তার সৌজন্যে