লেবেল অ্যালার্ট I রিটা আমীর প্রেট-অ্যা-পটার
প্রেট-অ্যা-পটার। ফেঞ্চ এই শব্দের ইংলিশ মানে, ‘রেডি টু ওয়্যার’ ক্লথ। রিটা আমীরের প্রথম ফুট স্টেপের ট্যাগ লাইন বাংলা করলে দাঁড়ায়, একটি বেসপোক প্রিট লেবেল, আধুনিক হাই স্পিরিটেড মেয়েদের জন্য। এখানে এই গ্রুপ অব উইমেনের কথা বলা হয়েছে, যারা এলিগেন্স ও কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপসে যেতে নারাজ। সেই ট্যাগ লাইন মেনেই কাজ করে যাচ্ছে এই বাংলাদেশি লেবেল।
রিটা আমীর মূলত কাজ করেন টেকসই ও ইথিক্যাল ফ্যাব্রিক লাইন নিয়ে। প্রকৃতিকে ভালোবেসে নিজের লেবেল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে ফ্যাব্রিক বাছাইয়ে সচেতন থাকেন প্রতিবার। একই সঙ্গে প্রতিটি ডিজাইন আরামদায়ক করার চেষ্টা থাকে তার। মেইড ইন বাংলাদেশ লেবেল নিয়ে ২০২১ সালে ফ্যাশন-দুনিয়ায় কাজ শুরু করেন তিনি। প্যাটার্নে ভিন্নতা আনার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। সেখান থেকেই ওভারসাইজড প্যাটার্ন বেছে নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে রিটার কাছে সব ধরনের বডি টাইপের উপযোগী পোশাক পাওয়া যায়। ক্রেতা স্বস্তিবোধ করেন নিজ আকারের সঙ্গে মানানসই পোশাক বেছে নিতে।
শুধু যে ধরাবাঁধা কয়েকটি সাইজের পোশাক পাওয়া যায় এখানে, তা নয়। ফরমায়েশি সাইজেও পোশাক তৈরি করে এই ক্লদিং ব্র্যান্ড। তাই রেডিমেড ড্রেসগুলোতে স্বস্তি না পেলে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে নিজের সাইজে পোশাক তৈরি করে নেওয়ার স্বাধীনতা।
ফাস্ট ফ্যাশনের এই সময়ে টেকসই ও ইথিক্যাল ফ্যাশনকে রিটা বেছে নিয়েছেন মূলত তিন ধরনের ফ্যাব্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে। খাদি কটন, কটন সিল্ক এবং কটন লিনেন। তিনি বলেন, ‘যখনই কোনো পোশাক নকশা করি, চেষ্টা থাকে প্যাটার্ন নিয়ে খেলা করার। নানান রকম প্যাটার্নে পরিবর্তিত হয় আমাদের পোশাকগুলো।’ ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রতিটি পোশাকের নকশাই চিক ও এলিগেন্ট লুকে সামনে আনতে চান বলে জানালেন রিটা।
লুজ ফিটেড ক্যাজুয়াল নিয়ে কাজ করেন তিনি। এখানে কাট ও প্যাটার্ন নিয়ে চলে নিরীক্ষা। এ সময়ের জন্য উপযোগী পোশাক তৈরিতে মনোযোগী রিটা। লেবেলের নাম নিজের নামেই রেখেছেন। প্রাইস রেঞ্জ চার হাজার থেকে বারো হাজার টাকা। এর মধ্যে পাওয়া যাবে রিটা আমীরের ক্যাজুয়ালওয়্যার।
২০২১ সালে কো-অর্ডিনেটেড ডিজাইন নিয়ে কাজ শুরু করে এই ব্র্যান্ড। তখন থেকেই ক্রেতাদের জন্য রিটা আমীর হালের এই জনপ্রিয় ট্রেন্ডে কাজ করেছেন। একই রকম দেখতে ফ্যাব্রিকে তৈরি টপ ও বটম কো-অর্ডিনেটেড নামে পরিচিত। বর্তমানে বেশ ক্রেতাপ্রিয়তা পেয়েছে এটি। ফ্যাব্রিক অর্নামেন্টেশনের থেকে এই ডিজাইনগুলোর ক্ষেত্রে কাট ও প্যাটার্ন নিয়েও কাজ করেছে ব্র্যান্ডটি।
বর্তমানে শুধু অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ক্যাজুয়ালওয়্যারের এই ব্র্যান্ডের পণ্য। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ইচ্ছা। ক্রেতার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা থেকে এ ধরনের আগ্রহ এই ডিজাইনারের। কোলাবোরেশনেও আগ্রহী রিটা আমীর।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: রিটা আমীর প্রেট-অ্যা-পটারের সৌজন্যে