বিউটি সার্ভিস I ব্রাইটেনিং ডিটক্স
সারা দিন বিউটি পার্লারে বসে কাটানোর মতো সময় নেই? এটা আজকাল আর কোনো সমস্যাই নয়। কারণ, কম সময়ে ত্বকের পরিপূর্ণ পরিচর্যায় উপযোগী সব সৌন্দর্যসেবা দিতে সক্ষম এখনকার বিউটি স্যালনগুলো। চটজলদি ত্বকচর্চায় যা সেরা সমাধান। ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এমনই একটি কুইক ফিক্স ফেশিয়াল ব্রাইটেনিং ডিটক্স। একদম কম সময়, মাত্র ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট হাতে থাকলেই চলবে। যা ত্বকে দেবে ঘণ্টাখানেকের হাইএন্ড ফেশিয়ালের মতোই ফল। ব্রাইটেনিং ডিটক্স ফেশিয়াল মূলত ত্বকের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। পরিবেশের দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা আর প্রসাধনীর বেখেয়ালি ব্যবহারের ফলে ত্বকে টক্সিনের মাত্রা বাড়ে। সঙ্গে বাড়ে তেল উৎপাদনের হার, যা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ব্ল্যাকহেড আর অ্যাকনে-ব্রণের মাত্রা বাড়ায়। এ ফেশিয়াল ত্বকের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে বলে গভীর থেকে এটি দূষণ দূর করে। ফলে নিমেষেই ত্বক দেখায় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। এটি অক্সিজেনেশনেও সাহায্য করে। অর্থাৎ ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোলাজেনকে সারিয়ে তোলে। কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রাও বাড়ায়। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা-ও সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। জরুরি আর্দ্রতার জোগান দেয়। ফলে হাইপারপিগমেন্টেশন রোধ করা যায়। ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল, মসৃণ ও টানটান।
ফেশিয়ালের প্রক্রিয়া শুরু হয় ক্লিনজিং দিয়ে। তবে এতে ক্লিনজারের সঙ্গে বিশেষায়িত গ্রিন মাস্ক মিশিয়ে নেয়া হয়। যা ত্বক পরিষ্কারের কার্যকারিতা আরও বাড়ায়। মূলত বিভিন্ন টেকনিকের ম্যাসাজের মাধ্যমে চলে ত্বক শোধনের কাজ। এরপর আরেক দফা ফেশিয়াল ম্যাসাজ দেয়া হয়। মূল উদ্দেশ্য, ত্বককোষকে আরও উদ্দীপ্ত করে তোলা। তারপর ব্যবহার করা হয় টোনার। এর পরপরই মাখিয়ে নেয়া হয় ২৪ ক্যারেট গোল্ড মাস্ক। এই পিল অব মাস্ক শুকিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ এক মোশনে ম্যাসাজ করে তা তুলে নেয়া হয় ত্বক থেকে। তারপর ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়া হয় ত্বক। টোনার মাখিয়ে শেষ করা হয় ফেশিয়াল। তবে প্রয়োজন পড়লে ব্ল্যাক হেডও সরিয়ে নেয়া যেতে পারে। সঙ্গে বাড়তি টাকা সংযোজন করলে হাত-পা ম্যাসাজেরও ব্যবস্থা করে নেয়া যায়। সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী এ ফেশিয়াল করতে খরচ পড়ে প্রায় সাড়ে আট শ টাকা।
জাহেরা শিরীন
মডেল: বর্ণ
তথ্যসূত্র ও মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস