ব্র্যান্ড টক I ল’রিয়েল
জনপ্রিয়তার কারণ
ক্লাম্প তৈরি করে না
লং ওয়ারিং
দামে সাশ্রয়ী
যাত্রা শুরু ১৯০৯ সালে। কেমিস্ট উজেন শুলার মাধ্যমে। আজও বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে ল’রিয়েলের অবস্থান জ্বলজ্বলে।
ক্রেতা চাহিদা ছিল, আছে। ধারণা করা যায়, সামনের দিনেও থাকবে। হেয়ার কেয়ার, স্কিন কেয়ার, মেকআপ লাইন—এই তিনেই ল’রিয়েলের অবস্থান দৃঢ়। কাল্ট ক্ল্যাসিকের ফেভারিট এটি। ট্রেন্ডগুলোর নিউ বি তৈরিতেও ল’রিয়েলের জুড়ি মেলা ভার। সব সময় সামর্থ্যরে মাঝে অবস্থান। শখ আর সাধ্যের সম্মিলন সম্ভব এই ব্র্যান্ডের পণ্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে।
প্রডাক্ট লাইনের কলেবর বেশ। মেকআপ, স্কিন কেয়ার, হেয়ার কালার, হেয়ার কেয়ার অ্যান্ড স্টাইলিং এবং মেনস প্রডাক্ট আছে তালিকায়। ফাউন্ডেশনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬টি পিগমেন্ট। একটি কনজ্যুমার টেস্টে ৩১২ জন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন তাদের অনুভূতি। তাতে দেখা যায়, শতকরা ৯৯ জনই তাদের জন্য উপযুক্ত ম্যাচ খুঁজে পেয়েছেন। ল’রিয়েলের ফাউন্ডেশনে শেড আছে ৪৭টি।
ব্র্যান্ডটির রয়েছে ভার্চুয়াল মেকআপের অপশন। এই ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঘুরে প্রডাক্টগুলোয় কেমন মানাবে, তা দেখে নিতে পারবেন। লিপস্টিকের অনেক শেডের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতায় বেছে নিতে সাহায্য করবে এই আধুনিক প্রযুক্তি। লিপস্টিক, লিপ গ্লস, লিপ লাইনারের পাশাপাশি এখানে ফাউন্ডেশনের শেড, ব্লাশ, আই মেকআপের প্রডাক্ট, কনসিলার, বিবি ক্রিম, হাইলাইটার ট্রাই করার অপশন রয়েছে। ল’রিয়েলের এই অনলাইন মেকআপ টুলের নাম মেকআপ ট্রাইঅন। অন্যদিকে, চুলে কোন কালার মানাবে, তা জেনে নিতে পারবেন হেয়ার কালার ট্রাই অন টুলের মাধ্যমে।
অনলাইন টুলের মধ্যে আরও আছে স্কিন জিনিয়াস, যেখানে ত্বকের ধরন সম্পর্কে জানা যাবে। ম্যাচ মাই শেড জানাবে পারফেক্ট ফাউন্ডেশন ম্যাচ কোনটি।
হিরো প্রডাক্ট
এই বিউটি লেবেলের ভলিউমনাস অরিজিনাল মাসকারা ব্যাপক জনপ্রিয়। ব্যবহার করলে দারুণ পরিবর্তিত হয় ল্যাশগুলো। ফাইভ টাইম থিকার লুক দিতে পারে। ক্লাম্প? কখনোই না! এতে কন্ডিশনিং ইনগ্রেডিয়েন্টসও বেশি। এ কারণে বেশ কিছু সফলতা পাওয়া যায়। তৈরি হয় এক্সট্রা ফ্রেঞ্জ বেনিফিট। ৮টি শেডে পাওয়া যায়। ওয়াটারপ্রুফ নয়। তাই ব্যবহারের পরে কিছুটা সাবধানতা দরকার।
ক্রেতা আক্ষেপ
ফ্লেক সন্তোষজনক নয়।
বিউটি ডেস্ক
ছবি: ল’রিয়েল প্যারিসের সৌজন্যে