অ্যাডভার্টোরিয়াল I স্টেলার উইমেন
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছেন নারীরা। তুলনামূলক অনেক বেশি প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়ে একজন নারী এগিয়ে যান। সমাজ-সংসারের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তবেই ছুঁতে পারেন সাফল্যের চূড়া। সেই উদীয়মান নারীদের অভূতপূর্ব কৃতিত্বকে সম্মাননা জানাতে বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথ উদ্যোগ ‘স্টেলার উইমেন’। ১২টি ক্যাটাগরিতে, প্রতি মাসে ১ জন করে, ১২ জন সফল বাংলাদেশি নারীকে সম্মাননা জানানোর এই উদ্যোগ। ক্যাটাগরিগুলো হলো সাংবাদিকতা, খেলাধুলা, কৃষি, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, প্রযুক্তি, উন্নয়ন খাত, সংস্কৃতি, স্থাপত্য, সাহিত্য, ব্যবসায় উদ্যোগ/স্টার্টআপ ও করপোরেট সেক্টর।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে বিটিআইয়ের একটি বিশেষ মতবাদ। দেশের স্থাপনা নিয়ে কাজ করে সুনাম অর্জন করা এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস করে, নারীদের অংশীদারত্বমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সব সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেককে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া কোনো জাতির পক্ষেই সফলতার হতে পারে না। নারীদের নিরবচ্ছিন্ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে এই প্রতিষ্ঠান অনুপ্রেরণার উৎস। কারণ, উন্নতির পেছনে অনুপ্রেরণা টনিক হিসেবে কাজ করে। সাহস দেয় নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের।
সম্মাননা প্রদর্শনের জন্য স্টেলার উইমেন নির্বাচক দল যেসব নারীকে মনোনীত করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে এমন সব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। প্রতিকূল পথ পাড়ি দিতে জোগাতে পারে প্রেরণা।
সাহসী নারীদের উদাহরণ এবং তাদের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে নবীনদের আলোর পথ দেখাতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই প্ল্যাটফর্ম। কাঁটা বিছানো পথ পাড়ি দিয়ে নিজের প্রজ্ঞায় চারপাশ আলোকিত করে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণে উৎসাহ পেতে পারেন তরুণেরা। কারণ, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরে বাস্তব জ্ঞান আহরণ যেমন অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, তেমনি পেশাগত কাজেও নানা রকম উঁচু-নিচু রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। যথাযথ পরামর্শ নিয়ে আলোর দেখা পাওয়াও কঠিন হয়ে ওঠে অনেক নারীর কাছে। এসব সমস্যায় এ সময়ের নারীদের পাশে থেকে পাথুরে পথ পরিষ্কার করে এগিয়ে যেতে কাজ করতে চায় স্টেলার উইমেন পরিবার।
ইতিমধ্যে অগ্রগামী ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে সাহসী নারীরা স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আরও সুদৃঢ় করছেন। তবে অনেকাংশেই এই পরিশ্রমী ও উদ্যমী নারীরা প্রচারের আলোয় আসতে পারছেন না এবং তাদের কাজের স্বীকৃতিও পাচ্ছেন না। হারিয়ে ফেলছেন উদ্যম। বেশির ভাগ সময়েই স্বীকৃতি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টারের স্বীকৃতি এই সব সাহসী নারীকে অনুপ্রাণিত করবে এবং পরবর্তীকালে পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখতে উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এই ভাবনা থেকেই বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেখানে স্টেলার উইমেন স্বীকৃতির মাধ্যমে নারীরা তিনভাবে উপকৃত হবেন। প্রথমত, তারা তাদের উদ্যোগকে বিকশিত করার নতুন প্ল্যাটফর্ম পাবেন। দ্বিতীয়ত, তারা অর্থনৈতিক সহায়তা পাবেন এবং তৃতীয়ত, তারা কোলাবরেটিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের কাজের কলেবর আরও বাড়াতে সক্ষম হবেন।
এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানেও এই দুই প্রতিষ্ঠান অবদান রাখবে বলে জানা যায়। স্টেলার উইমেনকে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে তাদের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা করবে বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টার।
স্টেলার উইমেন আমব্রেলাতে থাকা নারীদের তালিকায় ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে উন্নয়ন খাত ক্যাটাগরিতে শামসিন আহমেদ, প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে তাসফিয়া তাজবিন, শিক্ষা ক্যাটাগরিতে সাদিয়া জাফরিন, স্থাপত্য ক্যাটাগরিতে নাজলী হোসেন, সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে রিদি শেখ, করপোরেট ক্যাটাগরিতে শামীমা আখতার, কৃষি ক্যাটাগরিতে মোসাম্মৎ সাকিনা খানম ও খেলাধুলা ক্যাটাগরিতে সালমা আক্তার মনিকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকতা, সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য, ব্যবসায় উদ্যোগ/স্টার্টআপ সেক্টরের উদীয়মান নারীদেরও সম্মাননা দেওয়া হবে।
স্টেলার উইমেন পরিবারের সঙ্গে থেকে নারীদের অগ্রযাত্রার উৎসবকে আরও সুন্দর করতে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একজন নারী অন্যজনের পাথেয় হবেন, এই আশা থেকেই সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: বিটিআইয়ের সৌজন্যে