বাইট
এক দিনে বিক্রি ৪৮ হাজার চিকেন উইং
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইয়োমিং রাজ্যের খাদ্যপ্রতিষ্ঠান উইটজেল’স উইংস অব লারামি (ডাবল ডাব’স নামে অধিক পরিচিত) এক অভিনব বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। চিকেন জয়েন্ট সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানের ফেরিওয়ালারা আগস্টের প্রথম উইকেন্ডে, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বিক্রি করেছেন ৪৮ হাজার ৮৩ পিস চিকেন উইং। এর মাধ্যমে এক দিনে সর্বোচ্চ চিকেন উইং বিক্রির যে রেকর্ড এত দিন ছিল নিউইয়র্কভিত্তিক ‘ভিলেজ ক্যাসিনো’র দখলে, তা নিজেদের করে নিয়েছে ডাবল ডাব’স। ভিলেজ ক্যাসিনো বিক্রি করেছিল ৪০ হাজার ২১০ পিস চিকেন উইং। গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে চিকেন-উইং ফুড-ট্রাক মালিক ট্রেন্ট উইটজেল বলেন, ‘বয়স যখন কম ছিল, বাকি সবার মতো আমিও কোনো না কোনো বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চাইতাম। তা যে এভাবে হবে, ভাবতে পারিনি।’ ‘অবশ্য, আমরা সব সময়ই চেষ্টা চালিয়ে গেছি যত বেশি সম্ভব চিকেন উইং বিক্রি করার ব্যাপারে,’ যোগ করেন তিনি।
স্যান্ডউইচের জন্য নাম পাল্টাতে রাজি ১০ হাজার ভোক্তা
আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘সাবওয়ে’র খ্যাতি আকাশছোঁয়া। তাদের স্যান্ডউইচের স্বাদে মাতোয়ারা জগতের অনেক ভোজনরসিক। কিন্তু সাবওয়ে স্যান্ডউইচের জন্য একজন ভোক্তার পক্ষে কতটুকু মূল্য দেওয়া সম্ভব, তা তিনি এর যতই অনুরাগী হোন না কেন? তা বাজিয়ে দেখতে ১ আগস্ট এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয় সাবওয়ে। জানায়, কোনো ভোক্তা যদি আইনিভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করে ফার্স্ট নেম হিসেবে ‘সাবওয়ে’ যুক্ত করেন, তাহলে তাকে কোম্পানিটি আজীবন বিনা মূল্যে স্যান্ডউইচ খাওয়াবে! সেই লক্ষ্যে সাবওয়েনেমচেঞ্জ ডটকম নামে একটি ডোমেইন খুলে আবেদনের ফরম রাখা হয়। তার তাতে পড়ে যায় অভাবনীয় সাড়া। মাত্র ৯৬ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ভোক্তা এ প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসেন। তার মানে, বিনা মূল্যে স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য নিজেদের নাম পাল্টে ফেলতে তারা এক পায়ে রাজি!
অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ফুড ফিয়েস্তা
৯ থেকে ১৯ আগস্ট। পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন টেন ডেজ ফুড ফিয়েস্তা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০টির মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ পদ হাজির করা হয়েছিল ভোজনরসিকদের জন্য। আন্তর্জাতিক মুখরোচক খাবারের দারুণ সমাহার এই আয়োজনে ছিল বিভিন্ন দেশের খাবারের ভিন্ন রকমের সংস্করণ। যেমন ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান, মেক্সিকান, চীনা, জাপানি, মরোক্কান, আরব প্রভৃতি। আয়োজকেরা জানান, এমনিতেই বাঙালির নিজস্ব রসনা বিচিত্র; তবে দূর দেশের বৈচিত্র্যময় স্বাদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই ফিয়েস্তা। উল্লেখযোগ্য পদের মধ্যে ছিল গোলগাপ্পে, পাপড়ি চাট, বিহারি ঝালমুড়ি, স্টাফড চিকেন রুলেড, স্যাফরন ফিউমে, অজবানি মাহি টিক্কা, স্যালমন মাকি, কাপ্পা মাকি, এগ হপ্পার, ভেজিটেবল টেমপুরা, তজ্জিকি, মরোক্কান কেফতা কেবাব, ফ্রাইড বানানা, ফ্রেশ ফ্রুট প্যারাডাইস প্রভৃতি।
ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ