মনোযতন I সম্পর্ক শঙ্কা
ইমোশনাল ব্রেকডাউন বা নার্ভাস ব্রেকডাউন। প্রবল মানসিক চাপের ফলে সৃষ্ট মনোরোগ। জীবনের নানা বেলায় দিতে পারে হানা। তবে বৈবাহিক জীবন শুরু করতে যাওয়া এবং দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেওয়ার বেলায় এর থাবা পড়ে হরদম। ঘাবড়ে না গিয়ে, আছে নিস্তার পাওয়ার উপায়। জানাচ্ছেন আশিক মুস্তাফা
এইটুকুন একটা জীবন। তা-ও বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। বাঁকবদলের এই খেলায় ছোট্ট জীবনের চতুরঙ্গ অবস্থান। নানা অবস্থানে রাজ্যের আনন্দ-বেদনা। তবু জীবন বহমান। আর এই বহমানতাই নদীর মতো আমাদের গতি দেয়। স্রোতহীন নদী মরে যায়; মানুষের জীবন চলতি পথে হঠাৎ থেমে গেলে তাকেও বলা যায় মৃত। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অগুনতি বাধা মাড়ায় নদী। তা ডিঙাতে না পারলে থুবড়ে পড়ে। এই থুবড়ে পড়াতে নেই সার্থকতা। বয়সের সঙ্গে জীবনের গতি বাড়তে থাকে; ঠিক থার্মোমিটারের পারদের মতো। বাড়ে জীবনস্রোতের বাঁকে বাঁকে প্রাপ্ত বাধার সংখ্যাও।
বয়ে চলা জীবনে জোয়ার-ভাটা আসবেই। দুঃখের হাত ধরে আসবে সুখও। এসবের সঙ্গে আপস করেই বেড়ে উঠছি আমরা। পাড়ি দিচ্ছি দীর্ঘ পথ। কখনো সচেতনে, কখনো অবচেতনে এর ধাক্কাও সামলে নিচ্ছি। এতে কখনো ভালোবাসা ‘আয় আয়…’ বলে ইশারা করে। কখনো আবার চোখ রাঙায়। তবু আমরা মাঝেমধ্যে ভেঙে পড়ি। ঘটে মানসিক স্বাস্থ্যে ভাঙন। এই ভাঙনকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ইমোশনাল ব্রেকডাউন। নার্ভাস ব্রেকডাউনও বলেন কেউ কেউ। নানা কারণে আমরা এর মুখোমুখি হলেও অনেকে সম্পর্ককে দায়ী করেন। তবে কি সম্পর্কই এমন মানসিক চাপের কারণ?
প্রাচীন গ্রন্থের পাতায়
একেবারে হেলায় এড়ানো যায় না কথাটা। সম্পর্ক যেমন সমাজের প্রধান ভিত্তি এবং আমাদের মানসিক স্বস্তির কারণ, তেমনি অনেক সময় এটি হয়ে দাঁড়ায় অশান্তির মূল। দুশ্চিন্তা, হতাশা, বিষণ্নতার মূল কারণগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, অধিকাংশের পেছনেই রয়েছে বিভিন্ন সম্পর্কের মতভেদ এবং ভাঙন-গড়নের গল্প। তা ছাড়া সমাজে প্রচলিত অনেক কথাও আমাদের টেনে নিয়ে যায় এমন মানসিক অস্থিরতার দিকে। কান ফেললেই শুনবেন, ‘স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা না জানন্তি’; অর্থাৎ স্ত্রীচরিত্র দেবতারাও জানেন না। আসলেই কি তাই? মোটেই না; প্রাচীন গ্রন্থের এ বক্তব্য আপাতদৃষ্টিতে পুরুষবাদী! যদিও এর অন্য কোনো অর্থ হয়তো দাঁড় করানো যায়। তবে সার্বিকভাবে সত্য হলো, শুধু নারী নয়, পুরুষের চরিত্রও বোঝা দুঃসাধ্য। মানে, যেকোনো মানুষের। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যটাই নিতে পারেন। কবিগুরু বলে গেছেন, ‘আমরা যেন অশ্রু লবণাক্ত জলে ঘেরা একেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। একে অপরের পাড়ে ওঠার চেষ্টা করিতেছি, কিন্তু পারিতেছি না।’ অর্থাৎ মানুষের ভেতরে প্রবেশের তথা মনকে বোঝার চেষ্টা বৃথা! গোটা জীবন একসঙ্গে বসবাস করেও চেনা শেষ হয় না। সঙ্গী যতটুকু প্রকাশিত হতে চান, ততটুকুই বোঝা সম্ভব। তবু যৌথ জীবন সুখের হতে পারে যদি সততা ও প্রেম থাকে, এবং একে অপরের প্রতি থাকেন একনিষ্ঠ।
বৈবাহিক সম্পর্ক এবং একটি পরিসংখ্যান
ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের মতে, বিপরীত লিঙ্গের একজন মানুষের সঙ্গ লাভের জন্য বিয়ের চেয়ে ভালো কোনো পন্থা নেই। আবার ফরাসি দার্শনিক জ্যঁ-পল সার্ত্রে, সিমোন দ্য বোভোয়ারের মতো আধুনিক কালের অনেকেই বিয়ে নামক প্রাতিষ্ঠানিকতায় বিশ্বাস করেন না। তবে জীবনচক্রের স্বার্থে অনেকে বার্ট্রান্ড রাসেলের মতকেই গ্রহণ করেন, অর্থাৎ নারী-পুরুষের সম্পর্কের পরিণতি হবে বিয়ের মাধ্যমে। অন্যদিকে, যেকোনো বিবাহবিচ্ছেদ গড়ায় সম্পর্কের ভাঙনের মাধ্যমে। তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, শুধু ঢাকাতেই প্রতি ৪০ মিনিটে একটি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এই বিবাহবিচ্ছেদ অসংখ্য সমস্যার জন্ম দেয়। প্রথমত, নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নারী-পুরুষ উভয়েই কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা হারান। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সন্তানদের ওপর। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি লেখাপড়াকে ব্যাপকভাবে করে ক্ষতিগ্রস্ত।
মানসিক চাপের যত কারণ
সম্পর্কে মানসিক চাপের কারণ অসংখ্য থাকতে পারে। তবে মোটা দাগে বলতে গেলে এর কারণ হতে পারেন আপনিও। অথবা আপনার জীবনসঙ্গী কিংবা আপনারা দুজনই। আবার এমনও হতে পারে, আপনারা ঠিক থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রভাব বাধায় বিপত্তি।
কারণ যখন বৈশিষ্ট্যে বা ব্যক্তিত্বে: অধিকাংশ সম্পর্কে সমস্যা ডেকে আনে বৈশিষ্ট্য বা ব্যক্তিত্ব। তা শুধরে নেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্কে পায়রা ওড়াতে পারেন অনায়াসে। যেমন অল্পতে রেগে যাওয়া, যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা কিংবা কটু কথা বলা, জীবনসঙ্গীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলা, অকারণে সন্দেহ করা, জীবনসঙ্গীর সবকিছুতে নিজের অধিকার খাটানো, অবাস্তব চাহিদা ইত্যাদি। এসব বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে থাকলে তা শুধরে নেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারেন। অন্যথায় এসব ছোটখাটো কারণ সম্পর্ক ধ্বংসের উপকরণ হয়ে উঠতে পারে! একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, এসব সমস্যার বেশির ভাগই যেহেতু একজন ব্যক্তির নিজের সমস্যা, তাই এগুলো নিজে অথবা কোনো পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিয়ে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
কারণ যখন জীবনসঙ্গী: এমনও হতে পারে, সম্পর্কের মূল সমস্যা আপনার জীবনসঙ্গী। যেমন ধরুন তার অতিরিক্ত রাগ, কটু কথা, পরকীয়া, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভ্যাস, মাদক বা পর্নো আসক্তি ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে আপনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন—এই সম্পর্কে থাকবেন, নাকি বের হয়ে আসবেন।
দুজনই সমস্যা: সবচেয়ে সাধারণ যে ব্যাপার দেখা যায়, তা হলো, সমস্যা মূলত দুজনের মধ্যেই! স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়ার, ভালোবাসার যে ভাষা—তাতে অমিল কিংবা মতভেদ এবং কথা প্রকাশের ভাবভঙ্গিতে গোলমাল। এ ক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং কাউন্সেলিং দেখাতে পারে সমাধানের পথ।
পারিপার্শ্বিক অথবা সমাজ যখন কারণ: উল্লিখিত কারণগুলো সব ঠিকঠাক থাকলেও সম্পর্কে ভাঙনের সুর বাজতে পারে পারিপার্শ্বিক অথবা তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের ফলে। এতে আপনারা ভালো থাকতে চাইলেও তা পারবেন না! বিষয়টি যদি বুঝতে না পারেন, আপনাদের মাঝে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলবে। এ ক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রয়োজনে সমাজের সেই লোকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। এতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আপনাতেই।
এ ছাড়া বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়ে নষ্ট হতে পারে সম্পর্ক। প্রিয় পাঠক, নতুন জীবন শুরুর আগে চলুন, সেসবেও চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক—
বাস্তবতার কশাঘাত: বলতে পারেন, হঠাৎই আপনার জীবনে হানা দিতে পারে বাস্তবতার রূঢ় মূর্তি। বলছি বিয়ে-পরবর্তী সময়ের কথা। বিয়ের আগে যদি আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকে, তাহলে নিশ্চয় আপনি সে সময় কাটিয়েছেন অনেকটা প্রজাপতির ডানায় ভর করে! তখন সবকিছুই রঙিন মনে হয়েছে। ভালোবাসার মানুষটির ইতিবাচক দিকই শুধু চোখে পড়েছে। কিন্তু বিয়ের পর তার মন্দ দিকগুলোও ধীরে ধীরে চোখে পড়তে শুরু করে। কারণ, একই ছাদের নিচে থাকায় মানুষটিকে আরও গভীরভাবে চেনার সুযোগ হয়। সঙ্গীর মন্দ দিকগুলো অনেকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেন না। ফলে বাড়তে শুরু করে দূরত্ব।
ভুল-বোঝাবুঝির বিষ: বিয়ের পর ভুল-বোঝাবুঝি বাড়তে থাকলে পরস্পরের মানসিক যোগাযোগ কমতে থাকে। যোগাযোগে ভাঙন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে সম্পর্কে। একে অপরের কথা শোনা, বোঝার চেষ্টা করা এবং উদ্বেগ ও সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা রাখা ভীষণ জরুরি। কেননা, মানসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সম্পর্ক কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
স্বাধীনতায় ভাটা ও একান্ত সময়ের ফ্যাসাদ: বিয়ের আগে আপনি হয়তো বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন দেদার। কিন্তু বিয়ের পর অধিকারবোধ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপারটি আপনার সঙ্গী ভালোভাবে নিতে পারছেন না। এমনটা ঘটতে পারে দুজনের ক্ষেত্রেই। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাধীনতায় ছেদ পড়ার বিষয়টি অনেকে ভালোভাবে মেনে নেন না। তা ছাড়া কাজ, পরিবার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ধীরে ধীরে নিজেদের অর্থপূর্ণ ও একান্তে কাটানো মুহূর্তগুলো কমে কিংবা হারিয়ে যেতে থাকে। নিজেরা কোয়ালিটি টাইম না কাটালে প্রতিনিয়ত মানসিক যোগাযোগ কমতে থাকে পরস্পরের মধ্যে।
আর্থিক অসংগতি ও পারিবারিক কলহ: আর্থিক অসংগতি বিরূপ প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। হয়তো অন্য কেউ তার জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে দামি উপহার পাচ্ছেন, কিন্তু এমন উপহার নিজে কেন পাচ্ছেন না, এটা ভেবে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। অনেক স্বামী আবার স্ত্রীর উপার্জন বেশি হলে তা নিয়ে ভোগেন অস্বস্তিতে। তা ছাড়া নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে অনেকেরই, বিশেষত নারীদের সমস্যা হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতা না পেলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে স্ত্রীর পক্ষে। এমন অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা না করেন, অনেক সময়ই সম্পর্ক গড়ায় বিচ্ছেদে, যা কোনো সম্পর্কে শুরুতে ভাবাও যায় না!
মুশকিল আসান
প্রেমের সম্পর্কে কেবল প্রেমই প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিয়ের পর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রেমের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু ছাড় দিতে হয় দুজনকেই। এই বোঝাপড়ায় সমস্যা থাকলে আসে ভাঙন। তবে আপনি চাইলে এর সমাধানের পথ বেছে নিতে পারেন সহজে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, লেখক ও অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ‘শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা—‘তোমাকে তোমার ক’রে কখনো ভাবিনি’র মতো করে যদি আমরা আমাদের সঙ্গীকে নিজের প্রেক্ষাপটে ফেলে বিচার করি, তার মতো করে তাকে দেখার অভ্যাস গড়ে তুলি, তবে তাতেই সমাধান হয়ে যায় বিপত্তির। জীবনসঙ্গীর জন্ম, বেড়ে ওঠা, প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিক্ষা, তার মূল্যবোধ আমার চেয়ে আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক। সে জন্য তার প্রেক্ষাপটে তার আচরণ, কর্ম ও বাক্য বিচার করতে হবে। এতে সম্পর্ক যেমন টিকে যাবে, তেমনি বিষাদময়তার থাবা পড়বে না সম্পর্কে।’
মানসিক সমস্যায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মারা যান, যা বছরপ্রতি গড় মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোস মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বৈশ্বিক পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে ৯৭ কোটি মানুষ মানসিক অসুস্থতা অথবা মাদক ব্যবহারজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সমীক্ষায় বলা হয়, করোনা মহামারি বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামারির আগের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ বিষণ্নতার প্রাদুর্ভাব, ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানসিক চাপ এবং ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ উদ্বেগজনিত সমস্যার প্রকোপ বেড়েছে। করোনাকালীন এবং করোনা-পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশে স্বভাবতই অসংখ্য পারিবারিক সম্পর্কে এর প্রভাব পড়েছে। তাই সম্পর্কে জড়ানোর শুভ দিন থেকে নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। নিজের ভেতরের উদারতার পাখা মেলে দিন। এতে যেমন ঠিক থাকবে পারিবারিক শান্তি, তেমনি নিশ্চিত হবে মানসিক স্বাস্থ্য। আর এই স্লোগান তুলতে পারেন পরিবারে—‘সম্পর্ক হোক শান্তির কারণ, হোক মানসিক সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি।’
ছবি: ইন্টারনেট