পোর্টফোলিও । হুর
বাংলাদেশের তথা প্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হলো লন কাপড়; যা দিয়ে নারী নিজেদের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে পোশাকের মাধ্যমে মোহনীয়ভাবে মেলে ধরে। বিদেশি লন কাপড়ের আগ্রাসনে যখন দেশীয় বস্ত্র খাত হুমকির মুখে পড়ছিল, তখন দেশজ লন কাপড় ব্যবহারে বাঙালি নারীদের অনুপ্রাণিত করতে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম ‘হুর’ ব্রান্ডের আত্মপ্রকাশ ঘটান ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। অস্ট্রেলিয়ার ওলংঅং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার লব্ধ জ্ঞান এবং দীর্ঘদিনের গ্রুপ পরিচালনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি ‘হুর’কে বাঙালি নারীদের কাছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক পরিচিত ও সমাদৃত করান।
হুর ফ্যাশন প্রতিটি সিজনে বাহারি রঙের কালেকশন নিয়ে আসে। হুরে পাওয়া যাবে নিত্যনতুন চিত্তাকর্ষক ডিজাইন, মনোলোভা কারুকাজ, ডিজিটাল প্রিন্টের লন, চিকনকারি লন সালোয়ার-কামিজ, কাফতান-কুর্তি, ট্রাউজার, ছেলেদের জন্য থাকছে ফরমাল-ক্যাজুয়াল শার্ট প্যান্ট, কাবলি-পাঞ্জাবি। আরও আছে ছোটদের ট্র্যাডিশনাল জামা, বাবা-ছেলে, মা-মেয়ে মেচিং কম্ব। হুরে নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে সিল্ক শাড়ি।
বিদেশি পণ্যের চেয়ে গুণে ও মানে ভালো হওয়া সত্ত্বেও এর সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ‘হুর’ এখন উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছাড়িয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালেও ধরা দিয়েছে। সাশ্রয় হচ্ছে মানুষের পোশাকি ব্যয়।
একদিন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মিলবে হুর পরিহিত ভিনদেশি নর-নারীদের। শুরু থেকেই দেশীয় জনপ্রিয় মডেলদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মডেলদের মাধ্যমে হুরের বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন শো, বিশেষ প্রদর্শনী ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাচ্যের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে হুর-এর যে আত্মপ্রকাশ সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম ঘটিয়েছিলেন, মাত্র চার বছরের পরিক্রমায় এখন হুর দেশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রাচ্যের বাকি দেশগুলোর আকাশ ছুঁতে চলেছে। তাই তো অবাক দৃষ্টিতে হুর পরিহিত ভিনদেশিদেরও মনে হয় ডানাকাটা পরী কিংবা সত্যিকারের হুর!
শোরুম: ইস্ট কোর্ট, ডি জোন, লেভেল ০১, শপ নম্বর ২৪, ২৫, ৩০, ৩১; যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকা
ওয়েব: hoorthebrand.com
ফেসবুক: hoorthebrand
ইনস্টাগ্রাম: hoorthebrandbd
কেয়ার লাইন: ০১৪০৪৪৪৫৮৯৯
ছবি: হুরের সৌজন্যে