skip to Main Content

বাইট

ঘুমের সঙ্গে ক্ষুধার যোগ

কিছুক্ষণ পরপরই ক্ষুধা লাগে? নিয়মিত আহার গ্রহণের পরও স্বাভাবিকের চেয়ে ঢের বেশি ক্ষুধার্ত থাকেন? নিশ্চয় আপনার ঘুমে গোলমাল! বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ক্ষুধা বস্তুত সার্কাডিয়ান সার্কেল বা দেহঘড়িতে বাঁধা। দেহঘড়ি হলো এমন এক প্রাকৃতিক দোলন, যা প্রায় প্রতি ২৪ ঘণ্টা পর পুনরাবৃত্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নিউট্রিশনাল বায়োলজিস্ট ড. ক্রিস্টোফার রোডস সম্প্রতি ফক্স নিউজ ডিজিটালের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বলেছেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহঘড়িতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; ফলে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে কর্মশক্তির অনুসন্ধান করে মানুষ। ‘একজন মানুষের শরীরের সার্কাডিয়ান ছন্দ এবং বিপাকীয় সংকেত—উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘুম ও খাওয়াদাওয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত,’ যোগ করেন তিনি। তাই অতিরিক্ত ক্ষুধার ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।

আনারস প্রতি পিস ৪৭ হাজার টাকা

এক পিস আনারসের দাম প্রায় ৪৭ হাজার টাকা (৪০০ ডলার)! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। আমেরিকান ফুড প্রোডাকশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ডেল মন্টে ফুডস এক বিশেষ জাতের হাইব্রিড আনারস উৎপন্ন করেছে। গোলাপি-লাল রঙা এই আনারসের নাম রেখেছে ‘রুবিগ্লো’। কোম্পানিটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, চলতি বছর এ প্রজাতির মাত্র কয়েক হাজার আনারস উৎপন্ন করা হচ্ছে। পরের বছর বীজ সংরক্ষণ করে ফলানো হবে সীমিত সংখ্যক আনারস। বীজ থেকে ফল হতে রুবিগ্লোর লাগে দুই বছরের মতো। জানা যায়, প্রচলিত আনারসের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ায় সহজলভ্য, স্থানীয়ভাবে ‘মোরাদা’ নামে পরিচিত গাঢ় লাল-বেগুনি রঙা আনারসের সমন্বয় ঘটিয়ে, ট্র্যাডিশনাল ক্রসব্রিডিং টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছরের গবেষণার ফল হিসেবে কোস্টারিকায় সৃষ্টি করা হয়েছে এই বিশেষ ‘নকশাকৃত’ আনারসের। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এর প্ল্যান্ট পেটেন্ট নিবন্ধন করা হয়েছে। দুর্লভ এই আনারস দেশটির বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।

নিষেধাজ্ঞায় কেটি প্রাইসের ডায়েট অ্যাড

ব্রিটিশ মিডিয়া পারসোনালিটি, মডেল ও লেখিকা কেটি প্রাইস এবার পড়লেন নিষেধাজ্ঞার কবলে। ইনস্টাগ্রামে ব্রিটিশ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ব্র্যান্ড স্কিনি ফুড কো-এর হয়ে, একটি লো-ক্যালরি ডায়েটের বিশেষ প্রচারণার পোস্ট প্রকাশের কারণে। বিবিসি সূত্রে জানা যায়, গেল আগস্টে প্রকাশ করা ওই ভিডিওতে নিজের গ্রহণ করা প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানিয়েছিলেন নব্বইয়ের দশকে গ্লামার মডেলিংয়ে ঝড় তোলা, ৪৫ বছর বয়সী এই তারকা। দাবি করেছিলেন, দিনে মাত্র ৭৫৫ ক্যালরি গ্রহণ করেন তিনি। অথচ দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস [এনএইচএস] একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে দিনপ্রতি প্রায় ২৫০০ ও নারীকে প্রায় ২০০০ ক্যালরি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই কেটির পোস্টকে ‘দায়িত্বহীনতার পরিচয়’ হিসেবে উল্লেখ করে সম্প্রতি সেই বিজ্ঞাপনী পোস্ট নামিয়ে ফেলার এবং আর কখনো কোনো মাধ্যমে প্রকাশ না করার দাবি জানায় দেশটির অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কমিটি। অগত্য দাবিটি মেনে নিয়েছেন কেটি।
 ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top