skip to Main Content

হেঁশেলসূত্র I রঙিন রেসিপি

মন ভালো রাখতে পরখ করতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কালারফুল খাবার। এমন পাঁচটি রেসিপি দিয়েছেন নাজিয়া ফারহানা

ছবি: মাসুদ আনন্দ

ব্লুবেরি চিজ কেক

উপকরণ: ক্রিম চিজ ২৫০ গ্রাম, ক্রিম ১ টিন, হোয়াইট জেলটিন ১ প্যাকেট, ঘন দুধ ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ব্লুবেরি জেলো ১ প্যাকেট, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, মাখন ১০০ গ্রাম, মারি বিস্কুটের গুঁড়া ১ প্যাকেট, ব্লুবেরি সস (পরিবেশনের জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি: প্রথমে বিস্কুটের গুঁড়া ও মাখন ভালোভাবে মেখে কেক মোল্ডের নিচে সমানভাবে বিছিয়ে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ব্লুবেরি সস ও জেলো বাদে বাকি উপকরণগুলো একসঙ্গে বিট করে বিস্কুটের লেয়ারের ওপর সমানভাবে ঢেলে দিয়ে ২০ মিনিট আবারও ফ্রিজে রাখা চাই। এবার জেলো বানিয়ে এর ওপর ঢেলে, তার ওপর সস ঢেলে সাজিয়ে, ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

লেমন বাটার ফিশ

উপকরণ: ফিশ ফিলে ৪০০ গ্রাম, মাখন ৪০ গ্রাম, রসুনবাটা ২-৩ চা-চামচ, আদাবাটা ২-৩ চা-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২-৩ চা-চামচ, লেবু (রস) ১টি, কটেজ চিজ ১ কিউব, অরিগানো ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, তেল ১ কাপ।
প্রণালি: ফিশ ফিলে ভালোভাবে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে, লেবুর রস, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, ১ চা-চামচ রসুনবাটা দিয়ে এক ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। এবার একটি ফ্ল্যাট প্যানে অলিভ কিংবা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল ২ চা-চামচ, সঙ্গে মাখন দিয়ে, ২-৩ মিনিট পরে ফিলে যোগ করে ভালোভাবে ভেজে নিন। এপিঠ-ওপিঠ করে ফ্রাই করে নিতে পারেন। ইচ্ছে হলে মাছগুলোকে কাঠি ঢুকিয়ে সোজা রাখা সম্ভব। মাছ ভাজা ভাজা হয়ে এলে আদাবাটা, বাকি রসুনবাটা, কাঁচা মরিচবাটা দিয়ে অল্প করে সঁতে করে নিন। কিছুক্ষণ পর গ্রেভির টেক্সচার পাল্টে গিয়ে লাল হয়ে এলে আগুনের আঁচ একদম কমিয়ে দিন। খেয়াল রাখা চাই, গ্রেভি যেন শুকিয়ে কড়াইতে লেগে না যায়। এরপর মাছগুলোর ওপরে কটেজ চিজ কুড়িয়ে দিন। এবার অরিগানো, চিলি ফ্লেক্স দিয়ে আগুন নিভিয়ে, পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে, চিজ মেল্ট হয়ে গেলেই তৈরি লেমন বাটার ফিশ।

পেস্তাচু স্প্যাগেটি

উপকরণ: স্প্যাগেটি ১ কাপ, টমেটো ১/২ কেজি, তুলসীপাতার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেস্তাচু সস ১৫০ গ্রাম, অরিগানো ১ চা-চামচ, টমেটো সস ১০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচের কুচি ৫০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ২০০ গ্রাম, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, তেল (ভাজার জন্য পরিমাণমতো এবং মাখানোর জন্য ২ টেবিল চামচ), লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: আস্ত টমেটো সেদ্ধ করে ওপরের বাকল ছিলে ফেলুন। তারপর কুচি করে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে রসুনকুচি ও পেঁয়াজকুচি হালকা ভাজুন। এবার সেদ্ধ টমেটো এবং অর্ধেকটুকু টমেটো সস, কাঁচা মরিচের কুচি যোগ করে ভাজতে থাকুন। তারপর আধা কাপ পানি দিয়ে, তুলসীপাতার গুঁড়া, অরিগানো ও লবণ যোগ করে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। পানি ও লবণ যোগে স্প্যাগেটি সেদ্ধ করে, পানি ছেঁকে ফেলে দিয়ে, ২ টেবিল চামচ তেল যোগ করে মাখিয়ে রাখুন। প্লেটে স্প্যাগেটি এবং তার ওপর বাকি অর্ধেক টমেটো সস ও পেস্তাচু সস দিন। হয়ে গেল সুস্বাদু পেস্তাচু স্প্যাগেটি।

পায়েলা

উপকরণ: ক্র্যাব ২৩০ গ্রাম, স্যামন ফিশ ৩০০ গ্রাম, চিংড়ি (রগ ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া) ৪৫০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, টমেটো (ছিলে, বীজ ছাড়িয়ে, ডাইস করে কাটা) ২ কাপ, রসুন (থেঁতো করে নেওয়া) ১/২ টেবিল চামচ, লাল বেল পেপার ছোট ১টি অথবা বড় হলে অর্ধেক লম্বালম্বি ও মোটা করে কাটা, পার্সলেকুচি ১/৪ কাপ, ফিশ বা চিকেন স্টক ৪ কাপ, ফ্রোজেন মটরশুঁটি ১/৪ কাপ, জাফরানগুঁড়া ১/৪ অথবা ১/২ চা-চামচ, সুইট রেড পাপরিকা ১ চিমটি, চাল সোয়া ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কালো গোলমরিচ স্বাদমতো, অলিভ অয়েল ১/২ কাপ।
প্রণালি: পায়েলা প্যানে অলিভ অয়েল মধ্যম আঁচে গরম করুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ১ মিনিট ভাজুন। এবার প্যানে ক্র্যাব দিয়ে ৫ মিনিট, কিছুক্ষণ পরপর নেড়েচেড়ে রান্না করুন। তারপর চিংড়িগুলো যোগ করে আরও ৩ মিনিট রান্না করুন। খেয়াল রাখা চাই, চিংড়ির দুই পাশই যেন রান্না হয়।
এরপর রসুন থেঁতো, লাল বেল পেপার এবং পার্সলে কুচি দিয়ে, ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে, ২ মিনিট রান্না করুন। তারপর টমেটোকুচি দিয়ে রান্না করতে থাকুন, যতক্ষণ না টমেটো গলে আলাদা হয়ে আসে। এবার সি-ফুডগুলো এবং লাল বেল পেপার কুচিগুলো সেখান থেকে প্লেটে তুলে নিয়ে আলাদা স্থানে রাখুন। এ ক্ষেত্রে বন্ধ করা ওভেনের ভেতর রাখতে পারেন, এতে সি-ফুডগুলো গরম থাকবে।
এবার প্যানে থাকা মিশ্রণে ফিশ কিংবা চিকেন স্টক দিয়ে, জাফরানগুঁড়া এবং ফ্রোজেন মটরশুঁটি যোগ করে ফুটিয়ে নিন। ফুটে ওঠার পর এতে লবণ ঠিক আছে কি না, দেখে নিন। প্রয়োজনমতো লবণ ও গোলমরিচ যোগ করুন। এবার চাল দিয়ে, কিছুক্ষণ নেড়ে তাতে স্যামন ফিশ এমনভাবে যোগ করুন, যেন তা পাত্রের মাঝখানে থাকে। মধ্যম মৃদু আঁচে সেটিকে ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন, যতক্ষণ না চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়। চুলার আঁচ কমিয়ে, মৃদু আঁচে রান্না করুন আরও ১০ মিনিট। প্রয়োজনে একটু একটু করে পানি বা স্টক যোগ করতে পারেন। ভাত হয়ে গেলে এবার তাতে বেল পেপার ও সি-ফুডগুলো যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। সুইট রেড পাপরিকা, বেল পেপার ও চিংড়ি সাজানোর জন্য তুলে রাখতে ভুলবেন না। পরিবেশনের আগপর্যন্ত খাবার গরম রাখতে চাইলে পাত্রের মুখ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার পায়েলা।

থ্রি লেয়ারড স্মুদি

উপকরণ: আম ২ কাপ, টক দই ১ কাপ, ব্লুবেরি পেস্ট ১ কাপ, চিনি অথবা মধু ৬ টেবিল চামচ, বরফকুচি পরিমাণমতো, লেবু স্লাইস (সাজানোর জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি: প্রথমে সব ফল টুকরো করে, আলাদাভাবে চিনি ও বরফকুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে রাখুন। চিনি ও বরফকুচি দিয়ে টক দই ব্লেন্ড করুন। এবার একটি গ্লাসে প্রথমে টক দই ব্লেন্ড, তারপর ব্লুবেরি পেস্ট ব্লেন্ড, তারপর আম ব্লেন্ড দিন; তাতে তিন লেয়ারে তিন রঙের দেখা মিলবে। এবার পরিবেশন করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top