skip to Main Content

ফিচার I ক্যারি-অন অ্যাপ্রুভড

পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে। নচেৎ সামান্য বিউটি প্রোডাক্টই ফেলতে পারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে

বিয়ের পর বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা কমবেশি সবারই থাকে। হানিমুনের সেই ব্যাগ প্যাকিং স্বভাবতই একটু বিশেষ। সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর আউটফিট, ম্যাচিং অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, ব্যাগ—তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কিছুই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিউটি আর মেকআপ এসেনশিয়াল। কারণ, প্রিয়জনের সামনে পিকচার পারফেক্ট দেখানো। আর অতশত সৌন্দর্যসামগ্রী বহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হচ্ছে সঙ্গে থাকা ক্যারি-অন ব্যাগটি। সাধের জিনিসগুলো চোখে চোখে রাখার শান্তি আর হুটহাট প্রয়োজনে হাতের নাগালে পাওয়ার স্বস্তি—দুই-ই এতে উপভোগ করা যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলতে হবে প্যাকিংয়ের সময়। মেকআপ, স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার, নেইল কেয়ার কিংবা পারফিউম—ক্যারি-অন ব্যাগে কোনটা বহন করা যাবে কিংবা যাবে না, সেটা জানা জরুরি। আরও জানতে হবে কতখানি নেওয়া যাবে, সেটাও।
নির্দেশিকা অনুমোদিত
ট্রাভেল সাইজের লিকুইড আইটেম যত খুশি নেওয়া যাবে ক্যারি-অন ব্যাগে! যদিও শর্ত প্রযোজ্য। আইটেমগুলো প্রথমে পুরে নিতে হবে একটি কোয়ার্ট-সাইজের ব্যাগে; যা সাধারণত ৬ ইঞ্চি বাই ৯ ইঞ্চির। আরেকটু বেড়ে ৮ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চিও হতে পারে। এসব ব্যাগ এক লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। এগুলোতে পুরে নেওয়া যাবে লিকুইড, জেল, অ্যারোসল, ক্রিম অথবা পেস্ট বেসড আইটেমগুলো। সাধারণত এমন সব সামগ্রীতে পরিপূর্ণ একটি কোয়ার্ট-সাইজের ব্যাগ নেওয়ার অনুমতি মেলে ক্যারি-অনে। চেক পয়েন্ট পেরোতেও ঝক্কি হয় না। তবে মাথায় রাখতে হবে কোয়ার্ট-সাইজ ব্যাগে থাকা প্রতিটি কনটেইনার যেন ট্রাভেল সাইজের হয়। অর্থাৎ ৩ দশমিক ৪ আউন্স (১০০ মিলিলিটার) অথবা তারও কম। তবে কোনো কোনো ইমিগ্রেশনের নিয়ম আরেকটু শিথিল হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে শুধু লিকুইডগুলো কোয়ার্ট-সাইজ ব্যাগে রেখে বাকিগুলো আলাদা করে ক্যারি-অন ব্যাগে বহন করার অনুমতি মিলে যায় কখনো। সে ক্ষেত্রে প্রথমত নিশ্চিত করতে হবে, প্রতিটি পণ্যের কনটেইনার যেন আকারে যথেষ্ট ছোট হয় এবং দ্বিতীয়ত নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিত আকারের ক্যারি-অন ব্যাগে যেন সব পুরে নেওয়া যায়। ব্যস!
স্কিন কেয়ার
ক্লিনজার, ময়শ্চারাইজার, সেরাম, মেকআপ রিমুভার, হাইড্রেটিং মিস্ট, স্নেইল মিউসিন জেল—ত্বকযত্নের পণ্য যেমনই হোক না কেন, তা পুরে নিতে হবে কনটেইনার। জার অথবা বোতলে। ৩ দশমিক ৪ আউন্স অথবা ১০০ মিলিলিটার পরিমাণ অথবা তার কম হতে হবে এগুলো।
মেকআপ
লিকুইড মেকআপ বহন করার ক্ষেত্রে পরিমাপ সেই আগের মতোই। নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা মোতাবেক। মাসকারা, ব্রাও জেল থেকে কনসিলার—যেকোনো কিছুই এ ক্ষেত্রে ক্যারি-অন ব্যাগে নেওয়া যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো ৩ দশমিক ৪ আউন্সের বা তার থেকে কম পরিমাণের হবে। অনেকের ধারণা, সলিড মেকআপ বহনের ক্ষেত্রে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কিন্তু সব ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন নয়। পাউডার অথবা পাউডারের মতো পদার্থে তৈরি মেকআপ প্রোডাক্ট যদি ১২ আউন্সের বেশি হয়, তাহলে তা আলাদা করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় এক্স-রে স্ক্রিনিংয়ের সময়। তবে পাউডারি মেকআপ প্রোডাক্ট ১২ আউন্সের কম হলে আলাদা কোনো ঝক্কি নেই। লিপস্টিক অথবা চ্যাপস্টিক? এ দুটোই ক্যারি-অন অথবা চেকড লাগেজ—উভয়েই বহনযোগ্য।
নেইলপলিশ
বেড়ানোর সময় ম্যানি আর প্যাডি যারা একদম অন পয়েন্ট চান, তাদের অবশ্যই পছন্দের নেইলপলিশ সঙ্গে রাখা চাই। বেশির ভাগ পলিশের বোতল ৩ দশমিক ৪ আউন্সের কম হয়। একটি সাধারণ সাইজের নেইলপলিশ শূন্য দশমিক ৪৬ থেকে শূন্য দশমিক ৫ আউন্সের মধ্যেই হয়ে থাকে। এ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তাই বলে পলিশের পুরো কালেকশন নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আবার সমস্যা! এ ক্ষেত্রে হুটহাট টাচআপের জন্য ভিন্ন শেডের এক থেকে দুটি নেইলপলিশ সঙ্গে নেওয়াই যথেষ্ট।
হেয়ার কেয়ার
বেড়ানোর সময় যদি সঙ্গে করে পছন্দের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লিভ-ইন ট্রিটমেন্ট অথবা অন্য কোনো হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট নিতেই হয়, মেনে চলতে হবে কয়েকটি বিষয়। বাজার থেকে পণ্যগুলোর ট্রাভেল সাইজ নানা ভার্সন কিনে নিলে তো আর কোনো সমস্যাই থাকে না। তা সম্ভব না হলে ট্রাভেল সাইজের কসমেটিক কনটেইনার আর বোতল কিনে নেওয়া যেতে পারে। এগুলোতে প্রয়োজনমতো পছন্দসই পণ্য পুরে নিলেই চলবে। কিন্তু কোনোভাবেই যেন সেগুলো ৩ দশমিক ৪ আউন্সের বেশি না হয়। এরও বিকল্প চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে সলিড শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার।
বডি কেয়ার
এগুলোর কনটেইনার সাধারণত বড়ই হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে, পছন্দসই পণ্যগুলোর ট্রাভেল সাইজ ভার্সন কিনে নেওয়া অথবা আলাদা ট্রাভেল সাইজ কনটেইনার কিনে তাতে পুরে নেওয়া। আর যদি রেগুলার সাইজের প্রোডাক্টগুলোই নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে সেগুলো ক্যারি-অন ব্যাগে নেওয়ার সুযোগ নেই। নিতে হবে চেকড লাগেজে। সে ক্ষেত্রে টয়লেট্রি আইটেম ৭০ আউন্স অব্দি বহনের সুযোগ রয়েছে।
পারফিউম
ক্যারি-অন ব্যাগে পারফিউম বহনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সেই বোতল হতে হবে ৩ দশমিক ৪ আউন্স অথবা তারও কম ওজনের। তারপরেও দ্বিধা থাকলে আলাদা ছোট পারফিউম কনটেইনার কিনে নেওয়া যেতে পারে। তাতে পছন্দসই পারফিউম পুরে নিলে স্বচ্ছন্দে পার করে নেওয়া যাবে ট্রাভেল টাইমের পুরোটা।

 বিউটি ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top