skip to Main Content

ফোকাস I পমেড প্রলেপে

রুক্ষতা রুখে দিতে। হিম হাওয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বরং বাড়তি যত্নে ত্বককে ঢেকে রাখার জন্য

শীতের শুষ্কতাকে হারাতে সেরা হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে পমেড। যাতে থাকে পেট্রোলিয়াম জেলি, রোজ অয়েল, মিনারেল আর মনভোলানো সুগন্ধির সংমিশ্রণ। হিমস্নিগ্ধ ঋতুতে ত্বককে আর্দ্রতায় পূর্ণ রাখে পমেড। এর কাজ হলো একধরনের ময়শ্চারাইজিং এজেন্টের আস্তরণ দিয়ে প্রকৃতির রুক্ষতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা। তা ছাড়া এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট বাইরের ধুলা-ময়লা, ধোঁয়া ও জীবাণু থেকে বাঁচায়। ফলে শুষ্কতা তো সারেই, দাগছোপ, ভাঁজও দূর হয়ে যায়। অ্যান্টি-ক্র্যাকিং এজেন্ট থাকা পমেডের ব্যবহারে রোধ হয় ঠোঁট, কনুই, হাঁটু, গোড়ালির ফাটা ভাব।

ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ শীতেও ত্বক দেখায় স্নিগ্ধ, মাখনমসৃণ। আর পমেডে যদি রোজ অয়েলের মতো ত্বকবান্ধব এসেনশিয়াল অয়েল থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। শুষ্কতা সারাতে জাদুকরী এই উপাদানের আর্দ্রতা জোগানোর ক্ষমতা অসামান্য। তা ধরে রাখার ক্ষমতাও এর রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ রোজ অয়েলের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের টেক্সচার ভালো রাখে। স্কিন ডিসকালারেশনে কার্যকর। রোজ অয়েলের ডিটক্সিফিকেশন ক্ষমতাও দারুণ। ত্বকে এর রুটিনমাফিক ব্যবহার রক্তকে বিশোধিত করে। বাড়ায় রক্তসঞ্চালনের মাত্রা। ফলে র‌্যাশ আর জ্বালাপোড়া কমে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে বলে স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল দেখায়। তাই রোজ অয়েলের নির্যাসে পরিপূর্ণ পমেড যদি বেছে নিতে পারেন শীতে, আর কিছু কি লাগে?
প্রতিদিন সকালে গোসলের পর পরিষ্কার ত্বকে পমেড ব্যবহার করা ভালো। মাখতে পারেন রাতে ঘুমাবার আগেও। রাতভর ত্বকের নানা ক্ষতিপূরণে সহায়তা করবে এটি। জোগাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা। মুখত্বকে ব্যবহারের সময় সাবধান। সঠিকভাবে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করতে হবে পমেড। আপওয়ার্ড এবং আউটওয়ার্ড স্ট্রোকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top