এই শহর এই সময় I প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে
ডিসেম্বর মানেই মহান বিজয় দিবস। তাই গেল মাসজুড়ে ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে রাজধানীর শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রাঙ্গণে ছিল নানা আয়োজন। এর বাইরেও বিভিন্ন উৎসব ও উচ্ছ্বাসের মুখরতা ছুঁয়েছে নগরবাসীকে।

জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী
২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পর্দা ওঠে মাসব্যাপী ‘ষষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী’র। একাডেমির উদ্যোগে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায়। ধারাবাহিকভাবে ভাস্কর্য চর্চায় উৎসাহ ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগের সূচনা ঘটেছিল ১৯৮২ সালে। চলতি প্রদর্শনীতে ১৫৯ জন শিল্পীর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৭৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। চলবে ২০ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা (সরকারি ছুটির দিন বেলা ৩টা) থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। ১০ সম্মানসূচকসহ মোট ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ষষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য পুরস্কার লাভ করেন ড. আজহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চল, দ্বিতীয় পুরস্কার আবদুল খালেক চৌধুরী এবং তৃতীয় পুরস্কার বিলাশ মন্ডল। সম্মানসূচক পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন অসীম হালদার সাগর, রুপম রায়, অলক কুমার সরকার, আবু সাদায়াত মো. সোহেল, অমিত কোচ, আসফিকুর রহমান, সৈয়দ তারেক রহমান, হাবীবা আখতার পাপিয়া, কনক কুমার পাঠক ও শ্রাবন্তী মেহেরুণ।

গীত অ্যান্ড গজল
২০ ডিসেম্বর ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে অনুষ্ঠিত হয় গজল ও ধ্রুপদি সংগীতের এক মনোমুগ্ধকর আয়োজন। ‘গীত অ্যান্ড গজল’ শিরোনামে। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার আয়োজনে। তাতে পারফর্ম করেন প্রতিষ্ঠানটির উপমহাদেশীয় ধ্রুপদি সংগীতের কর্মশালা সমন্বয়কারী মঞ্জুরুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. প্রিয়াঙ্কা গোপ।

লিমিনাল হরাইজন
লালমাটিয়ায় অবস্থিত আর্ট গ্যালারি কলাকেন্দ্রে ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয় শিল্পী সানদ বিশ্বাসের একক শিল্প প্রদর্শনী ‘লিমিনাল হরাইজন’। চলেছে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত। ইন সার্চ অব এক্সিস্টিং, এক্সিস্ট্যান্স অব বেলুনস এবং সেনসিবিলিটি অব আ হাফ-ডেড—মূলত এই তিন থিমে ভাগ করা শিল্পকর্মগুলোতে শিল্পী বিভিন্ন মাধ্যমে বহুমুখী সম্ভাবনা অনুসন্ধান করে নানা দৃশ্যপটের গল্প নির্মাণে একনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তার কাজ আমাদের নিয়ে যায় এমন এক সীমান্তে, যেখানে শারীরিক সত্তা এবং বাইরের জগতের নির্যাস আলাদা হয়ে যায়। সানদের কাজ উপস্থাপনের এই উদ্যোগ শুধু তার দক্ষতার বহুমুখী মাধ্যমের আন্তক্রিয়া প্রদর্শন নয়, বরং এমন এক উপলব্ধি প্রকাশের চেষ্টাও, যা শরীর ও স্থানের ধারণাকে একই সঙ্গে যুক্ত ও বিচ্ছিন্ন করে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ