skip to Main Content

মনোজাল I দ্য পাওয়ার অব স্টেটমেন্ট পিস

যার ক্ষমতাবলে মামুলি সাজপোশাকও চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবে মানুষের মনে। সুন্দর দেখানোর এমন বন্দোবস্ত কি হেলায় হারালে চলবে! বরং জানতে হবে আদ্যোপান্ত

এমন কোনো ফ্যাশনেবল পিস, যা সাধারণের চেয়ে একদমই আলাদা এবং মনোযোগের দাবি রাখে; যা আত্মবিশ্বাসী ও আড়ম্বরপূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। বোল্ড জুয়েলারি, ফাঙ্কি ব্যাগের মতো জিনিসপত্র থেকে শুরু করে উজ্জ্বল রঙের কোট বা স্ট্যান্ডআউট জুতার মতো যেকোনো আইটেমই হতে পারে এটি। এককথায় বলতে গেলে স্টেটমেন্ট পিস হলো সেই সাহসী, চোখধাঁধানো আইটেম; যার যোগে সাধারণ মামুলি পোশাকও হয়ে ওঠে বিশেষ কিছু। স্টেটমেন্ট পিস এমন এক গোপন অস্ত্র, যা ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসাকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং পোশাকে নতুন জীবন এনে দিতেও সক্ষম। যা কেবল পোশাক নয়, পুরো মেজাজকে পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
স্টেটমেন্ট পিস তৈরির কৌশল কী? খুব সহজ; আহামরি কিছু নয়। ফ্যাশন সম্পর্কে পড়াশোনা শুরু করতে কিংবা ডিজাইনারদের দ্বারস্থ হতে হবে, এমনও নয়। শুধু জানতে হবে ফ্যাশনকে কীভাবে আরও দৃষ্টিগ্রাহী করা যায়।
ধরা যাক, কেউ সব সময় ক্ল্যাসিক প্যাটার্নে অভ্যস্ত। তাহলে এমন একটি স্টেটমেন্ট বেছে নেওয়া যেতে পারে, যা এর বাইরে। যেমন একটি গাঢ় রঙের টেইলর্ড ব্লেজার অথবা খুব চটকদার কোনো হিল। যদি পোশাকে কেউ সব সময় দারুণ স্টাইলিশ হয়ে থাকেন, তাহলে বেছে নিতে পারেন একটি লেদার জ্যাকেট বা এক জোড়া স্টেটমেন্ট বুট। মূল বিষয় হলো এমন পিস বেছে নেওয়া, যা ড্রেসআপকে কমপ্লিমেন্ট করে, আবার সেটি পরার কৌতূহলও জাগায়। একঘেয়ে লাগে না। তবে স্টেটমেন্ট শুরু করার জন্য পুরো পোশাক পরিবর্তন করার দরকার নেই। কিছু সহজ সমন্বয়ের মাধ্যমেই চমৎকারিত্ব দেখানো যায়। যেমন সব সময় পরার গো-টু জিনস এবং টি কম্বো নেওয়া যেতে পারে। এটি নিমেষে ক্ল্যাসিক একটি আরামদায়ক লুক তৈরি করে দেবে। সঙ্গে যোগ করে নেওয়া যেতে পারে একটি বোহিমিয়ান, স্টেটমেন্ট স্টাইল নেকলেস বা এক জোড়া নজরকাড়া জুতা। এতে পুরো লুকটাই পাল্টে যাবে। মৌলিকতা মিলবে সাজে। মূল সূত্র এক বা দুটি স্টেটমেন্ট পিস বেছে নেওয়া, যা পোশাক এবং পুরো সাজকে একে অপরের পরিপূরক করে তুলবে। হতে পারে সেটি একটি বেল্ট বা একটি রঙিন স্কার্ফ। এই ছোট সংযোজনগুলোই রং বা টেক্সচারে এমন ভিন্নতা যোগ করবে, যা লুককে সেকেন্ডের মধ্যে সাধারণ থেকে অসাধারণে পরিণত করে তোলে।
এখন যেমন শীতকাল। এই আবহাওয়ার জন্য, একটি জ্যাকেট বা কোট সেরা বন্ধু হতে পারে। হতে পারে স্টেটমেন্ট পিসও। উজ্জ্বল রঙের ট্রেঞ্চ সোয়েটার, ফাঙ্কি ফার কোট বা রকস্টাইল লেদার জ্যাকেট—যা-ই হোক না কেন, সেটি একটি দারুণ লেয়ার সৃষ্টি করবে; যা থেকে সৃষ্টি হবে চমক। মনে রাখতে হবে, স্টেটমেন্ট যেহেতু একটু চকমকে হয়, তাই বাকি সাজ সহজ, সাধারণ রাখা চাই। তাতে স্টেটমেন্ট পিসটিই হয়ে উঠবে স্টার; আর বেশি কিছু না হলেও চলবে।
স্টেটমেন্ট লুক তৈরিতে অ্যাকসেসরিজের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। সাবধানে নির্বাচন করতে পারলে শুরু একটি অ্যাকসেসরিজের যোগে সম্পূর্ণ সাজই বদলে যেতে পারে। বড় কানের দুল, ব্রেসলেট, নেকলেস—যেটি পছন্দ এমন একটি পিসের কথা ভাবতে হবে। বোল্ড ডিজাইনের হ্যান্ডব্যাগও থাকতে পারে তালিকায়। যা সঙ্গে নিলেই মনে হতে পারে বিশ্ব জয় খুব কঠিন কিছু নয়। এগুলো আসলে এমন অনুষঙ্গ; যা ন্যূনতম প্রচেষ্টায় পোশাককে ড্র্যাব থেকে ফ্যাবে পরিণত করতে সক্ষম। মূল বিষয় হলো ড্রেসআপে খানিকটা মজা যোগ করা।
শপিংয়ের ক্ষেত্রেও হওয়া চাই সচেতন। পরিমাণের চেয়ে গুণমানে চিন্তা করতে হবে বেশি। অনেক কিছু কেনার প্রয়োজন নেই। অর্থ এমনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে, যেন দেখলেই মনে হয় পিসগুলো অনেক পছন্দ করে কেনা। কেবল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে হবে বলেই নয়। তা ছাড়া হাবিজাবি অনেক কিছু কেনার চেয়ে একটি উচ্চমানের দামি আইটেম বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে চিন্তা করা চাই। একাধিক পোশাকের সঙ্গে পরা যেতে পারে এমন আইটেম বেছে নেওয়াই এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। যেমন একটি ব্লেজার অনেক কিছুর সঙ্গে পরা যেতে পারে। জিপসি স্কার্ট, হিল, জিনস বা এক জোড়া স্নিকার নানাভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করা যাবে।
মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করার চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন স্টেটমেন্ট পিস একসঙ্গে মিলিয়ে পরতে ভয় পাওয়া চলবে না। সে ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা চাই। যেমন খুব সাহসী নকশার নেকলেস পরা হলে, কানের দুলগুলো সিম্পল রাখতে হবে। ব্যস, এটুকুই।

 রত্না রহিমা
মডেল: নাজাহ নোয়ার
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: ফিট এলিগেন্স
জুয়েলারি: গ্লুড টুগেদার
ছবি: কৌশিক ইকবাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top